“কেন?”
(কবিতাটির সারমর্মঃ কবিতাটির প্রথম ভাগে সেই সব নারীদের দুঃখের কথা বর্ণিত আছে যাদেরকে অল্প বয়সেই বিধবা হতে হয়, দ্বিতীয় ভাগে পরম পিতার ওপর রোষানল ঢেলে দেওয়া হয়েছে, যে তিনি তাদের কে দেখেও দেখতে পান না যারা এই পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে রয়েছে আর শেষ ভাগে আক্ষেপ করা হয়ছে আর তাকে এসব কারণে হীন দেখানো হয়েছে)
হেরি অহরহ তোমারি বিরহ
ক্রন্দন ধ্বনি রোল
আকাশ ভেদিয়া সাগর শুষিয়া
নীরব নিথরো বোল।
নিঠুরো বায়েতে বিছরিত প্রেম
নিশুতি ছায়িতে কায়
দিকে দিকে নাগ ঘেরিতে তোমাতে
ধাবিতেছি দেখি হায়।
বিচ্ছেদ বীণে তমালো তরুতে
বৃক্ষ লতায় শাখে
ভগ্ন ডানাতে বিহঙ্গরাজি
উড়িতে নারে সে পাখে।
হিয়াতে মধুরো সুবাসিত বায়
তোমারই সুষমা তলে
গৃদ্ধ সবেতে তোমা পানে চাহে
হিংস্র চতুরো বোলে।
ওহে দয়াময় ছলনা তোমারই
হরিতে প্রাণের সখা
প্রলয়ো দিশাতে কীসেরই নেশাতে
কুপিত আঁখিতে দেখা!
দেখো যদি নাথ দেখো সে অদূরে
সিঁদুরে ঘনায় মেঘ
ছল ও শঠতা শত তল ধায়ে
ত্বরিতো কুপিত বেগ।
তোমারই রাজেতে শাণিত বাজেতে
তুমি কী হেরিতে পারো
বজ্র তোমারই ক্ষীণকায় কেন!
আজিকে হানিতে নারো!
নারায়ণ তুমি চক্র তোমারই
আজিকে হেরিতে নারি
হিংসার রাজ অবনীতে আজ!
কেন কেন কেন?
ক্ষত-বিক্ষত নর নারী।