“গরমের কবিতা”


(সারমর্মঃ গরমকাল না এলে এই সকল রসালো ফলগুলিও খাওয়া যায় না। সেটাও পক্ষান্তরে বোঝাতে চেয়েছি। আরও বোঝাতে চেয়েছি যে শহরের তুলনায় গ্রামে গরমের প্রকোপটা অনেকটা কম থাকে যেহেতু সেখানে অনেক গাছপালা থাকে। শেষে মানবিক আহ্বান দিয়ে কবিতাটি শেষ হয়েছে।)


গরমেতে কাদা মেখে ভোলা জলে খেলছিল
তারই পাশে কাঁঠালের গাছ দুটি হেলছিলো।
গন্ধতে ম ম করে বেশ পাকা নধরেতে
সরোবরে গা টা ধুয়ে বেয়ে বেয়ে
উঠে তাতে।
তর কী গো সয় তার গাছেতেই ভেঙে ফেলে
টপা টপ করে কোয়া ঝপা ঝপ গিলে ফেলে।
তারই পাশে আম লিচু গরমেতে পেকে ছিল
কাঠালের পিছ ছেড়ে ভোলা তাতে
মন দিল।
কালু তাল গাছে উঠে আধা পাকা তাল পাড়ে
শহরেতে অলি গলি কেটে কেটে ফেরি করে।
শাঁস তার লোভনীয় বাবু সাবু খায় খুব
গরমেতে খাবি খেয়ে রসালেতে
দেয় ডুব।
মোড়ে মোড়ে থরে থরে কচি কচি ডাবগুলি
ট্যাপা বেচে বটি দাঁ য়ে কচাকচ কেটে ফেলি।
গরমেতে হাঁসফাঁস ছাওয়া নাই নগরেতে
আরো মাতো বিল্ডিং-এ গাছপালা
কেটে কেটে!
জলবায়ু প্রাণ টাই কেড়ে নিতে উদ্যত
গরমের ছোবলেতে তাই দুখ পাও কত।
আসো আজি সৃজনেতে বৃক্ষ ও লতা তরু
আজি হতে পণ ধরি আজি হতে
রোপা শুরু।