জনে মনে ধারাপাতে আঁখি ভেজা সরণিতে
কী বা ধন, আছে মম টেনে কাছে পারি নিতে।
ভাবনাতে উড়ে চলি দলিতের মাঠে ঘাটে
তাও ভাবি সুখী আমি দু মুঠো তো ভাত জোটে।
বেদনার কথাকলি বেঁধে রাখি কবিতায়
দুখ পাই হেন মতি-জেনো মোর
জড়তায়।


সাধিতে কী সাধ্যতে আছে যাহা মোর খাতা
তাহা যেন মরু বুকে কণা সম জল ফোঁটা।
ফাঁকা বুলি ঝুলিটাই ক্লান্ত যে হৃদ মম
আঁখি ধারা বয়ে চলে আছে কী গো কিছু
দাম ও।


দর দামে ধরা মাপি ঢেলে দিয়ে অন্তর
ধূ ধূ বালি কালি ভুষি ধরা যেন প্রান্তর।
ভাবি মনে প্রভু কেন এত টাই নির্দয়
পথে ঘাটে তারা খসা-করে তারা প্রাণ
ক্ষয়।


সমতার রূপায়নে ভাবনাটা বীজ বোনে
আঁখি ধারা বরিষণে-মনটাই দিন গোনে।
দিতে যদি নাই পারি ব্যর্থ যে প্রাণ ভাবি
কোথা পাই বলো দেখি যাদুর ঐ সেই চাবি।
যেই চাবি নিমেষেই মানবতা বীজ বোনে
গরিবের দ্বার দ্বারে ঢেলে দিতে ধনে
মানে।


দুদিনের জীবনেতে আমাতেই সবে লীন
কেহ নাহি পরিধিতে-যারা রয় হত দীন।
চিরাগটা আলাদীন যদি পারো দিও হাতে
বুনবো যে মানবতা-সাম্যতা দিনে
রাতে।