“কলঙ্কিনী”


এই বরষায় তারই ভরসায় নিখিলে মিলায়ে সুর
প্রেমের অঙ্গনে ফুটিল গোলাপ
সংশয় বহুদূর।
মধুময় গীতে প্রীতি সঙ্গীতে; আজি মাদল বাজিল প্রাণ  
গুঞ্জনে অলি পরাগেতে মিলি
সিঞ্চনে মধু আহরণ।
রুদ্ধ দুয়ারে বদ্ধ নাহি রে আজিকে প্রেমের কলি
উড়ায়ে ঘূরায়ে ঘূর্ণিত ঝড়ে, বন্ধন সবে;
পদতলে দিল দলি।
আলুথালু বেশ উড়ায়ে সু-কেশ মাতি অভিসারে
মত্ত বালিকা পথের ধূলিকা
রুধিতে তাহারে নারে।
কলঙ্ক আজি ভালেতে লহিতে উরগো লোহিতে ধায়ে
উগ্র দামিনী তাহারই কাহিনী,
পূতি কায় সনে বহে।
তস্য স্থানেতে স্থানুবৎ কায় ভূতল পতিত ধাম,
চৌদিকে ধায় নাহি নাহি হায়,  
মুরারী রাধেশ্যাম।
অদম্য প্রাণ শত অপমান শিরেতে লহিলো তুলি,
কড়া কড়চায় সমাজেতে ধায়
কূ রবেতে কথাকলি।
আজও বাজিছে পথেরই ধূলিতে কঙ্কন রিনি ঝিনি
যুগ হতে কাল বহিতে চিতায়
উঠিল কলঙ্কিনী।