অ ছেড়ি- ২য় ভাগ (দাদুর বাড়ি রসের হাঁড়ি)


ঝগড়াতো লেগে থাকে দিন রাত দুপুরে
হাক ডাক চিৎকার ছল ছল নূপুরে,
দাদু দাঁত ফোকলা; খেতে চায় ধোকলা
দুই চার পাঁচ গোটা খাবে শুধু
একলা।
দিদা তাই মুখ ভার নিঃশ্বাস ঘন ঘন
গনগনে চোখ তার লকলকে ভাঁটা যেন।
মুখ ছোটে রেল গাড়ি ঝম ঝম ঝম ঝম
ঝুমা হাসে সেই বোলে মুখে নিয়ে
চমচম।
হই চই করে বঁধু চমচম গোটা বারো
একটাও নাই কেন, গোমড়া যে মুখ তারও।
মুক্তান মাসি কই-নিল নাতো ঝোলা ভরে!
দিদা বলে গজ গজে, দাও ওকে বার
করে।
ভুলু তাই অঙ্গনেতে ঘেউ ঘেউ করে ভাই
ঝুমা কাঁদে ভেউ ভেউ, মা দিছে মার তাই।
তাই তাই দিল রবি ছোট ছোট হাত দুটি
মার খাবে জানে সে যে, তাই জোরে গেল
ছুটি।
কেউ কেউ আশেপাশে চুক চুক আঁখ পাতে
এ বাড়িতে হলো কী সে, ওরে ভাই এত
রাতে।
সাই সাই পুলিশের-ভ্যান আসে মোরে ছিল
গেট গলে ঢুকে পরে, হাঁকে জোরে, কী হলো?
দাদু ভাই জড়সড়, দিদা বড় পাটা বুকে
রং ঢঙে বলে দিল, বেশ ভাল আছি
সুখে।


অ ছেড়ি তুই, যাসনা দাদুর বাড়ি
আলতা সিঁন্দুর গায় মাইখ্যা
আয় রে তাড়াতাড়ি।
তোরে করুম বিহা, হলুদ মাখায় চান করায়ে
সুহাগ আদর দিয়া।
মুই যে তোর দাস হব রে
তুই হবি মোর
প্রিয়া।