নয়ন খুড়োর হাসির রাশি হটাৎ কেন উবেই গেলো
জ্যান্ত ভূতের কারনামা কী আসলো উড়ে চিন্তাগুলো।
চর্চা সবার গাঁ এর লোকের ভয় ও আছে খানিক টা
রাত্রে সবাই চলছে মেপে টিপে টিপেই ফেলছে
পা।
রুই কাতলা বোয়াল মানা চিংড়ি কীবা মুরগি পাঁঠা
খাচ্ছে না কেউ ভূতের ভয়ে মায়ে ছায়ে বাপ ও ব্যাটা।
ওঝায় বলে কলকি ভূতের-ছায়ায় নাকী এমন হয়
দশ হাঁড়ি দুধ মন্ডা মিঠাই তার বাড়িতে দিতেই
কয়।
চান্দা তুলে গাঁয়ের সবাই দশ হাঁড়ি ক্ষীর তৈরি করে
দশ কাঁধেতে দশটি লোকে চললো নিয়ে তার ঐ ঘরে।
নয়ন খুড়ো সেদিন কাঁধে গামছা নিয়ে নদীর পানে
গুপ্ত কথা কেউ জানে না বাঁধাই ছিল সেই সে
থানে।  
ওঝার বোঝা সারা সবই কেনই খুড়ো হাসছে না যে
সেসব ব্যাপার তুড়ি মেরেই তার কানেতে জোরসে বাজে।
থাক সে রাজ রাজ ঐ থাকুক নয়ন খুড়ো হাসলো শেষে
দশ হাঁড়ি দুধ মন্ডা মালাই শেষ করে সে তা দেয়
মোচে।


দুইঃ


নয়ন খুড়োর হাসির রাশি আবার যখন ফিরেই এলো
ময়রা তেলি আড়ত দারের প্রাণেই যেন ধরটা এলো
নয়ন খুড়োর হাস্য রসে জীবন সবার রসে বসে
ধরলো পাখি মধুর সে তান বাজায় সবাই ধামা
কূলো।
হাসলে খুড়ো বৃষ্টি ঝরে কৃষাণ ভায়ার ক্ষেতের পরে
কনক বরণ সোনার রোদে শান্তি যে রয় ঘরে ঘরে।
গ্রীষ্ম কালে দাঁত কেলালে শান্ত যে হয় বাতাস ভারী
মলয় বাতাস ঢেউ খেলে যায় গাঁ এর সকল বাড়ি
বাড়ি।
শরৎ কালে শিশির মেলে শিউলি শোভা আসতে দ্বারে
হেমন্তের ঐ সপ্ত ডিঙায় কৃষ্ণ চূড়ার সুবাস ভরে।
কল কল কল বয় যে নদী নীলাকাশে সোনার তরী
শান্তি সুখের বাজিয়ে মাদল নবান্নের ঐ ভরিয়ে
হাঁড়ি।
তাই সে কল বিকল হলে গাঁয়ের সবাই শোকেই মাতে
কান্না জড়া মন যে সবার হাট হতে ঐ পথে ঘাটে।
খুড়োর সে কল জলুস ভরুক শান্তি বজায় থাকুক গ্রামে
বাঁচুক খুড়ো হাজার বছর বিষন্নতার ধরার
ধামে।