"বৈশাখের গান"


আজিকে প্রভাতে পশিল সে কর ঝলকেতে গানে গানে,
মধুরো বুলিতে ঢুলিতে পরাণো
বাদ্য গীতির
সনে।
আজিকে প্রভাতে প্রভা সে জাগিল প্রভাতো রবির কর,
দিক হতে দিক-উদ্ভাসিত;
উদয়নে দিবাকর।
উদয়নে দিবা-
কর।
বৈশাখী ঝড় উড়ায়ে বায়ু জীর্ণ সোপান তল,
মঞ্জুরিত বৃক্ষ লতায়-
কিশলয়ে তরু-
দল।
কিশলয়ে তরু দল।
আজিকে দুয়ারে বাজিলো মাদল বৈভবে প্রাণ বয়,
দীপ্ত রবিরো করেতে সে দ্বার
আলোকিত ভোর
হয়।
আলোকিত ভোর হয়।
তমানিশা দূর জাত্যাভিমান স্বাভিমানে প্রাণ জাগে,
জোনাকির টিপ, টিপ টিপ লয়
রবিরো কিরণ
মাগে।
মানুষের গান মানুষের ধন মহান সে প্রাণ অতি
আসিতে পুরিতে ধরাধামে আজি
জ্ঞানের অধি-
পতি।
মহা জ্ঞানের অধিপতি।
এসো হে পঁচিশ বৈশাখেতে বৈশাখীতে এসো,
গাহিতে সে গান, প্রেমের তুফান
হৃদয় নীড়েতে
এসো।


“দিবাকর”


ঝলকেতে কর উদে দিবাকর চমকিত হলো নভঃ
বাদ্য ও গীতে মধু সঙ্গীতে
জ্যোতি প্রভা
তব।
বলিষ্ঠ প্রাণ চির অম্লান গাহিতে মানব প্রীতি;
ঝঙ্কারে গীত রচিতে সে প্রীত
প্রেম ভালোবাসা
গীতি।
তাহার ওই গান বহিতে সুঘ্রাণ দিকে দিকে পশে তায়,
ভারতী মায়ের ধন্য সে প্রাণ
শৌর্য ও বীর-
তায়।
দীনতায় নাহি প্রণমি সে জন অক্লেষে অবহেলে;
স্বদেশীতে মাতি নাইটের প্রীতি
ছুঁড়ে দিলে দূরে
ফেলে।
দৃততায় অতি নাহি মোহ মতি গ্লানিতে বহিতে ধরা,
পারাবার সম হৃদয় তোমারই
অমৃত মধু
ঝরা।
পঁচিশে বৌশাখ আজি দেয় ডাক মহান সে প্রাণ অতি;
গর্বিত জাতি পুলকেতে মাতি
হর্ষ গানেতে
ক্ষিতি।
তোমারই দিশাতে প্রেমেরই নেশাতে রচিতে সে রব ধ্বনি;
মসিতে লিপিতে দিয় গো সে লয়
গাহিতে আগ-
মনী।