কোনদিনও পাঁঠাবলি দেখি নাই-আজ সে মহৎ সুযোগ প্রাণে-
সময়েতে ঠিক পৌছে গেলাম –
সে পূজো দেখবার-
দুর্বার টানে-
শ্যামলী মায়ের সব আচার তখন -প্রায় সম্পূর্ণ-
সামনে খোঁটায় বাঁধা ছোট্ট পাঁঠা-
বয়সে-
অসম্পূর্ণ-
এ গাছের সে গাছের পাতা-পরম আদরে তারে-
ভক্তিতে গদ গদ –
আদর সমারোহে-
পরিবারে দেয়-আদরেতে ছোঁয়া গায়ে হাতখানি-
সোহাগেতে সোহাগেতে –পাঁঠাসনে খেলে –
তারি ছোট-
শিশুখানি।
আমি ভাবি দীন -সামনে কঠিন-
ফাঁড়া-
বলি হবি তুই -বলি হবি তুই-
প্রহর গুনিতেছে –
খাঁড়া।
কিছুকাল যায় পাঁঠাখানি লয় -কোলে মোর বন্ধু-
হড়িকাঠে গলা দেয়-
মোর দুনয়নে-
সিন্ধু -
এক কোপে মাথা ধড়- হয় বিচ্ছিন্ন-
উঁলুধ্বনি রব ওঠে-
মোর প্রাণ হয়-
দীর্ন।
দ্বিপ্রহরে তারি ঘরে- ছিল নিমন্ত্রণ -
বলিপাঁঠা মাংসতে-
করিতে-
ভক্ষণ-
পাঁঠা আর শিশুসনে-ব্যবধান যায় ঘুচে-
কচি পাঠা মনে মোর –
চোখ ভাসে-
অশ্রুতে।
কেমনেতে মুখে দেবো-শিশুসম পশুটা-
এ যেন গলা চিঁপে –
নিজ হাতে-নিজ প্রাণ-
হত্যা.
গেনু নাই গেনু নাই-প্রসাদেতে অরুচি-
বলিপ্রথা বন্ধেতে-
মন প্রাণ কর-
শুচি। ।