থাকা হলো খাওয়া হল হাতে পরীও এলো তো এবার আমাকেও তো ইন্দ্র সাজতে হবে। চুল গুলি বড় বড় হয়ে গিয়েছিল , ভেবেছিলাম আলিপুর গিয়ে কোনও সেলুনে চুল কেটে নিব। হোটেলের সামনেই একটি সেলুন ছিল সেখানে যাই চুল দাঁড়ি কাটতে। একটা কাটছিল তাই বলে মিনিট দশেক অপেক্ষা করতে হবে। তো করলাম। কাজ শেষ হলে আমি চেয়ারে বসতে গেলেই নাপিত বলে (সে বোধহয় জানত আমি এই লজে আছি), বলে , "আপ ক্যয়া বাহার সে আয়া হ্যায়!" আমি তো হায় হায়! মিথ্যা কথা বলি, নাহি হ্যায়। সে বলে, নাহি হাম বাহার কা আদমি কো নাহি কাটতে হ্যায়।" বলেই সে বলে, "আপ পজিটিভ তো নাহি হ্যায়"। উত্তরে তাকে একটা চড় মারতে ইচ্ছে হচ্ছিল কিন্ত ভয় তাহলে তো লোক জুটে যাবে আর আমি কোয়ারিন্টাইনে পৌছে যাব। তাই তাকে বলি, অনেক হয়েছে আমার চুল দাঁড়ি কাটতে হবে না, বলেই ভাগ। অসস্থি লাগছিল বড় বড় চুলের কারণে। হটাৎ কি মনে হয়, দোকানে যাই আর একটা দাঁড়ি কাটার কাচি কিনে আনি আর একটা জিলেট গার্ড ব্লেড। সে ব্লেড দিয়ে লজে ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়ি নিজে নিজেই কেটে নেই। হটাৎ কি মনে হলো ভাবলাম চুল গুলাও কেটে ফেলি। যা ভাবনা তাই কাজ। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কসরত করে চুল কাটতে থাকি। আশ্চর্যের বিষয় এই যে সেলুনে কাটার থেকেও অনেক ভাল হয় সে চুল কাটা। এরপর কবিতায়।


"সম্ভার"


বাবা জুদি জানত ছেলে এত মেধাবী!
ক্ষুর ধার বুদ্ধিতে কাটে চুল কেতাবি!
বিদ্যার টোলে কি গো দিত তারে শিক্ষা
হরিদার সেলুনেতে দিত তারে
দিক্ষা।


কাচি আর নরুণেতে দিত তারে সখ্য
করে দিত গড়ে দিত তারে খুব দক্ষ।
দক্ষতা সখ্যতা হতো নাকো পাঠশালে
হাতে হাত খ্যাচ খ্যাচ পড়াশুনা হত
বালে।


বালেতেই হরিচাচা গাড়ি বাড়ি সব তার
গাল চেছে চুল ছেটে গলে তার মণিহার।
পরীটাই পাখা মেলা দিনে রাতে তারে ঢুষে
আমি খুরি ভবখুরে কি জানি কি কোন
দোষে।


পাঠ্শালা দূর শালা! শাকরেদ সেলুনেতে
শিক্ষায় দিক্ষায় হতো খড়ি নরুণেতে।
কেন সে যে বুঝে নাই ভাবতেই দুখ বড়
কাটা কাটি খেলাতেই ওস্তাদ আমি
বড়।


ভাবি তাই বৌঠান রেগে মেগে কেন কন
নাপিতের বুদ্ধিতে আমি নাকি ঠন ঠন।
টন টনা কাটি চুল বিনা সেই শিক্ষায়
বাপে আগে জানলে দিত সেই
দিক্ষাই।


গর্বেতে ফুলে যেত চার আনা তার ছাতি
দাঁড়ি আর চুল কেটে অবিরত দিনে রাতি।
মোক্ষদা দাসি ছিল চিক চিক গুণ তার
তার সনে বিহা দিত হতো মোর
সম্ভার।