“মূক”
(লেখাটি লিখবার পর দু চার বার পাঠ করছিলাম আর হাসছিলাম মনে মনে, কারণ নাম না বলে দিলে লেখাটিকে অনায়াসেই রবি ঠাকুরের লেখা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে, হাঃ হাঃ )


ফিরে যাও ওগো ফিরে চাও
তাহারি সোহাগে.........
নতজানু শিরে, প্রার্থনাতে
মাগিতে করুণা তার.........
ফিরে যাও ওগো ফিরে চাও
আজিকে তাহারই
দ্বার।


বেলা বয়ে যায় দ্বিপ্রহর গত
অভিমানে চাহে প্রিয়ে......
তাহারই দুয়ার শূন্য আজিকে
উদাস রয়েছে
চেয়ে।


ভ্রান্ত দিশাতে আঁখির বাহিরে
হৃদয়েতে মাতে শোক;
দিও না তাহারে, পাষাণ সম সে
তোমারই বিহনে
মূক।


ফিরে যাও ওগো ফিরে চাও
তাহারই সোহাগে.........
নতজানু শিরে, প্রার্থনাতে
মাগিতে করুণা তার.........
ফিরে যাও ওগো ফিরে চাও
আজিকে তাহারই
দ্বার।


"শারদো কলি"


আমারে ঝরায়ে সুবাস বাতাসে
বহিছে মেঘের গা'য়,
মেলিছে মাধুরী, বেলি জুঁই কাশ
শারদো কলিতে
গাঁয়।
তুলিতে আঁকিতে পাপড়ি গুলাবে
নিমীলিত আজিকে আঁখি,
ডাকিছে বিহঙ্গ রাজির সে দল
মাদকতা সুরে
পাখি।
অখিলো দুয়ার খুলিছে আজিকে
কালের পলেতে লয়,
মেতেছে মনো ভ্রমর আজিকে
ওগো নাই নাই
সংশয়।
আমারে ঝরায়ে সুবাস বাতাসে
বহিছে মেঘের গা'য়,
মেলিছে মাধুরী, বেলি জুঁই কাশ
শারদো কলিতে
গাঁয়।


“এসো মা লক্ষ্মী”


এসো মা লক্ষ্মী বসো সে দ্বারে
দু মুঠো অন্ন যেথায় জোটে না
থাকে অনাহারে।
এসো মা লক্ষী বসো সে দ্বারে
হেম সে ঝরাতে তাদের ই দ্বারেতে
সিক্ত শিশির
ভোরে।
এসো মা লক্ষী বসো সে
দ্বারে।


তোমারই ছোঁয়াতে ভুবনে বাজিছে
কনক বরণ শোভা,
দাও সে কণা সে দানেতে
তাদের ই মাথেতে
প্রভা।


আমি তো মূরখ, সিদ্ধি লভেছি
জানি সে দুয়ার মোর,
কালের কালিতে লেপেছি সে ধন
পড়ি নাই মা; পায়ে
তোর।


ভূজেতে থাকিতে শক্তি আমার ই
পেয়েছি যোনিতে যাহা,
ঢেলে দিব মা, শূন্য প্রাণেতে
যা কিছু মোর
তাহা।


তুই দেবী মা; কোজাগরী
হাত জুড়ে নিবেদিত;
প্রসাদ তোহারি কণা টুক দিস
ধন সে ধান্য
গীতো।


“সুপারি”


পাগলা দাসু মান খেয়েছে
লঙ্কা চিঁবায় ঠোঁটে,
ছিবড়া বানায় পান সুপারি
যা খুশি তাই
বটে।
বটের ছায়ে পুকুর পারে
জিন্দা লাশ ই গোনে,
পাথর গড়া সোনার বাটি
বলেই দিবে
কিনে।
কিন্ত কানা চোখ দুটি তার
হাঁদার মতই চায়;
আগে পিছে ডাইনে বামে
দিয়েই সে দেয়
রায়।
রাম ছাগলের নাতির বিয়ে
সানাই বাজে সুর,
দিল্লি দাদা ভাগল বা কই
আছেই অনেক
দূর।
ধ্যুৎ তারিকা। কারে জে
কী কই!