“ফণী”


আসছে ফণী আসছে ধেয়ে
ফণায় উদ্যত;
আছড়ে কূলে মারণ দোলে
করতে শতেক
ক্ষতো।  
ক্ষয় ক্ষতি হোক, হতেই থাকে
প্রাণটি বাঁচা ওরে;
যা কিছু আজ গুটিয়ে রে ভাই
চলেই যেতে
দূরে।
প্রকৃতির ওই রুদ্র খেলায়
থাকিস নে ভাই আজকে ভেলায়
প্রাণটি হাতে
ওরে;
নামিস নে আজ সাগর জলে
আসছে তুফান
তেড়ে।
দোদুল দোলে দুলতে যে রয়
মারতে ছোবল ঘূর্ণিত বায়
রুদ্র যে তার
কায়;
থাকিস নে ভাই তার দিশাতেই
প্রলয় তুফান তার নেশাতেই,
দৌড়ে ছুটে
আয়।
ওরে, দৌড়ে ছুটে
আয়।


হুঙ্কার
(মে দিবসের লেখা)


প্রদীপের তলে আঁধার তমায়
শোষণ আর বঞ্চনায়,
ন্যায় হতে দূর প্রবঞ্চনায়;
শ্রমিক সে জন জনায় জনায়
হৃদয় অনেক
কাঁদে।
শঠ শঠতায় মালিক জনায়
এই ধরণীর কোণায় কোণায়
শ্রমিক জনায় গুপ্ত হানায়
ফেলতে শতেক
ফাঁদে।
আজ দিবসে পয়লা মে'তে
উঠতে শ্রমিক আজকে তেতে,
গর্জে ওঠো
সবে।
ছিনিতে নিতেই ন্যায্য ন্যায়
আট ঘন্টার দীর্ঘ নয়
হুঙ্কারেতে  
রবে।