ক্লান্ত ধরণী সবুজের ছায়ে সঁপিবারে চাহে প্রাণ
যেথায় হিংসা, বিদ্বেষ বিষ; তোলে নাকো
সুরোতান।  
অম্লান সেই বৃক্ষরাজিতে; শোভিত স্নেহের মালা
চলো; এসো সবে প্রেমের প্রাসাদে; সাজাই
বরণ ডালা।
গরল যেথায় ছায়ে নাকো দিক; লাবন্যে ভরপুর
স্নিগ্ধতার ঐ বকুল পলাশ; ওহে বন্ধু, দূর নয় ওগো
বহুদূর।
প্রেমের বায়েতে হৃদয় ছায়িতে জ্ঞানের জ্বালিতে আলো
হাতে হাত ধরি, বেষ্টনীতেই; সেই পথে
ওগো চলো।


পাপের পরিধি পঙ্কিলতা জ্যা এর তূণেই ধরা
কলুষ যেথায় কু বাস ছড়ায়; হৃদয়
হরণ করা।
তপ্ত সেথায় গরল সে বায় হিংসা যেথায় ঢল
আঁধার তমার তল সে অতল অতীব
হীনবল।
উগ্র তার ঐ ভ্রান্ত দিশা জাহান্নমের দ্বার
ছিন্ন মূলেই বাঁধন মায়ার ভগ্ন
ছারখার।
তপ্ত রুহ বহ্নি ভরক ঘৃণায় ভরা প্রাণ
বিদ্বেষ আর বাষ্প বিষে প্রলয়
ধরা গান।


চরম যেথায় চন্ডালেতে করতে চলে রাজ
যুগ কালেতে ধ্বংস সোপান; গড়েন
মহারাজ।