"অঙ্গ বাহার”
(কবিতার প্রেমে পরে আমার হাল কাব্য কথায়।"। লেখাটি আগাগোড়া রূপকে লেখা।)


দেখেই তার ঐ অঙ্গ বাহার লটকে গেছি জালে
ফন্দি ফিকির তার কী ছিল, বুঝতে কী আর
তলে!
যেই ধরেছি জড়িয়ে তারে আঁকশি দিলো গলে
লটকে গেলাম তার ঐ চালে, লাগলো আগুন
ভালে।
ভালোই ছিল জ্যোলুস তার ঐ, জ্যোছনা ধরা রূপে
কীটের মতই দৌড়ে গেলাম, পরতে তার ঐ
বুকে।
বুক তো নয় পাহাড় যেমন যায় কী তাতে চড়া
হাত কাঁমড়ে পা কাঁমড়ে, আমায়; বানায় রসের
বড়া।
বকম বক বকতে থাকি যেমনি সে চায় ঢং
আমার তো ভাই তাম্বু খাড়া, ঘষটে গেছে
রং।


“ইসাদী”


সাত পাকেতে বাঁধতে তোমায় অগ্নি ছিল ইসাদী
জনম জনম রইতে সাথে হোক না দুখ
বিষাদ ই।
প্রেম ভাবনায় মজতে দু-জন কপোত সুখের গড়ে
সেদিন কথা দিয়েছিলে রাখবে আমায়
ধরে।
আজ দখিনায় মন্দ বাতাস মলয় বায়ুর গরল তান
এক আকাশের রোদন তলে বিষন্নতায় আমার
প্রাণ।
বন্ধনেতে নাই তো পাশে আলোক ধারা উজলাতে
স্নিগ্ধ পরশ হারিয়ে শীতল দুখ দরদের গহিন
খাতে।
কীসের নেশায় বুঁদ হলে গো সাধলে না সেই অমর পণ
মনিহারী দ্রব্য হয়ে আপণ তলেই
বিপণন।
বিষের ছোবল সইতে নারি হৃদ সাগরের হলাহল
ব্যর্থ প্রণয় দুখের জলে আজ আমার ওই
বিসর্জন।


(আপণ=বিপণন কেন্দ্র বা দোকান)


“চাঁদের দেশে”


ছুড়ি কী আর ডুকড়ে মরে!
হাজার জোয়ান আসুক ঘরে,
ঘর বেঁধেছে আমেরিকায়
ফেসবুকেতে তার ঐ
দ্বারে।
ভাবুক হৃদয় চাঁদের দেশে
উড়বে সে যে বঁধুর বেশে,
ঘর ছেড়ে তাই ঘোটলা বাঁধায়
অবলীলায় হেসে
হেসে।
এখন সে তো পান্তা ভাতে
ভাত জোটে না দিনে রাতে,
ধোকলা খেয়ে মন ও তনু
পথে পথেই জীবন
কাটে।