ঘুমন্ত দানব আজ জেগে উঠেছে
যে মোহময়ীর সুরম্য সাজে মাতোয়ারা মনুষ্য কূল
তারই বিষাক্ত নিঃশ্বাসে আজ পর্যুদস্ত।
পলে পলে পদে পদে মৃত্যুর আহ্বান
কখনো রক্ত চক্ষুতে ঝরে চলে বহ্নির ঝকমকি
আবার কখনো বা প্রবল গর্জনে ফুঁসে উঠে;
প্লাবিত করে অঞ্চল।
থর থর কম্পনে আর নির্মম আঘাতে ধূলিস্যাত করে দিতে চায়
মনুষ্য নির্মিত সুরম্য অট্টালিকার সারি।
ধুয়ে মুছে দিতে চায় জীবনের দীপ শিখা।
প্রযুক্তির শিখরে মনুষ্য কূল বারে বারে
শৃঙ্খলিত করতে চায় প্রকৃতি।
চরম আঘাত হানতে চলে-আকাশ বাতাস
জল স্থল আর অন্তরিক্ষে।
আজ মানব আর প্রকৃতি যেন যুযুধান দুই পক্ষ।
বাতাস জল দূষিত আর তেজস্ক্রিয়তার থাবায়
প্রতি মুহূর্তে কলুষিত হয় মেদিনী।
মৃত্তিকার গভীরে উন্মত্ত অণু বোমার হুক্কার
বিষাক্ত রাসায়নিক ভেঙে চলে মেদিনীর সুরক্ষা কবচ।
যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই কিনাস কারিনী।
উন্মত্ত তাই প্রকৃতি, আসুরিক তার রূপ।
বন্যা খরা আর ঘূর্ণির প্রলয়ঙ্কারী দাপটে তাই
ফণা তুলে ঝাপিয়ে পরতে দ্বিধাবোধ নাই।
নাই নাই নাই।
এসো আজ হৃদয়ে হৃদয় পাতি
এক সুরে গাইঃ
বিনষ্ট হতে দেবনা সুন্দর বসুন্ধরা
রাখিতে তার ঐ সুরমত্যা
সবুজ শ্যামল মনোহরা।