“রস”


রস কী ভাল এই বয়সে মন যে মানে না
দেখলে রূপ শোভার আলো রুধতে পারে না।
প্রেমের কলি ঝূমকোলতায়
গাইতে চলে আঁকায় বাঁকায়,
উড়তে গগন আলিঙ্গনে, তা ধিন তা, ধিন না।


“ব্যঙ্গ”


দাদুক নিয়ে ব্যঙ্গ করা সাহস তো বেশ খাসা
এমত তেমন বাক্য যেমন হাসতে যেমন রসা।
ভাবছি আমি কাল তো যাবে
দিদার খেতাব তুমিও পাবে,
ব্যঙ্গ যদি করলো নাতি, কইল যদি এমন ভাষা।


লাগবে ক্যামন বলো তখন লাগবে কী আর ভালো
করুণ কৃপার পাত্র তখন নাইতো জীবন আলো।
হাঃ হাঃ হাঃ হাসবে সবাই
পাটনা থেকে দূর সে দুবাই,
তাই কী বলি, ও সোনা মা, বোলোনা এমন কালো।


“লিমেরিক”


লিমেরিক দারুন সহজ যা ইচ্ছে লিখেন তাই
জগৎটারেও লিখতে পারেন, লিখতে পারেন জগাই মাধাই।
সবাই একটু ফুর্তি চায়
সেই কথাটা রাখেন মাথায়,
সহজ সরল পানির মতো, বাঁধবেন না কোনও ধাঁধাই।


“ক্যালি”


দন্ত শোভা কেলায় কেলো কালিকাপুর পুকুর ঘাটে
জমকালো তার চুলের বাহার থাকেন তিনি ঠাটে বাটে।
ব্যবসা তার ঐ ঠিকাদারী
দৌলত তার বেজায় ভারী,
লোকে বলে চুরির ধনে পোদ্দারী তার সেই বটে!


আর কবিয়াল ঘন্টা বাজায় কবিতার ঐ আসরেতে
আর শ্রোতা সব শুনতে তা রয়-মাতে তার ঐ মৌতাতেতে,
ও দাদা ক্যালি লাগে
রসকলি ঐ রসের ভোগে,
দিয়ে থুয়ে খাইতে সে ভোগ, লাগান কালি যতই তাতে।