“আগুন”


গোপালবাবু সকাল হলেই মরিচ বাটেন চোখে
আদার ঝাঁজে ঝাঁজান গলা চার চোখেতে দেখে।
এই পানে চান ওই পানে চান
ন্যাতায় স্যতায় ঝাঁজান সে গান,
আগুন ছাড়েন নাক গলা খান বাজার খুলেন হাটে।


আর বটুয়া খুড়তে কূয়া গাইতি শাবল ন্যান
ঝরঝরিয়ে ফরফরিয়ে কানমলা দ্যান কান।
হেপাক দোলেন হোপাক দোলেন
কৃষ্টিতে রব আওয়াজ তোলেন,
শলশলানী ফলফলানী, হর এক দিন মান।


বাক্যপটু শল্য নিপুণ পারলে তিনি করেই খুন
তীর ফলা নেন বাণটি মারেন যাদুর দিয়ে মিশাল গুণ।
হর এক দিশায় তার ওই নেশায়
ঘুম ছুটে যায় হর এক পেশায়,
হর হর বোলে কাঁপতে যে রয় দেখেই তার ওই ফলার আগুন।


“হ্যলার পো”


হ্যলার পো রে কইছি কতই দেহেই না চোখ কানা
ভ্যানভ্যানানী প্যানপ্যানানী অদের কাছে মানা।
পাইক পায়দা লাথ লাত্তায়
ভোট গেলে আর অদের কে পায়,
ছেঁড়া কাপড় ফুটা চালে, শ্যালায় গাইছে কতই গানা।


“দামী”


এই যে সোনা কাঁন্দ ক্যান এই তো আছি আমি
পারবে কী গো নিতে আমায় মানিই যদি স্বামী।
চো চো দৌড় দিচ্ছ কেনে
যাবেই নাকী বাদার বনে,
এই কী তোমার এতই সাধের-প্রেমের লেখা দামী!


ও বুঝেছি বউ তুল তুল বুঝতে তোমায় করছি ভুল
সেই কবে গো চিনছি তোমায় তাইতো হলাম চোখের ধুল।
ধান পাকা মই সইরে গেছি
বর সোনা মন ভালোই নিছি,
স্ত্রী ধন ব্রতো; সেবায় মাতো, এসব ছাড়ো বুলবুল।