দুপ্রহর ৩/১০ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৭০ তম কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-
“পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দে রে”


পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দে রে,
খসে যাবার ভেসে যাবার
ভাঙবারই আনন্দে রে।


পাতিয়া কান শুনিস না যে
দিকে দিকে গগন-মাঝে
মরণ-বীণায় কী সুর বাজে
তপন-তারা-চন্দ্রে রে
জ্বালিয়ে আগুন ধেয়ে ধেয়ে
জ্বালবারই আনন্দে রে।


পাগল-করা গানের তানে
ধায় যে কোথা কেই বা জানে,
চায় না ফিরে পিছন-পানে
রয় না বাঁধা বন্ধে ররে
লুটে যাবার ছুটে যাবার
চলবারই আনন্দে রে।


সেই আনন্দ-চরণপাতে
ছয় ঋতু যে নৃত্যে মাতে,
প্লাবন বহে যায় ধরাতে
বরন গীতে গন্ধে রে
ফেলে দেবার ছেড়ে দেবার
মরবারই আনন্দে রে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দ রে”
“পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দ রে”



পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দ রে,
পারবি কি না বিয়োগ দিতে
মন্দ রে,
নিধন কোতল জঙ্গীপনায়
কাঁপতে পরান হৃদয় হারায়,
ভব পারাবার উল্টা দিশায়
হৃদ বেঁধেছি অনেক আশায়-
পারবি রে!
পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দ রে,
পারবি কি না বিয়োগ দিতে
মন্দ রে।
পারবি কি না বল দেখিনি,
বুকের মাঝের বল'টি চিনি
দারুন রবে ধরতে দিশা
দূর করে হৃদ তমানিশা
পারবি রে,
পারবি কি না যোগ দিতে এই ছন্দ রে!
আজকে পরান উছল ধারা
রক্ত লহু আজকে ধরা,
প্রাণ ভেসে যায় রক্ত স্রোতে,
মাতম সে রব জঙ্গী মেতে।
দশ দিশাতে বইছে গরল
ভাব খানি নাই-নাইরে সরল,
পারবি রে!
পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দ রে,
পারবি কি না বিয়োগ দিতে
মন্দ রে,


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“Would you be able to sing”


Would you be able to sing
With the great rhythm and
Could you abstain from
The devil of your
Heart and mind.
Could you, could you?
The the heart and soul are
Trembling by the terrorist activities,
All the humanity has gone
In the opposite direction
Each and everywhere.
Could you, could you?
Would you be able to sing
With the great rhythm
Please, please tell me, please tell me.
I could see the courage and the
Valour in you,
So, I would request you
Be awake up yourself and
Jump up to reform the society.
Why could you not, please tell me?
Please, please, please tell me.
You can see the bloody scenario
All and everywhere, in each part
Of the world, the terror that are
Going on.
The terrorist, they are up-roaring
Life is not easy task now.
So why?I cry! Why could you not?
Be able to sing
With the great rhythm and
Why not abstain from
The devil of your
Heart and mind.
To reform the society.
You can, you can.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ে আছে ভালবাসা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"কূহক"


এক আকাশ স্নিগ্ধতায় হৃদয় গেল ভেসে,
কাব্যগাঁথার কূজন প্রাণে
কূহক ডাকে
হেসে।
কল কাকুলি মধুর বুলি প্রশান্তিরই পরশ প্রাণে,
মধুর বোলের কান্তি বুলি
জাগলো হৃদয় অরুণ
গানে।
কুঞ্জে বিহগ উঠলো গেয়ে বাতাস দিল রব,
গাঁয়ের পথের কাব্যগাঁথায়
হৃদ সে কল-
রব।
উছল প্রাণে লাগলো দোলা বকুল দিল বাস,
ঘ্রাণ সে প্রবল হৃদ প্রাণ মন
উঠলো জেগে
আশ।
প্রবল সে বেগ গাঁয়ের দিশা ভাবতে লাগি বাসা
গড়তে সেথায় যেথায় বহে
দিব্য ভালো-
বাসা।


(গতকাল লেখা এবং প্রকাশ দেওয়া কবিতা। যেহেতু আসরের নিয়ম অনুযায়ী অনুবাদের মূল কবিতার প্রকাশ দিতে হবে, তাই আজও প্রকাশ দিলাম কবিতাটি অনুবাদ সহকারে আর তো আর কবি পরিচিতি কি দেবার প্রয়োজন আছে! আমার নিজের লেখা অনুবাদ করেছি ইংরাজিতে)


প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "জন্মভূমি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।


"বাসস্থান"
বাংলা আমার আদি প্রাণ তাই বাংলা গানটি গাই,
হৃদ প্রাণ মন জ্যোর্তিময়ী-জয়োগানে তার,
সুখ যে পাই।
প্রপিতামহ তার বাড়ি, বাংলার ওই উল্লাপাড়ায়,
যমুনা সেথা উছল ধায়-নাড়ির টান সেথা,
চোখ ভেসে যায় জলের ধারায়-
পালিয়ে ভারত
আসা।
ফেরত চাই সে ভূম মোর, বইছে ধারা চোখে,
কাপুরুষ নই যে আমি,
বইছে গরল হৃদয়খানি,
লজ্জাতে মোর
প্রাণ।
গাইতে মা'গো তো'রি গান,
দে না মা'রে তোরি ভুবন
আমার বাসস্থান।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“I think the Bangladesh is my native place”


I think the Bangladesh is my native place and so
I sing the song of Bengal.
It is the divine place of the Earth and
I got peace of mind to
Song thy.
So I would sing the song of my
Nation.
My forefather, their place was the Bangladesh and
They were from Ullapara where
Jamuna, the river flowing in full swing.
They escape away to India out of fear of
Riots and so, I
Indian am!
I am bearing the poison of division
In my heart and sole and
I am not happy with it.
I shy and feel myself as a
Coward.
I want; I want my house, Ullapara in Bengal,
I cry for it, mom.
I would like to sing your song only
Please, please, please Mon
Please return me back, my own
Home, my dear
Mom.


প্রিয় কবি রামপ্রসাদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গ্রাম্য সন্ধ্যা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


একবার দূর্গাপূজার সময় পরিবার সমেত পূজা দেখতে শিলিগুড়ি থেকে ৪৫ কিমি দূর জলপাইগুড়ি শহরে গিয়েছিলাম। জলপাইগুড়ি ঢুকতেই এক বিস্তৃত প্রান্তরে হাজার হাজার জোনাক উড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি্ল। গাড়ি থামিয়ে প্রায় এক ঘন্টা আমি এবং আমার স্ত্রী বাচ্চারা জোনাকের সাথে খেলা করেছিলাম। আপনার অপূর্ব সুন্দর লেখাটা পাঠ করে সে দৃশ্য যেন আবার চোখে ভেসে এল। সেদিনের সে স্মৃতি কবিতার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখবার প্রয়াসে মাতলো মন।
"অপরূপ"


আহা! কি অপরূপ স্নিগ্ধ সে রূপ জোনাক সে রাশি,
আলো আঁধারিত জ্বলজ্বলে চমকিত,
বড় ভালোবাসি। ভালোবাসি।
মেঠো পথে কালো জোনাকের আলো ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি,
গেনু ভেসে প্রাণে, আনমনে-আনমনে,
শত তারা দেয় বাতি।
জীবনের ক্ষেতে দগদগে ক্ষতে বাসনার আরাধনা,
রোদন আর দুঃখেতে, দ্বেষ আর বিদ্বেষে,
দানবের আনাগোনা।
হৃদয় ব্যথিত বেদনার ঢেউ শত কলরোল,
উদাসীন ঘন আকাশে বাতাসে,
কান্না সে ধরা বোল।
এইখানে প্রাণ জোনাকের দান স্নিগ্ধ সে রূপ,
দুনয়ন হেরি সুখের সায়েরি,
নন্দন অপরূপ।

প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হাওড়া ব্রিজ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“আজব গানা”


রে বুলবুল ব্রিজ খোঁজ নামকরণ হবে রে,
তার উপরে গাড়িঘোড়া অনেক বাপু
চলবে রে!
হায় রে হায়! কি যে ভাবি ঠাকুর তো আর আমি নই,
ঠিক বলেছিস শিষ বাজিয়ে-
ব্যঙ্গ করে ধরতে
সই।
তাও যে বুল দুঃখ মনে স্বপ্নে কেন দেখতে রই,
চুরি যাওয়া মেডেলটারে-
আমার ঘরে ঝুলতে
সই।
হাকিম ডাক বদ্যি রে ভাই ওসুদ (ঔষদ) কিছু দাবাই বানা,
চট জলটি ফট করে বে, থামা রে ভাই
আজব গানা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সে জেলে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"জেলে"


ও জেলে জেলে, মাছটি তুমি ধর,
রাতের আঁধার জাল বিছিয়ে
কাজটি তোমার কর।
ও জেলে , জেলে! দিন কিবা রাত
নাই যে ছুটি, ওরে আমার পরান মোতি
কাজ কি তুমি কর?
ভব দরিয়ায় জাল বিছিয়ে
লীলায় আকাশ ভর।
ও জেলে জেলে, মাছটি তুমি ধর,
রাতের আঁধার জাল বিছিয়ে
কাজটি তোমার কর।
দিন কি'বা রাত তোমার জালে
তোমার পাশার মাতন চালে,
কি মাছ তুমি ধর।
নিত্য দিনে শঙ্কা প্রাণে,
চাইতে প্রভু তোমার পানে
জালখানি কবে টানো,
জেলে-ও জেলে, কাজটি তুমি কর
দিন কি'বা রাত জাল ফেলিতে
আমার পানে আনো।
ও জেলে জেলে, মাছটি তুমি ধর,
রাতের আঁধার জাল বিছিয়ে
কাজটি তোমার কর।


প্রিয় কবি ড. শাহানার মশিউর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বড় তফাৎ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"বন্ধন"


বিবিধের মাঝে মিলন মেলায় মানব দেব,
শ্রেষ্টতম জীব এ জগৎ মাঝারে,
নাহি ক্ষেদ নাহি ক্ষেদ
ধর্ম কি ভক্তি
রে।


সহাবস্থান আনে ভাতৃপ্রীতি আর সৌহদ্য,
মিলেঘুলে না যেতে পারলেও
প্রীতি আর ভালোবাসা
সে বন্ধন করে
পৌরহিত্য।


হে মহামানব তোহারে করি আহ্বান,
আজিকে ধরায় আনিতে ত্বরায়
বিদ্বেষ বিষ আজিকে ঝরায়,
ভালোবাসা প্রীতি
বন্ধন।


প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এই ভালো এই ভালো", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"আজব তামাসা"


হায় রে হায় ভূত কি কয় আজব তামাসা,
চল রে বুল দৌড়ে চল
সেই দেশেতে বাঁধি
বাসা।
ভূতগুলি সব গরন কালো মনটা বেজায় ভালো,
ওদের দেশে হেসে খেলে
করবো জীবন
আলো।
আর দেবতা তোমার বাসা না যাই মন্দিরে,
কালের কালি কালিমাতা
মুন্ডু হাতে ফন্দি
রে।
আর তো আর ঈশ্বরেতে করবো না'রে আরাধন,
আরে, শিষ বাজা রে বুলবুলি ভাই
ধর রে দারুন নাচন
কোদন।
রবের দেশে কান্না শুধু রব যে কানা হুলো ভাই,
তার দেশেতে দ্বেষ বিদ্বেষ-
ভূতের দেশে
নাই।
চল রে কানাই চল রে মদন ওই গাছটার তলে,
লাগিয়ে সে ফাঁস ঝপাত করে
ভূতের দেশে
চলে।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্নবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নলিনখুড়োর গল্প", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"গুর গুর গুর"


হায় হায় রে, আসরটারে করছে ভূতে তাড়া,
হেইখানে ভুত, হইখানে ভূত
নলিনখুড়োর
গড়া,
হেতাক কানাই রাখিস জড়ো সর্ষে তিলের বাটিখান,
আর কন্ঠে জপিস রে ভাই
জোরসে জোর রাম
নাম।
থর থর থর কাঁপছি রে বুল জপের মালা দে না ভাই,
ডর ডরেতে ঘাম ঝরে রে
ভুলেই গেলাম
মন্ত্রটাই।
ভাবছি রে ভাই আসর টাই পালাই পালাই ধ্বনি,
হায় রে বুল বন্ধ কেন,
ভয়েই বোধহয় শিষ
বাজানি।
তার চেয়ে বরং চলনা ভরং ওঝার কাছে চলনা বে,
গুর গুর গুর, তাক তাক তাক,
ভীষণ ভয় ধরছে
রে।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কিশোরী মন", কবিতার উত্তরে একটু আগেই লেখা কবিতা।
"কান্না"


তাই কি গো, কান্না প্রাণে
ছেরা ছেরির কির্তনেতে,
বাপ মা মুই কানতে রই
দুই চক্ষু আঁখি
পাতে।
হেলায় মুবাইল; প্রেমে মাতে
কইতে শরম প্রান,
ফেসবুক আর,  হোয়াস্ট্র আপে
দিন রাত্তির গান।
হেই কথাতা মানেই না ভাই,
ভার্চুয়ালে শঠের বাড়ি,
পই পই কই-মানতে কি আর
করতে থাকে বাড়া
বাড়ি।
বুঝবি সে দিন কান্না অনেক
বেইচা দিব যবে,
বেলচা দিয়া খুড়বো মাইয়া
তোরত এই
ভবে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "টাকা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"তাধিন তাধিন"


ট্যাহা রে বাপ ট্যাহা!
টক টকানি ট্যাহা!
টাট্টু ঘোড়ার পিঠে সওয়ার
টানটান পিঠ চলছে
হাওয়ার,


টাই পরা সেই তাধিন নাচে
টাল মাটালে যদি যাচে! (আয়কর)
টহল দারির
সীমানায়।


টাল খাবি রে টাট্টু ঘোড়া,
টাল মাতালে আকাশ ওড়া,
টক টক বীণ বাজলো যদি,
ট্যাহার খনিটায়।


টা টা যদি দিলই করে,
ট্যাহাগুলি আকাশ উড়ে,
টাই যদি তোর গেলই খসে,
টাই টাই ফিস হতেই
ঘসে।


তাধিন ধিনা তাধিন ধিনা
তবলা বাজে, তাল
পাবিনা।