পিতা
(আজকের লেখা)


পিতা পরম পিতা ধরম পরম পূজনীয়
পিতার স্থান উচ্চে সবার, তার উঁচু নাই
কেহ।
শুভ্র ধবল অটল শিখর পিতৃ হৃদয় যথা
আদর স্নেহ শাসন কঠোর তার প্রণয়ের
গাথা।
উদার মহৎ আপন গুণে অপত্যেরই গাহে
উপার্জনের সব ঢেলে দেয়, তারই
বাগিচায়ে।
সব পেয়েছির দেশ তো পিতা যখন ছিলেম ছোট
বেতের বাড়ি কান মচকান, দুঃখ পেতাম
কত!
আজকে ধারা বইলো আঁখি কেউ তো বকে না
আঘাত গুলির খুবই অভাব, আর তো পাব
না।
অলক ধামে আছেন তিনি দু হাত করি জোড়
আদর্শতে তোমার যেন, রয় যেন প্রাণ
মোর।


বাবার শেষ জন্মদিনে আমার দেওয়া লেখা
(বাবা তখন শয্যাশায়ী)
(দশ বছর আগের লেখা, লেখাগুলি ফ্রেমে বাঁধানো বাবার ঘরেই শোভা পায় এখন)


  জন্মদিনে দেবার মত কিছুই আমার নাই
কাছে থেকেও দূরে থাকি তোমায় প্রণাম জানাই।


সারাজীবন দিয়েই গেলে কিছুই তুমি পাও নি
   শুধু শান্তনাতেই মনটি ভরাও
     কিছুই তো আমি চাই নি।


তোমার জীবন কঠিন সাধন সদা সম্মানিত তুমি
  তোমার সেবায় সম্মানিত ভারত জন্মভূমি।
দেশের সেবায় সারা জীবন দিলে যে অবহেলে
ভাবতে আমার ভালো লাগে তোমার ছেলে বলে।


তোমায় দুঃখ কষ্ট সবই দিলাম কিছুই তো নেই বাদ
  তবুও আমি তোমার কাছে চাইবো আশীর্বাদ।


  ভুল করেছি ভুল বুঝেছি শাস্তি পেতে হবেই
  মাথা পেতে শাস্তি নিলাম ধন্য জীবন তবেই।


   জন্মদিনে দেবার মত কিছুই আমার নাই
কাছে থেকে দূরে থাকি তোমায় প্রণাম জানাই।


মৃত্যু পশ্চাৎ প্রথম জন্মদিনে আমার দেওয়া লেখা
(বাবার ফটোতে শ্রদ্ধাঞ্জলি)


নাই বা পেলাম সবার মাঝে
             সুখ স্বপ্নতেই আছো
চোখের তারার মাঝেই তুমি
          চির অমর হয়ে আছো।


দুর-দুরানি বুকের মাঝে
               দুঃখ যখন বাজে
শঙ্কাতে মন যায় যে ভরে
           মন লাগে না কাজে।


আতুর ঘরের ফতুর ভাবি
              দুঃখ জাগে মনে
আত্মশ্লাঘায় বুক ভরে যায়
            হৃদয় ভাসে বানে।


আকুল-ব্যাকুল মনের মাঝে
          তখন স্বপ্নসম জাগো
সুখ স্বপ্নে মন ভরে দাও
               শ্রীগীতা মাহাত্ম।


শান্তি নামে চিত্তে মম
             শীতল পরশ পাই
ডাবাবুকো সাজে আমি
                কিছু না ডরাই।


কল্পলোকে তোমার সাথে
              সদাই মিলি আমি
কেউ জানে না, কেউ জানে না
                 জানে অন্তযামী।


দুঃখ দিলাম কতই তোমায়
                আমার অজান্তেই
এখন বাবা অনেক আমি
              তখন ছিলাম নই।