"লেখনী"


লেখনী তুমি চির ভাস্কর চির অম্লান;
তোমারই কৃপায় সৃজনে রচিত শত কত
পরিণয় পরিণাম।
তোমার ই ধারাতে ধরণীতে তুমি; সরায়ে করাল কালো
লেখনী, তুমি তো পরম; কাল সে প্রবাহে জ্বেলেছো
জ্ঞানের আলো।
ঝর্ণার স্রোতে বহিতে সাদায়; কালোয় রয়েছো লীন
তোমার ই পরম দোয়াদ দানিতে জড়ায়ে
অযুত ঋণ।
তুলোট কাগজে জড়ায়ে হৃদয়ে প্যাপিরাসে কতকথা
রেখেছো পরম আদরে বিছায়ে, কতনা
কাব্য গাথা।
মহা-প্রেমের অমরাবতী সে, মথুরা বৃন্দাবন
গাথিলে হৃদয় যুথিকো মালেতে; হৃদয়ের
আলাপন।
অমর সে দান লেখনী তোমার ই, হোমারের কতকথা  
যুগ যুগ কাল শাখায় শাখায় বাহিত তোমার ই
গাথা।
সাহসীর তুমি দীপ্ত সে কর কাণ্ডারি বিপ্লবে
তোমা বিনে রব রুধিত গরল; স্বস্তি
নাহিকো ভবে।
ঐশী ধারাতে রয়েছো ধরাতে কবির হৃদয়ে বাস
লেখনী তুমি তো দিব্য পরম; করেছো
আমারে দাস।
তোমার ই বিধানে অসুর নিধনে সঁপিয়াছি প্রাণ মোর
লেখনী তুমি তো অনলো ধারাতে; জাগাও
ঊষার ভোর।
আজিকে ধরণী নাহিকো তরণী, নাহিকো মমতা স্নেহ
ছল ও শঠতা, হিংসা ও দ্বেষ; মানবিক
নাহি কেহ।
এসো হে পরম হৃদয়ে আমার ই জ্বালিতে সে দীপ মালা
মিলে দিতে চাই ধরণী সমীপে; প্রেম সে
সাজির ডালা।