(অবিশ্রান্ত বর্ষণ বজ্র বিদ্যুৎ তৎসহ লোড্‌শেডিং এর সাথে শুরু হল পথ চলা মুক্ত বিহঙ্গের, লক্ষ্য শততম)


“মুক্ত বিহঙ্গ”


দূর থেকে ভালোবেসে কী হবে সখী যদি
সামনে এসে হাতটা না ধর।
হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে যদি না পাখনা
মেলো।
অসহায় রাতি বহিয়া বহিয়া, অগ্নি উদগীরণ,
গিরিখাত বহি ঝঞ্ঝার দেশে
ঘন তুষারের আভরণ,
শীতল সে স্রোত বহিতে হৃদয়ে
স্বপ্নের গড় গড়ি,
তোমারই কামনা বাসনাতে মন
স্বপ্নের জাল বুনি।
শঙ্কাতে মন প্রলয় সূচিতে কাঁপা কাঁপা স্বর দীন,
দ্বীনের দেশেতে প্রদীপ দানিতে
ভাবিতে মলিন হীন।
আর্ত রবেতে নিমিলেষ চাহি তোমারই দিশার পানে
মিলিতে তোমারই মন তনু কায়
শত বেদনার অবসানে।
ধরিবে কী হাত আজিকে প্রভাতে
ভাবনাতে হই লীন,
এসো, ডানা মেলি আজি, মুক্ত বিহঙ্গ;
আকাশেতে
উড্ডীন।


“বাজ”


নাই তো বিরাম বাদল মেঘের
জল সে ঢালার খেলা
ভেস্তে গেল জগন্নাথের
অজয় পারের
মেলা।
জল কাঁদাতে যায় না হাঁটা
পিছল মেঠো পথ
শূন্য গোয়াল নাই সমাগম
থমকে মেলার
রথ।
আকাশ মানে চাইতে কটু
ব্যাকি ধারা ঝরে
চপ জিলেবির ফান্ডা দোকান
শূন্য পথের
পারে।
খোকা খুকির মন যে খারাপ
এমন দিনে ঘরে
দরাম দুরুম নাইকো বিরাম
বিকট বাজ
পরে।
খান্তা পিশির চোখের পানি
বর্ষা জলে মেশে
ভাজা ভুজি বেচতে তিনি
বিফল হলেন
শেষে।
হট্টগোলের ময়দানেতে
আজ বরষার সাজ
কনক মোতি অঝোর ধারা
খুখুর মাথায়
বাজ।


“ডালি”


বিদায় কেন! কহ হে সজনী
আলয়ো সমীপে বাঢ়,
রুষ্ট কেন গো আজি আছিলায়
রুদ্ধ কেন গো
দ্বার!
বরষার গীত গাহিছে ভুবন
ঝর ঝর ঝর ঝর;
হেনো মতি আজি কেন গো সজনী
রাখিলে আমারে
পর!
মুক্তির স্বাদ লভিতে আকাশ
আজি, বিহঙ্গে ডানা মেলি;
এসো, এসো আজি প্রিয়তমা মোর
আষারে সাজায়ে
ডালি।