"হরিকান্ড"


(কবিতাটি অনেক বড় তবে গ্যারান্টি দিতে পারি, পাঠ করলে কেউ ঠকবেন না)
(হরি এক ফকরা ছেলে, আজব কান্ড করে দেয় অনেক সময়। এমনই এক টেকো ব্যক্তির টাকে সে চাটি মেরে বসে। তার পরের কান্ড কবিতায় দেখুন)


এই সেরেছে সে মরেছে দিতেই টাকে চাটি
দুরুম করে মুষ্টি পাকা পরলো রে দাঁত
পাটি।
ঝর ঝর ঝর রক্ত ঝরে সাতটি গেছে দাঁত
মিষ্টি কেন ভাবছি সে যে ক্যামনে খাবে
ভাত।
কান্ড বড় হইচই রব পুলিশ সালিশ একাকার
টেকোটারই ভাইটি নাকি এলাকারই পুলিশ
সুপার।
হরির বাপ যেই এসেছে হুকুম তালিম হলো
সুপার বাবু দুরুম করে-জেলখানাতেই ভরে
দিল।
তার পকেটে রিভালবার চালান দিছেন তিনি
সামনে সবার বের করে তা-টেকোর দাদা-
মনি।
ফট ফট ফট উঠলো ফটো হরি ও তার বাপের ই
ভাবছে জেলে বাপে ছায়ে কী যে হলো কান্ড-
খানি।


কান্নার রোল উঠলো মেতে হরির বাড়ি ঘরে
চড়লো চুলা আগুন কোথায় হায় হুতাশন
দোরে।
ভিড় করে লোক কী হলো গো জানতে সবাই চায়
ব্যপার স্যাপার শুনে সবাই অবাক হয়ে
যায়।
হরির বাড়ি মস্ত মহল হরির বাবা মুদি
সবাই কয় লুটমারেতে কামাই নাকি
সবই।
সংবাদেতে টেলিভিসন সবাই পাতে কান
নয়ন সুখে দেখতে হরি, তার বাপেরই
গান।
মস্ত খুশি গাঁয়ের দেশি কিংবা ধনী জনে
হরি ও হরির বাপের করুণ কথা
শুনে।
সামনে সবাই সান্তনা দেয় হরির মা আর বোন
আর পিছেতে পার্টি করে ও দা তুই
শোন।


আইন কানুন উকিল টুকিল দৌড় ঝাপ চলে
হরির বাবা গারদ খানায় হরি হাসপাতালে
জেলে।
এমনি করেই মাস কয়েক বাঘ হরিণে টানাটানি
পার পাবে কী বাপে ছায়ে টানবে নাতো জেলের
ঘানি।
সে যা হোক দেশটা ভারত আরতদারির কারখানা
তিন মাসেতেই বেল হলো তার  জামিন দিল তার
মামা।
এখন সবাই ভয়েই চলে হরি ও তার বাপেতে
কইলে কথা হিসেব করে বেশ করে নেয়
মাপেতে।
কথায় কথায় হরি ও বাপ রাগ হলে দেয় লাথ
তাদের ভয়ে গাঁএর সবাই দিন দুপুরেই
কাত।
ভোট এসে যায় লিডিং পার্টি হরির বাবায় চুনে
জয় জয়াকার হরির বাপের ভোট পায় সে
গুনে।
গাঙ্গু তেলি সে নাই আর দাপট কী তার নেতা
হরি হলো তার শাকরেদ হরির বাবা
কেতা।