"টাপুর টুপুর"


টাপুর টুপুর
তপ্ত দুপুর।
গ্রীষ্ম বাণে
শুকনো পুকুর।


জল ভরেছে
কানায় কানায়,
জান ফিরেছে
শুষ্ক পানায়।


ভেক ডেকেছে
গ্যাঙর গ্যাঙ,
বৃষ্টি ধারায়
জুরলো প্রাণ।


আকাশ কালো
বজ্র দারুন,
ঝর ঝর ঝর
ঝরছে বরুণ।


সাহেব বিবি
ছাতার তলে,
ধরলে বারি
বগল তলে।


গ্রাম বাংলায়
স্বস্তি মেলে,
খোকা খুকি
মাতলো জলে।


কৃষাণ ভায়া
লাঙল কাঁধে,
বীজ রোপণে
জমাট বাধে।


এবার আষার
আসতে দেরি,
গরম তাই
ভীষণ ভারী।


আকাশ মানে
চাইতে রই,
কোথায় গেল
জলধ সই।


সই সই সই
সই লো,
অনেক দেমাক
হইলো।


এবার বারি
ছলকে দে না,
তোর বিহনে
প্রাণ জুড়ে
না।


“প্যাচাল”


কঠিন কেনে শব্দ শুধু হেপাক হোপাক তাল খেলি
যেমন শিশু কালে সবাই খেলতে চলে
ডাংগুলি।
হা ডু ডু তে সুর তো শেখা মার্বেলেতে নিশানা
মাছ নদীতে ধরতে গিয়ে ছোট ছোট
দাঁরকিনা।
জালের থেকে বাঁচতে কেমন মাছগুলি সব লাফ মারে
ঠিক তেমনি লাফাই আমি ভাবনাটাকে
ধরলে পরে।
বড়শি গেঁথে কেঁচোর মাথা নদীর পাড়ে বসেই থাকা
ফাতনা খানি ডুবলে জলে আর কী সেই
মাছের বাঁচা।
বাচাল প্যাচাল শব্দগুলি সেই তখনি শিখেই নিছি
তাই তো প্যাচাল পাড়তে চলি কবিতাতেই
লটকে গেছি।