বেশ কয়েক দিন হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারে। বেশ কিছু মজার মজার ঘটনা ঘটে গেল। বিশেষ করে ওই নাপিতের বিখ্যাত উক্তি টা, "আপ পজিটিভ তো নাহি হ্যায়!" কাজ ও প্রায় শেষ। আজ সকালে কিছু লোকের সাথে কথা বলাতে আমার এক ক্লায়েন্ট হোটেল থেকে মোটর বাইকে নিয়ে গেছিল আবার পরে হোটেলে নামিয়ে চলে গেছে। বস্তুত তার কারণেই আজ থেকে যাওয়া। বিকালে কিছু পেমেন্ট হোটেলেই দিয়ে যাবে। হোটেলে একা একা ভীষণ বোরিং হচ্ছি। বার বার টুনটুনির খোঁজে লজের পিছনের গেট খুলে দাঁড়িয়ে থাকছি কচুর বনের দিকে তাকিয়ে। টুনটুনির আজ দেখা নেই। কাল রাতে বৃষ্টি ঝড় বাদল হয়েছিল। অনেক বাজে কথা মনে আসছিল। বিকালে সময় যেন স্থবির প্রায়, কাটতেই চায় না। কেয়ার টেকার ছেলেটিকে দিয়ে একটা মালের বোতল আনাই। কিন্ত রাত না হলে তো তা খুলবো না। হোটেলের বিরাট দাওয়ায় পাইচারি করছি আর ছেলেটিকে বলে যাচ্ছি , রাত কি আজ আর হবে না। যাই হোক একসময় লোক এল আর তাদের সাথে কথা বলতে বলতে সত্যই রাত আট টা বেজে গেল। তারা চলে গেলে ঘরের সামনে টেয়ার টেনে বসে যাই যথারীতি। একটু বাদেই তুমুল বৃষ্টি শুরু এরপর কবিতায়ঃ-


"চক্ষুশূল"


ঝড় উঠেছে বইছে বাতাস হোটেল দাওয়ায় চেয়ার পাতি
শুন রে বুল হচ্ছে বারিস মত্ত কলম করছি খেতি।
দমকা বাতাস হচ্ছি উদাস ছাট বারিতে ভিজছে দেহ
কোথায় গেলিস বলতে পারিস একলা আমি
আর না কেহ।


গাছগুলি সব হেলান ফেলান ভাবছি আমি টুনির কথা
ছোট্ট টুনি কোথায় রবে হচ্ছে রে বুক অনেক ব্যথা।
এর মাঝে কে হাঁকছে দোরে বন্ধ আছে বেশ তো ভাল
পুলিশ টুলিস নয় কো রে বুল! মনের আকাশ
হচ্ছে কালো।


কেয়ার টেকার ওই ছেলেটি খুলছে না ক্যান ভাবছি বুল
ফোন করছে ভাবছি কাকে! যদি বলে দে রে খুল।
চক্ষুশূল আমার এখন বলছি রে বুল করোনা
শ্যালার ব্যাটা হটাৎ এসে, কেনই
দিল ধরনা।


আজব গজব চিন্তা মনে ভাবছি বারিস কমলে কি!
নেবেই নাকি আমার ধরে চোখ রে সজল নাকে ঘি।
সলতে পুড়ে যায় রে বুল তেল না হলে বুকের মাঝে
জলদি প্যাক মারছি রে তাই; ঠক ঠক ঠক
কাঁপছে পা যে!


ভাবতে পারিস! পায়ের গোলাম; কখন ছিলাম বল তো ভায়
সাহেব সুবো বন্ধু আমার, করবো কেনো এমন ভয়!
কইতে গেলে কাহন হবে, কাঁচের গেলাস শূন্য রে
জলদি কর এই নে ধর; আর একটা
বানাস বে।