“বাটোয়ারা”


বড় দিনে বড় সড় ঘোট বাঁধে মন্টু
তারি সাথে অম্বলে ভোমভোলা
ঝন্টু।
আড়ি পেতে শুনে হাসে রাম শ্যাম যদু মধু
খ্যাক খ্যাক করে হাসে গড়াগড়ি খায়
শুধু।
ব্যাপারটা ধামাধার ধামাকা সে কেক নিয়ে
শুরু থেকে শেষ তক যোগ গুন ভাগ
দিয়ে।
বাটোয়ারা হয় নাই ঠিক ঠাক শুন ভাই
বাঁদরের পিঠা ভাগে ঝন্টু তো মানে
নাই।
ঠিক ঠাক বাটোয়ারা অত ভাই সোজা নাকী
কেক তার ভাগে বড় দিয়েছিল বড়
ফাঁকি।
ফাঁক দিয়ে গলে পরে রাম শ্যাম যদুটাই
বলে দাও কেকটাকে করে দেই ভাগ
ভাই।
সুড়সুড়ি দিল মিতু কেক ভাগ সমাধানে
বলে দাও কেকটাকে রাম শ্যাম যদু
পানে।
পান কী গো অত সোজা কেক নিয়ে ভাগে গো
যায় রবে পিছে পিছে ঝন্টু ও মন্টু
ও।
বাধে গোল হরিবোল বড়সড় ক্যাচালিই
টুক করে কেক তুলে কেটে পরে
মিতালী।


“হরিবোল”


বন বন করে মাথা
শন শনে কথা,
হাতি ঘোড়া গেল তল
হিজলের
পাতা।
চক্ষুতে ধারা বহে
গলা শুখে কাঠ,
হাম্বাতে বোল ফোটে
হনু কুপো-
কাত।
মালা ছিল ফুলে গাথা
ছিঁড়ে পরে গোল,
চিল্লাও সব্বাই
বলো হরি-
বোল।
বল হরি-হরিবোল।


“আকাশ গাড়ি”


আকাশ গাড়ি তৈরি হলে
মন্দ না হয় সে তো,
দেখবে হাওয়ায় যাচ্ছে ছুটে
এরোপ্লেনের
মতো।


সাঁই সাঁই রব ছুটবে গাড়ি
নাই জটেরই জ্বালা,
একটুকও নাই ধোয়া ধুলা
ধূম্রজালের
কালা।


কালো সাদা নীল বাদামী
কোনটা নিবে বলো,
রাস্তা ঘাট থাক পিছে সব
আকাশপথেই
চলো।


“তা ধিন না”


তোমার দুখে আমার দুখে বাজনা বাজায় গান
তা ধিন না তা তা তাতা তাদের আশীস!
দান।
চোস্ত বুলির ফুলঝুড়িতে দূর হতে দেয় গাল
চক্ষু কশে দেখতে চলে তোমার বাড়ির
হাল।
হাল বইতে নাইকো মানা ধন আর ওড়ে কই
সুখের দিনে বন্ধু অনেক পেয়েই যাবে
সই।
দুখের দিনে ঘনায় কালো ভৈরবেতে কাল
স্যুট করে সব কেটে পরে এদেশে
আজকাল।