“বলিদান”
(লেখাটির সারমর্মঃ প্রভু আমার ওপর সওয়ার হয়েছিল, তার প্রতি আমার বিদ্বেষ বিসর্জন দেওয়াবার বা বলিদান করাবার জন্যে। আমি উল্টে যা ভাষণ দিয়েছি তাতে প্রভু বেকায়দায়, আমি এখন প্রভুকে জিজ্ঞাসা করছি, এমন পরিস্থিতিতে তার কী কী বিসর্জন দেওয়া উচিত! হাঃ হাঃ )
হে মোর দেবতা
ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
ছলনা করিছো দিবা রাতি তুমি
কহ: চাহিছো কী বলিদান?
আহুতি আরতি কী বা
হোম যোগারতি
মন্দির কী বা মূরতো তোমারই
বিন্দু নাহিকো মতি।
আলয় কী দেবালয় তব!
মূরতো পাষাণ গতি,
পদ লেহনেতে তব গাহিবে মানবো
চাহিদা কী তব, পশুপতি?
হেথা, অন্ন নাহিকো দ্বারেতে মলিনো
পথে পথে কাঁদে প্রাণ;
ছাত নাহি তল গগনো আকাশ
নগ্নতার ওই গান।
দেশে দেশে রব হুহুঙ্কারে
রক্ত লহুর বান;
মারিছে কাঁড়িছে ভূম সে তাহারই
দিকে দিকে শয়তান।
পাষাণো বেদিতে সুখেরই আলয়ে
পূজা পাঠ লহ তুলি!
কত শত মোন ঘৃত চন্দনে তব
তাহারা; দিতেছে জলাঞ্জলি।
নাহি নাহি প্রভু গাহি নাহি কভু
তোমরই চরণো তলে;
যেথা, পাষাণো মূরতো সুরতো তোমারই
মাল্য হীরকো গলে।
হে মোর দেবতা
ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
ছলনা করিছো দিবা রাতি তুমি
কহ; কী বা দিবে বলিদান?