Sanjay Karmakar
badge icon
Founding Members
· cJutSsipodnnt Snsololwuraed  ·
"অমর গাথা", সাইত্রিশ তম পর্ব


গর্ভে তোমার নিহিত মাগো সেবার সে পণ ব্রত
উদার ডালি প্রেম সে বহে, সে খাত অবিরত।
বিশ্ব তোমার বন্দনা গান গাইতে হেথায় ধায়
আলবেনিয়;  মাদার টেরিজা; সুবাস
হেথায় বয়।


শান্তি তোমার পরম সে ধন স্নিগ্ধ অরূপ তুমি
সন্ত হাজার সেবায় তাদের ধন্য তোমার ভূমি।
কি অপরূপ রূপ সে তোমার!  মোহন তোমার কায়
সিস্টার নিবেদিতা, তাহার সেবায়; স্নিগ্ধ  
তোমার ছায়।


অনাথ হেথায় অনাথ নহে জীর্ণ হেথায় নয়
প্রেমের সে কায় ছায়ায় তারি লিপ্ত সে জন রয়।
দীপ্তি তাদের ব্যাপ্ত ভুবন দৈব শোভন তারি
সেবায় তাদের ধন্য যে হয়; লক্ষ
নর নারী।


এ দেশ ভূমি চারণ চুমি পরম তুমি মা
মন মোহিনী গুণের আকর; তোমার নাইকো উপমা।
বিত্ত তোমার চরণ চুমে; স্বতোত্পাদিত তুমি
ধন গরিমা উচ্চ তোমার; সদাই
তোমায় নমি।


তোমার ছায়ায় তোমার কায়ায় ভক্তি উদার বহে
কার্পণ্য নেই কো হেথায়; উদার সে হৃদ কহে।
কুন্তলিকার কুন্তলে গীত; গাই সে পরম মাতা
তোমার ছায়ে দিব্য কায়ে; লিখিত
অমর গাথা।
_____________________________
আগের লেখাগুলি আমার প্রকাশের সুবিধার জন্য। কেহ ইচ্ছা হলে পাঠ করতে পারেন তবে আজকের লেখাটাই এখানে প্রাধান্য পাবে।
______________________________


"অমর গাথা", সাতাশ তম পর্ব
(আজ থেকে আবার নতুন করে শুরু করলাম। পিছনের গুলি আলাদা রইল)


লর্ড কার্জন গর্জন তার বঙ্গ ভঙ্গ তায়
রুধিল সে রায় আন্দলনে; উন্মত্ত জনতায়।
উড়িষ্যা অবোধ পৃথকীকরণ; হিন্দি বিহার যথা
বিভেদের ছলে লিখিত সে গীত, বেদনার
কতকথা।


জালিয়ানওয়ালা বাগ রক্তে রাঙা; তোমার চরণ মাতা
নিশীথ যেথায় ছাইলো ভুবন ঘৃণিত সে কাল কথা।
কুখ্যাত সেই জন সে জাতি; কাপুরুষের কায়
শস্ত্র বিহীন নিরীহ সে প্রাণ; মারলো
তাদের হায়।


ব্যথার ভুবন অশ্রু নীড়ে ঘাত সে প্রবল অতি
রইলো না আর বদ্ধ দুয়ার ভারত সে ভূম জাতি।
জৈন শিখ বৌদ্ধ কিবা হিন্দু মুসলমান
এক সে সুর ঐক্য নাদ; গাইলো
দেশের গান।


রবির তেজের তাজ সে শিখর; তাদের দেওয়া মান
ত্যাগ সে ভূষণ; নাইটহুড, স্বদেশ প্রেমের টান।
ফরিয়াদের ফল্গু ধারায় অহিংসার ওই ব্রত
বাপুর ছায়া ব্যাপ্ত ভুবন; হানায়
অবিরত।


সুভাষ তাহার স্বাধীন স্বরাজ দ্বীপ সে বলয় তায়
স্বাধীন ভারত ধ্বজা ভূমের উদিত পতাকায়।
আজাদ সেনা দেশপ্রেমিক বন্দে তোমায় মাতা
সে পল স্মৃতি ধন্য অতি; অমর
তাদের গাথা।


সীমান্তের ওই সিপাই তোমার; গান্ধি সীমায় তিনি
খান আবদুল গফ্ফর খান; রই যে অনেক ঋণী।
তাহার সেবায় তাহার ব্রতে ধন্য তুমি মাতা
হৃদয় জড়ায় তাদের সে দান; লিখিত
অমর গাথা।


"অমর গাথা", আঠাশ তম পর্ব


হেমচন্দ্র কানুনগো, তার সে প্রেমের কথা
বিপ্লবী বীর সেলাম তোমায় অমর তোমার গাথা।
বিলেত হতে বিশেষ সে ধন বোমায় নিহিত তায়
শিষ্য তুমি অরবিন্দের; সুবাস
তোমার বায়।


বিপ্লবের ওই ধারায় মাতে অযুত নিযুত প্রাণ
ধন্য সে জন দেশপ্রেমিক কুর্নিশে গাই গান।
লাল বাল পাল স্বদেশ প্রেমিক গড় সে চরণ ভূম
তাদের সেবায় ধন্য দেশের; বৃক্ষ
লতা দ্রুম।


চন্দ্রসেন আজাদ তুমি ভগত সিং এর গুরু
তোমার নীতি বক্ষে লয়ে পথ চলা তার শুরু;
আয়রন ম্যান বল্লভভাই; সেলায় তোমায় গড়
সেবায় তোমার ধন্য এ দেশ; পাহাড়
সমুদ্দর।


অনুশীলন সমিতি; ব্যামের আসর, আড়াল কিছু আর
বিপ্লবের ওই প্রশিক্ষণের কেন্দ্র তাহার দ্বার।
অস্ত্র আর বোমায় তাহার লক্ষ্য স্বরাজ ভূমি
সে জন তারা স্বদেশ প্রেমিক; পদ যে
তাদের চুমি।


বীরের গাথায় ধন্য এ দেশ দীপ্ত সে তার সুর
মোহিত যে হয় হৃদয় সে ভূম; ব্যাপ্ত বহু দূর।
তোমার সেবায় চাই গো মাতে জীবন মরণ পণ
ভ্রষ্টাচারের জড় পতনে; সাধবো
কঠিন রণ।


অমর তোমার বীরের গাথা পুণ্য এ ভূম তল
উদার তোমার বক্ষ মাগো গগন বায়ু জল;
জন্মে মাগো এ ভূম তব আঁচল তলে মাতা
ধন্য যে হই লালায়িত হই; লিখতে
অমর গাথা।


"অমর গাথা", উনত্রিশ তম পর্ব


পূর্ণ স্বরাজ লক্ষ্যে তাহার লবন সত্যাগ্রহ
লক্ষ সিপাই মা গো তোমার অমর সে পণ দ্রোহ।
মহাত্মাজী সৈন্য তাহার ডান্ডি অভিমূখে
ভাঙতে সে আইন কর বিরোধে;
অনেক মাগো দুখে।


স্বাধীনতার সোপান তলে দিব্য তার ঐ বিভা
জাতির জনক তাই তো তিনি মাগো তোমার শোভা।
কান্তি তাহার ঐশী ধারা; কঠিন তাহার পণ
দেশের তরে দশের তরে; দিলেন
তিনি প্রাণ।


সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক; ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক; হে তুমি মাতা
সাধারণতন্ত্র কশম তোমার; নন্দিত; সে গীত গাথা।
পঞ্চাশেতে দেশের বিধায়; সংবিধান প্রণয়ন
সাধারনতন্ত্র সে দিন তোমায়; করি হে
মাতে বরণ।


উত্তাল হয় দেশ জননী বহ্নি শিখায় শত
শৃঙ্খল মা উন্মোচনে; ভরতে সে খাদ ক্ষতো।
সুভাষ তাহার সৈন্য লয়ে অগ্রগতির দূত
কদম কদম হানতে আঘাত; বীর সে
তোমার পূত।


স্বাধীন ভারত তাহার সে দান; ভুলতে নারি কভু
কোথায় তিনি কেনই তিনি! করলে কি হায় প্রভু।
শৌর্যে তাহার বীর্যে তাহার; ধন্য তুমি মাতা
সুবাস তাহার জড়ায় ভুবন; লিখিত
অমর গাথা।


"অমর গাথা", ত্রিশ তম পর্ব


ব্রিটিশের রাজ অস্তাচলে চাবুক কশে তায়
বিদেশ ভূমে তাহার চারণ সুভাষ অন্তরায়।
ক্ষুদির সে বাণ বিনয় বাদল ভগত সিং এর দেশ
অন্তে তাহার খেই সে হারায়; দারুন
অবশেষ।


রাসবিহারী বোসের এ দেশ; সরোজিনী মাতা
দেশপ্রেমের অমোঘ সে দান ধন্য সে বীর গাথা।
এ দেশ ভূম উজল আলোক; মাতঙ্গিনীর প্রেম
কনক তোমার কোল সে আলোক; অঙ্গে
তোমার হেম।


কি অপরূপ! রূপ সে তোমার অবাক চোখে চাই
বীর সে জনার দান সে জীবন; আর তো কোথাও নাই।
গড় সে তোমার চরণ যুগল মাথায় রাখি মা
ধন্য যে হয় জীবন সে প্রাণ; তোমার,
নাইকো উপমা।


তোমার স্তপে তোমার জপে ভুবন গাহে গান
অমলিন মা, শাশ্বত তুমি নাহিক কভু ম্লান।
উদার তোমার শস্য শ্যামল; সসাগরা তুমি
হৃষ্ট মাতে বিবিধ খাতে; আমার
জন্মভূমি।


ঐশী এ দেশ ঋষি মুনির ধন্য হেথায় গাথা
দুলায় ভুবন ব্যাপ্ত গগন তাদের গরব কথা।
গর্ভে তোমার মা জননী, চন্দ্র সূর্য তারা
হরিত ক্ষেতে কনক হেমে; স্তব্ধ
গতি হারা।


ঐশী তুমি তোমার ভূমি গঙ্গা তুমি মা
গগন ভূ তল; তল সে ধরায়, তোমার, নাইকো উপমা;
তোমার বায়ে তোমার কায়ে ধন্য জীবন মাতা
সে ঘ্রান ও মা জড়ায় ভুবন; লিখিত
অমর গাথা।


"অমর গাথা", একত্রিশ তম পর্ব


অঙ্গ এক এ হাজার তোমার নানান নানান রূপ
লক্ষ হাজার ছল সে সয়ে রও যে তুমি মূক।
সহনশীলা মা জননী মমতার ওই জড়
তোমায় ঘিরে নানান জাতি; নানান
আড়ম্বর।


ঈদের চাঁদে ঈমান তোমার রয় যে হেথায় খাঁটি
জাকাত দানে মাগো তোমার ধন্য যে হয় মাটি।
এক ফালি চাঁদ ও মা তোমার বিভায় ওঠে মাতি
মুসলিম তার ঐক্য তানে; ধন্য
তোমার ক্ষিতি।


হিন্দি বিহার হিমাচলের সুরজ তোমার প্রাণ
ছটের দিনের সূর্য প্রণাম নিহিত তোমার গান।
মা গো তুমি বিবিধ ধারায় ঐক্য তানের স্বর
বিবিধ আচার অঙ্গ তোমার; উদার
তোমার দ্বার।


শরৎ আকাশ শিউলি সুবাস হিমেল আভরণ
ঢাকির তালে গগন দোলে; মায়ের আগমন;
ঐক্য তানের অমোঘ সে দিন কেউ না রহে ঘর
মিলন মেলায় সকল জাতি; হয় মা
একাকার।


বড় দিনের সে দিন মাগো যীশুর স্মরণ লই
সকল জাতি সকল মানুষ ধন্য যে মা হই।
কি অপরূপ রূপ নেহারি; অবাক চোখে চাই
ঐক্য তানের এমন সে সুর; আর তো
কোথাও নাই।


কান্তি তোমার বিভায় মাগো ধন্য হর এক পল
সোনার আলোক ফল্গু ধারায় রই সে গগন তল।
পল পল মা আঁখির পাতে দিব্য তুমি মাতা
ধন্য যে হই লোভিত যে হই; লিখতে
অমর গাথা।


"অমর গাথা", বত্রিশ তম পর্ব


কৃশকায় নয় উদার হৃদয় তাহার সে ধন প্রেম
স্বদেশ আমার স্বর্গাদপী মা যে আমার হেম।
তাহার উদার বায় সে ঘন; বিশ্বাসের ঐ ছায়
জীবন তড়িৎ গতির সম, হেথায়
মম ধায়।


শালীনতায় মহান তুমি নারীর উপাখ্যান
বস্ত্র ভূষণ অঙ্গে তাহার শাড়ির মোহিত গান।
পতির প্রতি নিষ্ঠা অচল প্রেম সে নীড়ে বয়
ভজন পূজন কূজন তাহার; অরূপ
হেথায় হয়।


প্রেমের নদেয় বান সে অলক ভগ্নী ভ্রাতার স্নেহ
ভাই ফোঁটার ওই তিলক মাথায়; স্নেহের দ্বার ওই নেহ।
যমের দুয়ার রুদ্ধ হেথায় প্রেম সে অমোঘ তায়
এমন সে দেশ কোথায় পাবে; নাই এ
বসুধায়।


অনুরাগের দুয়ার সে দেশ দ্বারকার ওই দ্বার
কেউ না রহে শুষ্ক মলিন, জিত কি বা হয় হার।
মা গো তোমার স্নেহের নীড়ে ধন্য যে হয় প্রাণ
ভুলতে নারি বইতে তরী; তোমার
অবদান।


পিতা হেথায় পরম পুরুষ স্নেহের সে কূল নীড়ে
শৌর্য এবং বীর্যে মহান কর্মে মহান শূরে।
তার ওই ছায়ায় তার ওই দয়ায় তাহার মহান দানে
অপত্যের ঐ উচ্চ সে শির; মোহিত
যে হই প্রাণে।


জাহ্নবীর ওই পুণ্য ভূমি সতীর দেশের রাজ
কঙ্কনে মা লিখিত তোমার; বিশুদ্ধতার তাজ।
শুদ্ধ তুমি বুদ্ধ তুমি; গরব মোদের মাতা
সে গীত গানে লোভিত যে হই; লিখতে
অমর গাথা।


(নেহ>ভালোবাসার ব্যাক্তি, মমতা, অনুরাগ
বুদ্ধ>উন্মেষিত)


"অমর গাথা", তেত্রিশ তম পর্ব


ধর্মে মহান কর্মে মহান, মহান তোমার ব্রত
পাপ স্খলনে জাহ্নবী তার ধারায় অবিরত।
উদারতার সে ভূম মাতে; বক্ষে ধরি তায়
ছিন্ন বীণায় নিখাত সে প্রেম; লিখতে
কবিতায়।


তাপ্তি মোদের প্রাপ্তি মাতে আরব সাগর সীমা
তরঙ্গের ওই কিরীট মালায়; গাইনু মহিমা।
পঞ্চনদের মধুর ধ্বনি; পাঞ্জাবেতে বও
অঙ্গুত্তর নিকার গাথায়; ধন্য
তুমি হও।


তিন পিটকের সমন্বয়ের দেশ তুমি হে মাতা
বুদ্ধ তাহার অহিংসার ওই ধন্য অমর গাথা।
মার্গ তোমার উচ্চ মাগো, উচ্চ তোমার শির
ধর্ম তোমার মহান মাতে; মহান
হৃদয় নীড়।


স্কন্ধ তোমার উচ্চ তুমি শ্রেষ্ঠ আসন ভবে
তোমার ছায়ায় নিহিত মাগো হরিত সজল সবে।
ধন্য সে জন গায় যে সুজন মহিমা তোমার মাতা
কুন্তলে প্রাণ অমর সে রয়; অমর যে
হয় গাথা।


তোমার গীতে ধন্য মাতে দিন কিবা রাত হই
প্রেমের নদেয় বান সে প্রীতি প্রশান্তিতে রই।
বসুন্ধরার শ্রেষ্ট সে নীড় তোমার আঁচল মাতা
জড়ায় সে তল দিব্য কায়ে; লিখিত
অমর গাথা।


তিন পিটক> ত্রিপিটক
নিখাত> রপিত
(অঙ্গুত্তর নিকা> থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্মের পালি ভাষায় রচিত ত্রিপিটকের সুত্ত পিটক অংশের পাঁচটি নিকায়ের মধ্যে চতুর্থ।বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকের অঙ্গুত্তরনিকায় অনুসারে ষোড়শ মহাজনপাদের অন্তর্গত জম্বুদ্বীপের কাছাকাছি গান্ধার এবং কম্বোজের উত্থান ঘটেছিল বুদ্ধের সময়ে। যদিও পালি সাহিত্যে কেবলমাত্র গান্ধার এবং কম্বোজের উপস্থাপনা করা হয়েছে। সিন্ধু অঞ্চলের উত্তরদিক অর্থাৎ কাশ্মীর, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিম পাঞ্জাবের অধিকাংশ, যা এখন পাকিস্তানের অংশ হিসাবে পরিগণিত, এই অংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল)


"অমর গাথা", চৌত্রিশ তম পর্ব


পরম এ ভূম দিব্য কায়ে ব্রিটিশ মাগো ফাঁদে
ছল শঠতায় দোহন রমন দুই শো বছর সাধে।
বাপুর ডাকে জাগলো সে ভূম; সুভাষ ত্রাতার বেশে
ফরিয়াদ তার গগন চুমে; টুটলো
সে রাজ ত্রাসে।


বজ্র সে নাদ দিল্লি চলো স্বদেশ মাতার প্রাণ
হটিয়ে সে রাজ শৌর্যে আজি গাইতে তাহার গান।
রক্ত কণায়-কণায় সে নাদ শক্তি অসীম তায়
শস্ত্র বারুদ হানায় প্রবল; ব্রিটিশ
পিছন ধায়।


শূরত্বের ওই পরাক্রমে হটলো পিছু ধায়
সুভাষ সে বীর শৌর্যে মাগো বহ্নি ক্রোধের বায়।
আজাদ সেনা রাষ্ট্রপিতার; সে ডাক আহ্বান
কদম কদম অগ্রে তারা; মুষ্ঠে
লয়ে প্রাণ।


বিশ্ব তখন টাল মাটালে সূর্যদয়ের দেশে
ঘৃণিত সে পল বিশ্ব মাঝে কসাই তাহার বেশে।
মানবতার দলন তাহায় অণু বোমায় তারি
লক্ষ নিযুত মারলো সে জাত; নিরীহ
নর নারী।


বীর সেনানী ঝাঁসির রানি বক্ষে মাগো ধরি
প্রণিপাতে শৌর্য সে বল সেলাম তাদের করি।
লক্ষ প্রাণের আহুতির ওই; দেশের তুমি মাতা
জড়ায় সে ভূম বীরের সে গান; লিখিত
অমর গাথা।


(আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্রীমতী লক্ষ্মী স্বামীনাথন । তাঁর বাহিনীর নাম ছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড)


"অমর গাথা", পঁয়ত্রিশ তম পর্ব


হিরোসিমা নাগাসাকি; সে ক্ষত দায় তায়
হিংস্র জাত হীন সে দানব; তাদের পরিচয়।
কর্মে মলিন মর্মে মলিন ধর্ম তাহার ছল
আজো সে ক্ষত বইছে সে বায়;
হলাহলের কল।


উন্মাদনায় ক্রোধিত তখন বহ্নি ধারায় শত
জ্বাললো অনল বিপ্লবের ওই অমোঘ সে পণ ব্রত।
অস্তাচলে রাজ সে কাহন চতুর ছলনায়
ভারত সে ভূম দ্বি জাত বোল; ভাঙতে
চলে হায়।


জিন্না হলেন পাক সে হোতা ভারত নেহেরু
দুখের সে দিন স্বাধীনতা; পথ চলা হয় শুরু।
স্বাধীন ভূমে লোহিত বহে; চাল সে চতুর শঠ
দাঙ্গা চলে ভায় আর ভায়ে; রক্তে
রাঙায় পথ।


অস্ত্র বারুদ রসদ না রয় দুখের সে পল অতি
হাজার হাজার আজাদ সেনা; প্রাপ্ত বীরের গতি।
নব্য দিশায় লড়তে সুভাষ জাপান দিলেন পাড়ি
শত্রু হতে বাঁচতে অকু; প্রচার
দিলেন তারি।


কি উপহাস হয় সে মাতে হৃদয় আজো বয়
কোন সে বিরূপ ছল সে মাতে; সত্য প্রকাশ নয়।
নাই করে নাই কেহই মাতে, কি হলো তার গতি
ছল প্রহশন আজ ও সে ঢল; হয় মা
বজ্জাতি।


সে দুখ আজও বইছি মাতে হৃদ সে দরিয়ায়
চিন্তনে প্রাণ বয় যে ব্যথা; কি হলো তার হায়!
রাষ্ট্র পিতা তাহার চরণ-যুগল ধরি মাতা
লিখতে কলি কাব্যে তাহার; অমর
সে বীর গাথা।


অকু>আকস্মিক ঘটনা, দুর্ঘটনা


"অমর গাথা", ছত্রিশ তম পর্ব


মাগো তোমার অশ্রু নীড়ে ব্যথার নাহিক স্থান
উদীচীর ওই কিরণ শোভায় নইকো কভু ম্লান।
গঙ্গা মাতে পদ্মা মাতে তিস্তা খরস্রোতা
অলক অমোঘ স্থির গো মাতে; হেথায়
প্রেমের গাথা।


বকুল হেথায় স্নিগ্ধ সুবাস দিব্য ব্যসন মাতে
শিষ্ট সরল নাহিক গরল ঐশী তোমার খাতে।
সে খাত অতল গভীর গহীন নাহিক সীমা তায়
ধর্মে মহান কর্মে মহান মর্মে
তুমি মায়।


উদার তোমার তল সে ভূমি উজান তোমার ভব
হৃদ সে কোমল ফল্গু সে বয় গাইতে তোমার স্তব।
স্তব্ধ মাতে হাজার ক্ষতে কোমল সে দেশ বায়
ইঙ্গ তাহার দলন রমন; শোষণ
অতিকায়।


অন্তে মাতে দ্বি জাত বোলে খন্ড যে হয় কায়
দুখ সে দিনের চিন্তনে মা; হতাস সে বায় বয়।
ঐশী ধারায় গরল বহে জহর সে বাণ মাতে
সইতে নারি বইতে নারি দিন কিবা
রাত গতে।


গতির ধারায় নাহিক হারায় সুবাস সে পণ ব্রত
আজও ও মা বিদ্রোহে প্রাণ বইছি অবিরত।
ভ্রষ্টাচারের জড় পতনে; পণ সে ভীষণ মাতা
জড়ায় এ ভূম লিখতে অমোঘ; দিব্য
অমর গাথা।


(ব্যসন> প্রবৃত্তি)
(লেখাটি সরাসরি এখানেই লেখা)