Sanjay Karmakar
badge icon
Founding Members
  · JrgetuSpofnsssot lrrenorSdw  ·
"ললাট দান", পঞ্চদশ পর্ব


তপ্ত জাতি জাত্যভিমান বহ্নি জ্বালে শিখা
রণ সে দারুন নয়টি মাসের হৃদয় দিয়ে লেখা'
রাজাকারের নাপাক দমে পড়লো ভাটার টান
মুক্তি ফৌজ দামাল সে ভূম; করলো
সমর্পণ।


উদয়নের লোহিত আভায় ধন্য যে হয় জাতি
লাল সবুজে গঠিত সে দেশ আঁধার কাটে রাতি।
সরোজ তাহার শোভায় ভারি সরোবরে ফোটে
স্বাধীন দেশের তকমা লয়ে; গতির
পানে ছোটে।


মুজিব সে জন রাষ্ট্র পিতা বক্ষে সে লয় প্রেম
গড়তে সে ভূম মানবতায় ছিন্ন সে তল হেম।
দীপ্ত তার ঐ উজল দিশা লক্ষে অবিচল
কর্ষণে হাল শস্য শ্যামল; উদার
গগন তল।


বইলো ধারা উন্নয়নের জোয়ার এলো গাঙে
অমর একুশ বাহান্নর ওই দিব্য স্তুতি গানে।
ভৈরবে সুর আকাশ ভেদী সপ্ত সাগর পার
বাইতে সে জন গাইতে সে জন; মুক্ত
উদার দ্বার।


কণ্ঠ জাতির মুক্ত হেথা বাংলা আমার ভাষ
গড়বো সে ভূম কনক সুধায় আমার অভিলাষ।
ললাট যে জন গড়েন এ ভূম তাহার গাহি গান
মুজিব সে জন যুগ সে পুরুষ; ললাট
তাহার দান।
_________________________________
(প্রথম পর্বটিই আজ প্রাধান্য পাবে। আগের পর্ব সকল এ পাতায় রেখেছি ভবিষ্যতে আমার প্রকাশনার সুবিধার জন্য তবে কেহ ইচ্ছা হলে পাঠ করতে পারেন)
___________________________________
"ললাট দান"


বাংলা দেশের আকাশ বাতাস সবের মাঝেই তিনি
বীর বঙালি অমর তুমি আমরা তোমার ঋণী।
বাংলা দেশের আনাচ কোণাচ তোমার সে ঘ্রাণ বহে
আকাশ বাতাস ভূম ও সাগর তোমার
কথাই কহে।


ধান্যে তুমি কনক রাজি হীরে মোতির ঘ্রাণ
যেদিক তাকাই তোমায় দেখি তোমার ধরা গান।
পুষ্পে তুমি বর্ণ তোমার রবির কিরণ শোভা
চর্তুদিকেই তোমার ছবি দীপ্ত
তোমার প্রভা।


জাতির জনক কনক তুমি শ্রেষ্ঠ তুমি বীর
তোমার দানের বাংলা ভূমি উচ্চ মোদের শির।
এই দাদাটি কেনই ভাবি পায় না তোমায় খুঁজে
ললাট যেথায় তোমার সে দান; ধন্য
তোমার দান।


"ললাট দান", দ্বিতীয় পর্ব


সোনার আলোক ঢেউ খেলে যায় অবাক চোখে চায়
দিব্য সে ভাব সৌম্য সাথী মুজিব ডানে বায়।
উপর নিচ গগন তলে প্রলম্বিত বীর
চাঁদ তারা সব নম্র নমিত; চুমতে
তাহার শির।


তার সে নীড়ে পদ্মা মাতে বইতে তাহার তল
বিবিধ জাতি ধর্ম বিবিধ প্রাচুর্যতার ঢল।
ঊর্মি মালায় মালায় গাথা তার সে ইতি কথা
তাহার নামে সূর্য উদয় চন্দ্র
আলোক দাতা।


বিভায় তারি গগন ভারি অন্ন তাহার দান
ভুলতে নারি গাইতে তারি তার সে অবদান।
রজত সেথায় কান্তি হারায় কনক হারায় দ্যুতি
পান্না মানিক লাজ সে নীড়ে; অমোঘ
তাহার জ্যোতি।


উন্মিলনের দিশার সাথী বাংলা মাতার তাজ
উদার মায়ের স্নেহের সে ধন মুজিব তাহার রাজ।
বিহঙ্গের ঐ কূজন তাহার গাইতে তার ঐ গান
তাহার ছায়ায় ব্যাপ্ত ভুবন; ললাট
তাহার দান।


"ললাট দান", তৃতীয় পর্ব


বহ্নি শিখায় প্রকাশ তাহার বীর্যে অনল তিনি
দাবানলের খর সে তাপিত তোমায় মোরা চিনি।
আকাশ উঁচু নাদ সে তোমার অগ্নি পুরুষ প্রাণ
বাংলা দেশের বৃক্ষ লতায়; জড়ায়
তোমার নাম।


মেঘনা তুমি কালনা তুমি যমুনার ওই জল
তোমার চরণ চুমতে ধারায় বইছে অবিরল।
দীপ্ত তুমি উচ্চ তুমি কণ্ঠ তোমার সুর
বাংলা তোমার সাধের সে রণ; না-পাক
করি দূর।


নিনাদ তোমার ভাঙলো জাতি কুম্ভ সে তার ঘুম
জাগলো দেশে স্বদেশ সে প্রেম জাগলো লতা দ্রুম।
টুটলো জাতি বইতে রুধির মুষ্ঠে লয়ে প্রাণ
লগন সে তার গাইতে তারা; স্বাধীনতার
গান।


স্বপ্ন পুরুষ রও সে তুমি হৃদয় দ্বারকায়
তোমার সে ঋণ পূরণ কভূ; কভূই হবার নয়।
গাইছি রবে গাইছে সবে প্রেম সে তোমার গান
ধন্য তুমি ধন্য ভূমি; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", চতুর্থ পর্ব


বাংলাদেশের কোণার কোণায় তার সে নিনাদ বয়
ভায়ের মায়ের ভালোবাসা সিক্ত হেথায় হয়;
মধুর সে সুর পদ্মা বহে শুদ্ধ সে জল তার
বাংলা মানে সোঁদা মাটির; ঘ্রাণ সে
একতার।


সে ঘ্রাণ অমোঘ বক্ষে ধরি অটল যে হয় পণ
ভুলতে নারি ঝলক তার ই জীবন আমরণ;
জ্যোতিস্কের ওই পরম সে ধাম কালে কালেই ঋণী
হেথায় মুজিব মহান সে প্রাণ; ধন্য
যে হয় ভূমি।


প্রশান্তির ওই দিব্য সে ছায় হরিত শ্যামল কায়
সাগর হেথায় মিলন মেলায় অরূপ হেথায় ধায়।
জননীর ওই চরণ রাঙা কোমল সে তার তন
দিব্য সে তন জড়ায় মুজিব; তাহার
আরাধন।


তাহার গানেই ঝর্ণা ছোটে মিলন সুধার পানে
মহিমা তার ওই বর্ণনে পিক সুরের ধ্বনি টানে।
পুষ্প কলি আর সে অলি গুঞ্জনে গীত গায়
অভিরূপের শীতল সে ছায়, মলয়
বাতাস বয়।


দিগন্তের ওই রঙিন আভায় সূর্যোদয়ের পথে
তাহার স্মরণ লই যে মোরা দিন কিবা রাত প্রাতে।
এ দেশ ভাষার এ দেশ ভাসার বীরের স্তুতি গান
ধন্য যে হই জন্মে এ ভূম; ললাট
তোমার দান।


""ললাট দান", পঞ্চম পর্ব"
(আসরের বরেণ্য কবি শ্রী শ ম শহীদ সাহেব মহাশয় এই কবিতাটি লিখতে আমাকে যারপরনাই প্রোৎসাহিত করেছিলেন, তাই ললাট দানের এই পর্ব-টি তার প্রতি উৎসর্গ করিলাম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন উদ্দেশ্যে)


মুজিব মানে মুক্ত দিশা
মুক্ত মনের গান;
মুজিব মানে জাতির পিতা
অমোঘ অবদান।


মুজিব মানে আশার কিরণ
ডুবলো যেথায় তরী;
মুজিব মানে পণ ফরিয়াদ
লক্ষ্য স্বাধীন তার ই।


মুজিব মানে দেশো-প্রেমের
ঈমান ধরা খাঁটি
মুজিব মানেই একটি দেশ
একটি স্বাধীন
জাতি।


"ললাট দান", ষষ্ট পর্ব


রণ ভেরী বাজলো মাদল; বুলেট খোঁজে বুক
ভগ্নী মায়ের দলন তাহে রইলো না কেউ মূক।
লক্ষ সিপাই অগ্রে মুজিব উদ্দীপনা তায়
সাধ্য না হয় সাধতে পরাণ; ক্রোধ ও
ঘৃণায় ধায়।


মা জননী আব্রু হারা ভগ্নী জায়া সবে
পাষাণ ওই পাক সেনা তার ঘৃণিত মহোৎসবে।
হার না মানা বীরের জাতি পুকার তোমার তায়
শিরায় শিরায় বহ্নি সে বয়; ক্রোধিত
জনতায়।


ভীষণ সে রণ লোহিত বরণ শপথ তোমার পণ
ত্রিশ লাখ সিপাই তোমার হেলায় দিল প্রাণ।
দেশের তরে ধন্য তাদের বীরগতি লয় তারা
লক্ষ্যে অচল বীর সে জাতি; রয় যে
অশ্রু হারা।


কণায় কণায় তোমার ছোঁয়াচ পুণ্য এ ভূম তায়
গরব মোদের তোমার গাথায় রইতে তোমার ছায়।
শৌর্য তোমার বীর্য তোমার অমোঘ তোমার পণ
শৃঙ্খল মার উন্মোচনে; ভীষণ
তোমার রণ।


প্রেমের আকর ভূম সে তিনি সাহস ন্যায়ের ব্রত
তার বাণী সে প্রদোষ যাহা মিলায় সে হৃদ ক্ষতো।
ঝঞ্ঝা তুফান বৈতরণী কূল সে বহু দূর
পাড় করে নাও বৈঠা মাঝি; কন্ঠে
তার ওই সুর।  


মসজিদে রব আজান ধ্বনি মন্দিরেতে শাঁখ
বিজয় তাহার চুমতে কদম স্বাধীনতার হাঁক।
কায়ায় তারি বদান্যতার রূপ সে তাহার গান
ধন্য জাতি ধন্য ভূমি; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", সপ্তম পর্ব


দিক বিদিকে উদ্ভাসিত দীপ্তি প্রভার বান
সোনার আলোক ঢেউ খেলে যায় গাইতে তোমার গান।
গরিব ধনী সবাই ঋণী দিব্য সে তার কায়
উন্মেষে হৃদ অঙ্কুরিত; হয় সে
ধ্বনি তায়।


গৌরবের ওই আখ্যানের ঐ সুধায় লিখিল পল
ধন্য যে হয় সাধতে তোমায় এদেশ গগন তল।
এ দেশ বীরের বাগ্মিতার ওই; ঐশী ধারা তুমি
সৌম্য তোমার জন্ম এদেশ; দিব্য সে
তল ভূমি।


সৌম্য দেহী কান্তি অলক বজ্র তোমার নাদ
পুকার তোমার গগনভেদী তীব্র ফরিয়াদ।
গুঞ্জিত সে নাদ সে ধ্বনি বিক্রমের ওই তাল
না-পাক জনায় সে মেঘ ঘনায়; কুঁচকে
সে ছল ভাল।


তুফান তুমি তড়িৎ তুমি ঝঞ্ঝা প্রবল কায়
শত্রু শিবির চমকে উঠে; পিছন পানে চায়।
কালবোশেখী রুদ্র পুরুষ ভৈরবের ঐ গীতি
বিশ্ব নমিত তোমার সে প্রেম; তোমার
স্বদেশ প্রীতি।


এ দেশ মুজিব, সুবাস সে তার হৃদয় দ্বারকায়
পরম পুরুষ দান সে অমোঘ; পরিশোধের নয়।
গাইছি রবে গাইছে সবে প্রেম সে তোমার গান
ধন্য তুমি ধন্য ভূমি; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", সপ্তম পর্ব


নব্য দিশায় গড়তে ধরা পথের নিশান তুমি
তোমার প্রাণের মূল্যে কেনা আমার জন্মভূমি।
আকুল হৃদয় ব্যাকুল যে হয় তোমার নিধন তায়
সে জন বাসি জাহান্নমের; কীট সে
সমতায়।


দলন রমন করলো যারা ভগ্নী জায়ায় সবে
আব্রু হারা হয় নি তারা তোমার গড়া ভবে।
মহান সে দান বক্ষে ধরি তোমার গাহি গান
বাংলা ভূমের ধূল সে রেণু; তাদের
অবদান।


ও মা তোমার পূজ্য চরণ মাথায় মা গো ধরি
দু চোখ ধারায় হৃদ সাগরে স্মরণ তাদের করি।
অশ্রু তাদের তোমার স্নেহে যায় নি ওগো বৃথা
বৃন্দাবনের পুণ্য সে ভূম; তাদের
কতকথা।


এক সাগরের লহুর সে বান ও মা তোমার খাতে
বইছে ধারায় অমোঘ সে দান দিন কিবা রাত গতে।
দিব্য সে রঙ লোহিত বরণ লহুর ধারায় মাতি
আকাশ বাতাস গগন চুমে; ধন্য এ ভূম
মাটি।


স্মরণ তোমার বরণ তোমার পল পল হয় হেথা
পলক হারা হয় যে জাতি গাইতে তোমার গাথা।
গাইছি রবে গাইছে সবে প্রেম সে তোমার গান
ধন্য তুমি ধন্য ভূমি; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", নবম পর্ব


অমৃতস্য পুত্র তুমি তেজস অংশুমালি
অমানিশায় কিরণ তুমি সাজিয়ে তোমার ডালি।
অঙ্গে তোমার ঝলক দ্যুতি বঙ্গে সদাই বহে
এক সে সুর এক সে লয়; হেথায় সে
গীত গাহে।


মরণ তোমার হয় নি কভু অমর তুমি হেথা
হৃদ সে সকল বাংলা ভূমের রক্ত দিয়ে লেখা।
জীবন মরণ সন্ধি হেথায় বাংলা সে ভূম গড়া
বর্ণ হাজার ধর্ম জাতি; ভ্রাতা-
সহোদরা।


লিপ্ত কালি কোমল সে ভূম রাজাকারের দলে
নিষ্পেষণের তাপ সে গরল হলাহলেই চলে।
নিয়াজীর ওই কপট সে ছল রুধতে তড়িৎ গতি
বাজ সে মুজিব কণ্ঠে স্বরাজ; জাগিয়ে
তোলেন জাতি।


জাতির পিতা তাই তো তিনি তার ঐ অবদান
ভুলতে কি আর! ভুলতে পারি গাইতে তাহার গান।
শ্রস্ত্র তুমি অস্ত্র তুমি বজ্র তুমি নাদ
কণ্ঠে যে তাই নিনাদ আমার; তোমার
ফরিয়াদ।


বঙ্গ আমার অঙ্গ আমার স্বাধীন আমার দেশ
কণ্ঠে আমার বাংলা সে ভাষ বাংলা আমার বেশ।
অঙ্গে সে তার জড়িয়ে সে ভূম গাইছি তোমার গান
ললাট আমার ললাট জাতির; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", দশম পর্ব


বাংলা ভাষা জগত বিদিত ভাষার তরে প্রাণ
রফিক জাব্বার বরকতের ওই আত্মহুতির দান।
মুক্তি তরে কণ্ঠ ও মা বীর সে শহীদ কত
সেলাম তাদের বক্ষে ধরি; তাদের সে
পণ ব্রত।


মুষ্টে ও মা প্রাণ যে মোদের বাংলা ভূমের তরে
মুজিব সে জন লক্ষ হাজার দেশের ঘরে ঘরে।
লোহিত ধারায় ধন্য এ ভূম কণায় কণায় নাদ
ব্যাপ্ত ভুবন লিপ্ত নিহিত; অমোঘ
ফরিয়াদ।


যুগ পুরুষের সুরের বীণায় তরঙ্গিত তল
সে সুর ধারায় বইছে এ দেশ; বইছে অবিরল।
শ্রেষ্ঠ এ ভূম শ্রেষ্ঠ এ ভাষ বিশ্ব নমিত তায়
ভাষার দিনে ও মা সকল; তোমার
গীত ওই গায়।


শৌর্যে তুমি গরব ভূমি বীর্যতার ওই গাথা
লক্ষ হাজার মুজিব হেথায় মুজিব জাতির পিতা।
কণ্ঠ তুমি হৃদয় তুমি নিনাদ তুমি রব
যশ আর প্রভায় উজল এ দেশ; ধন্য
যে হয় ভব।


তোমার সে প্রেম আজ ও বহে কন্যা তোমার প্রাণ
দেশের তরে দশের তরে গায় সে প্রেমের গান।
সেলাম তাহায় লক্ষ প্রণাম তার সে অবদান
ধন্য যে হয় ধন্য এ ভূম; ললাট
তোমার দান।


"ললাট দান", একাদশ পর্ব


(আজ ভেবেছিলাম ললাট দানের আজকের পর্ব হয়তো বা প্রকাশ দিতে পারবো না কারণ মিনিট পনের আগে চেম্বারে এসেছি। তবুও একবার ভাবে ঢুকবার চেষ্টা করে দেখবো ভাবলাম। মহান ঈশ্বরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখা হয়ে গেছে। ঈশ্বর মহান)


আজিকে সুজলা, সুফলা জননী; কাঁদিছে জীর্ণ কায়
অসার বোধেরই বিকচিত সুর; দিগন্তে বাহিত হায়।
দীর্ণ আজিকে সে বোধ বাঙালি ভুলিয়াছে সুরো তাল
দিকে দিকে রব কান্নার রোল; লুণ্ঠিত
হীনো বল।


ভ্রষ্টাচারের সোপানে দলিত; মলিন মাতার মুখ
ন্যায়েরই সারথী নাই হে ভারতী ক্রন্দনে বয় বুক।
দিকে দিকে রব গৃদ্ধ আজিকে হানিছে কুঠার হায়
ভগনী আজিকে আব্রু হারায়ে; দীর্ণ সে
প্রাণ কায়।


খরো বায়ে দেশ জাত ও জননী তন্বী সে আর নাই
হিংস্র ও খল জাত্যভিমান; দিকে দিকে কান্নাই।
সে রোল বাতাস বাহিত সে রব হৃত সে ঋষির নাদ
ভুলিয়াছে দেশ তীব্র সে রব; তোমার ওই
ফরিয়াদ।


ফরে ও দালালে উজার আজিকে পুণ্য সে মার কায়
মরমে আজিকে বিভেদো বাহিত দিকে দিকে অন্যায়।
ক্রন্দন রোল ছড়ায়ে বাতাসে জননী কাঁদিছে দুখে
বিষমতা বিষ হলাহলে আজি; কেহ নাই
আজি সুখে।


নেমে এসো দিক, দিকের ই দিশারি মুজিব আজিকে হেথা
লিখিতে সে গীত পুনঃ সে ভূমিতে গরব গাহিতে গাথা।
দু-কর জড়ায়ে বক্ষে আজিকে গাহিনু সে গীত আজি
ললাট আজিকে রণ সে চুমিতে; রাখিতে
সে দান বাজি।


"ললাট দান", দ্বাদশ তম পর্ব


মধুকরা গুঞ্জনে ফুলে ফুলে কেঁদে যায়
দ্বারে দ্বারে দুখ বহে ক্ষোভ আর হতাশায়।
যুব জনে দিশা হীন উদ্যমে ভাটা তারি
ভ্রষ্ট সে দুখ নীড়ে অঙ্গারে
প্রাণ তারি।


উঁচু নিচু ভেদাভেদে জাতি তায় মতি হারা
শ্রেণী তার-ই বিভেদেতে আজি তারা গতি হারা।
ছলনা ও চাতুরীতে হায়েনার বুলি রব
শৃঙ্খলে বাঁধে প্রাণ; শঠতায়
গড়া ভব।


তরঙ্গ হারা নদী বাঁধে তারে শৈবালে
ভ্রুকুটি সে তারি আজি প্রতি ঘরে প্রতি ভালে।
প্রতিবাদ হারা রব চঞ্চুতে নাহি প্রাণ
অধমের ই চরণেষু; গাহে আজি
তারি গান।


অনিমেষ চাহি মূক; বধ্য সে জলাশয়
দানবের-ই চাহুনি সে নাহি হেরি বরাভয়।
ভয়ার্ত চিৎকারে হৃদ ভাঙে খান খান
নাহি নাহি নাহি আজি; মানবতা
জয়োগান।


নেমে এসো নেমে এসো হেথা আজি পিতা তুমি
তোমারি সে আগমনে; সুজলা সে চাহি ভূমি।
বধ্য সে ভূমি রাজে তোমার ওই গাহি গান
ললাটের অধিপতি; দাও ওহে
বর দান।


রাজাকারের সে ক্ষত মাগো আজও তোমার গায়
অঙ্গ জ্বলন দলন রমন আজও তোমার হয়।
শিকড় তাহার গহিন গভীর লিপ্ত কালিমায়
প্রদাহ সে তার ঘৃণ্য গরল; আঘাত
হানে হায়।


ক্ষুধিত পাষাণ ভুবন সে তার হলাহলেই মতি
সপ্ত সাগর ধন সে লুটে আজ সে অধিপতি।
কুঞ্জ তোমার পুণ্য ভূমি নিনাদ তার ঐ বয়
জীবন গরল হয় গো তোমার; আজও
তোমার হায়!


মাগো গো তোমার চরণ কমল বক্ষে ও মা ধরি
বিপ্লবের ঐ অনল শিখায় পণ যে আজি করি।
ধন্য তোমার ভুবন মাঝি ধন্য মুজিব তায়
গড়বো সে ভূম কনক মোতির; শস্য
শ্যামলায়।


হাসবে লতা হাসবে পাতা; বৃক্ষ এবং দ্রুমো
স্বপ্ন ভুবন গড়বো সে ধন স্বর্গ মাগো সম।
বিহঙ্গের ওই মধুর সুরে; গাইবে সুজন মাঝি
চপল কায়ে মোহিত বরণ; ভগনী
রবে সাজি।


দিব্য সে প্রেম বইবে খাতে ঐশী ধারার ঢল
ধান্য ধনে শ্রেষ্ঠ সে ভূম রইতে ধরার তল।
মাগো পিতার দান সে অরূপ; ললাট তাহার দান
পণ করি মা রইবে অটুট; গাইতে
তাহার গান।


"ললাট দান", চতুর্দশ পর্ব
(ঈশ্বর মহান)


গৌরবের ওই রচতে সে গীত যায় যদি যাক প্রাণ
বিদ্রোহের ওই বীজ বোধনের; গাইবো সে সুর তান।
বহ্নি শিখা দাবানলের ছড়িয়ে দিতেই তাপ
বইলো যদি রুধির সে মোর; নাইকো
অনুতাপ।


রুধির সে মোর জন্ম দিতেই রক্ত বীজের দল
শৌর্যে তাদের বীর্যে তাদের ধন্য গগন তল।
দীপ্ত শিখা অনল তার ওই; ললাট দিতেই দান
সৃষ্টি দিতেই স্বর্গ সে ভূম; তাদের
অবদান।


লক্ষ মুজিব নাদ সে আকাশ ফরিয়াদের রব
ধ্বংস করি বংশ তাদের কংস যাদের স্তব।
কংস বিনে তোমার বীণায় বইবে প্রেমের সুর
অশ্রু তোমার বইবে না মা; দূর হবে
সে দূর।


ব্যাপ্ত গগন লিপ্ত র'বে গরব সে গীত গানে
শীতল মলয় সৌম্য সে কায় শান্তি আগমনে।
বইবে ধারায় সে কূল মাঝি একতারার ঐ গান
সাম্যতার ওই শিষ্ট সে বায়; অরূপ
র'বে প্রাণ।


আয় সকলি কদম মেলি গাইতে সে গীত রবে
আজ সকাশে কাঁদছে যে মায় আয় চলে আয় তবে।
মুষ্টে লয়ে প্রাণের আকাশ রুদ্র সে গীত গাই
ললাট তাহার ধন্য দানের; আয় রে
মুজিব ভাই।