(আজ আমার বন্ধুর বিশেষ কাজে বাইকে বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়া ঘেষা সন্যাসীকাটা গ্রামে গিয়েছিলাম। ফেরবার পথে গ্রামের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে এক নাগাড়ে বাইক চলছিল আর আমি উপভোগ করছিলাম সবুজের আনন্দ। সিগারেট খাবার জন্য এক নির্জন স্থানে রাস্তার পাশে সে গাড়ি দাড় করিয়ে দেয় আর আমি তাকে বলি সাথে কাগজ পেন আছে কী না। সে আমাকে পেন আর মানিব্যাগ থেকে একটি ছোট স্লিপ বের করে দেয় যার একদিকে কীনা লেখা যাবে। সে সিগারেট ধরায় আর আমি পথ ধরে বাঁ হাতের তালুতে কাগজ রেখে লিখতে লিখতে বেশ কিছুটা এগিয়ে চলি। তার সিগারেট শেষ হলে সে হাঁক দেয়, সঞ্জয়দা চলো তাড়াতাড়ি যেতে হবে, তুমি পরে লিখো কবিতা। হাসতে হাসতে আমি ফিরে আসি আর তাকে বলি , আমার লেখা হয়ে গেছে। তাকে একবার পাঠ করে তা শোনাই আর শিলিগুড়ির দিকে রওনা দি, এক্ষুনি ফিরে এলাম আর লেখাটি প্রকাশ দিচ্ছি)


"শ্যামলিমা"


সবুজের কোলে বাইকে চলে যাচ্ছিলাম
শ্যামলী গাঁ এর শ্যামল শোভায়
গোধুলীর ওই অস্ত আভায়
হারিয়ে তার ওই প্রেমের দোলায়
দুলছিলাম।


তারে ঘেরা দেশ বাঙলা দেশের
পাশেই ঘেষা গাঁ
আনারস ক্ষেত চায়ের বলয়
থুরথুরে শীত গা।


লিখতে চলি তারই লালি
রূপ শ্যামলীর পথে
বিহগ কূজন চিক চিক চিক
চিন্তনে প্রাণ ডোবে।


অস্ত রবির কিরণ শোভায়
শান্ত শীতল রবে,
বৃক্ষ তরু লতার সাজে
প্রশান্তির ওই ভবে।  


প্রাণের টানে গগন পানে
হালকা মেঘের রাশি,
গাঁ এর শ্যামল রূপ সে শোভা
অনেক ভালোবাসি।