কবিতা হৃদয়ের দর্পণ আর তার সাথে সাহিত্যের সংমিশ্রণ। সাহিত্যের ছোঁয়া ব্যাতিরেকে কবিতা হতে পারে না। কবিতার ভাষা গদ্য ভাষার চেয়ে আলাদা কারণ যে ভাষায় লোকে কথা বলে তাকে বলা হয় কথ্য ভাষা আর কথ্য ভাষা কখনই সাহিত্যের অঙ্গ হতে পারে না। যদিও কথ্য ভাষাতেও কবিতা লেখা সম্ভব কিন্তু সেখানে আবেগটাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। যেমন একটা উদাহরণ দিঃ


মা ছিল আমার প্রথম প্রেম
মা কে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না,
বিয়ে হলো বউ এলো আর আমার আলাদা ঘর হলো,
সে ঘর যেন আমার কাছে হয়ে উঠলো স্বর্গ সম
সে ঘরের নাম দিলাম স্বর্গধাম।
কিছুদিন যেতেই মায়ে বউয়ে সাপ নেউলের সম্পর্ক হয়ে উঠল
আমি এ পাড় না ও পাড়!
বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে জীবন।
দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে
মায়ের আশ্রয় বৃদ্ধাশ্রম।
লোকে আমায় দুষে , আমায় বউ এর বলে গোলাম
তোমরা কী কেউ খুঁজে দিতে পারবে আমায়
আমার সে শৈশব।


এটাও একটা কবিতা হলো কথ্য ভাষায়। কিন্তু এমন আবেগ দরদ দিয়ে সাধারণে বলতে বা লিখতে পারে না তাই।


আশাকরি, কবিতা কী বোঝাতে পেরেছি। আর গদ্য কবিতা কেমন হওয়া উচিৎ বলতে পেরেছি।


হার্দিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।