প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিকের আজ প্রকাশিত "ওরে, ভেবে দেখ মনে(লিমেরিক ছন্দে) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। হাটের গল্প
এক হাটের গল্প বলি শোন শ্রোতা-
হেথা হরেক পরসার-রকমারি
বাহারের-বিচিত্র বহুল-
ক্রেতা।
উদিলে সূর্য্য মুদিত নয়নে-নয়নেতে ধরে আলো-
সে হাটেরো কিনারে কোলাহল ওঠে-
বিকিকিনী করিতে-
ভাল।
কোলাহল গুঞ্জনে ভরা সে হাট-চলে অবিরাম দরদাম-
যাহকিছু বিকিকিনী হয় হেথা-
শত ছলনার-
ভ্রম।
দোকানি শতেক ছলনাতে মাতে-ক্রেতা সুচতুর অতি-
ছলাকলা যতেকো নাহিকো বিরাম-
সে দারুনো-
পরিনতি-
সাঁজেরো বেলাতে আখেরো গুটাতে-শত ছলনাতে প্রানো মাতি-
হেথা শুরু কোন্দল-বাহুবল শত রবে
চলে বজ্জাতি.
প্রত্যহ এ হাটেতে বহে ক্রন্দনো রোল-
দোকানি ক্রেতাতে শত সংঘাতে-
চলে অবিরল।
হানাহানি বিদ্বেষে হেথা শত প্রাণ ঝরে যায়-
দিকে দিকে লহু ধায়-
কান্নায় কান্নায়।
শ্বাশত এ হাট মাঝে শান্তির বাণী নাই-
মহাপ্রাণ কেঁদে ফেরে-
ফেরে নাকো মতি-
টাই।
শেষবেলা এই হাটে-লাভক্ষতি পিছে রয়-
হরিবোল বুলি তুলি-
দুদলই ঘাটে-
যায়।
প্রিয়কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত কবিতা "ভুলে যাই" কবিতায় উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মনভুলি
হায়রে হায় মনের গোরায়-মনকে ত্বরা গিটটি মারো-
মনমোহনায় মন ভরিয়ে-
নিত্যবেলা পুজো-
ধরো।
ঠাকুর সদা মনকে রাখো-রাজভোগেতে অঞ্জলি-
দুচার ঝুড়ি দীন কে দিও-
বলছি তোমায়
মনভুলি।
কবিতারি আসরেতে-মনটি তোমার হারিয়ে গেছে-
তাইতো তুমি ভুলছো সদা-
গিট মেরে ওই-
আঁচলটাতে।
কবি তুমি সাধনাতে-দু এক সিঁড়ি এগিয়ে গেছো-
তাইতো ভুলা হচ্ছে মন-
করছো ভুল-
এত শত।
দীপ্তি প্রকাশ মন দরিয়ায়-আলোর খেলা চলে-
সব ভুলে যাই বলছি কবি-
কবিতারি তালে।
ভুলছি ভাল লাগছে ভাল-দুঃখ শতেক ভুলি-
মন হারিয়ে প্রকাশ লোকে-
কবিতাতে মিলি।
ঝিলমিলে ওই সুরধারাতে-প্রাণের সুধা ঝরে-
বলছি কবি প্রজাপতি হৃদয়মাঝে –
ওড়ে।
সেই মদীরায় গহন প্রাণে-আর কিছু না রয়-
সব ভুলে যাই-ঝড় তুলে যাই-
কাব্য কবিতায়।
জীবনের পথে কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা প্রিয়কবি ক ম ল দাশগুপ্ত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত
ভোলা
ভোলা-সে তো আত্মভোলা-ভেলকি দেখায় প্রাণে-
সুখ দুঃখ জীবন ছোটায়-
ভোলা হাসে আপন-
মনে।
এই ভোলা তুই হাসিস কেন-মরছি আমি প্রাণ-
দেখিস না তুই সংসারেতে-
আমি অঙ্গান।
বাবার অসুখ কত্তো বড়-পথ্য যোগাই আমি-
তাই নিয়ে তোর বউদিমনি-
কত কথাই-
শুনি-
সেইদিনেতে দিখলি না তুই-মেয়ের আবদার-
সুদ গুনে-ওই টাকা এনে-
দিলেম সখের যন্ত্র –
তার।
এখন দিব্যি লাগিয়ে কানে-আমায় শোনে না-
দুঃখ কত জানিস ভোলা-
প্লিজ-এমন হাসিস-
না।
তুই বেয়ারা আবার হাসিস-খান্তি কামাই নাই-
বসের কাছে নিত্য বেলা-
খাচ্চি রে ধোলাই।
যখের ধন প্রাণ কেন দেয়-বিধাতারে কই-
এমনতরো বিধান কেন-
এমন দিলেন সই।
তাও ভোলা তুই হাসবি যদি-
গলায় দিলেম দড়ি
তোর লোকেতে দিলেম পাড়ি-
তোর হাসি বন্ধ-
করি।
প্রিয়কবি জয়শ্রী কর মহাশয়ার কবিতা "বৃষ্টি এলো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বৃষ্টি কতকথা
সেই ধারাতে সেই মদীরায়-সুখের বাণী লেখা-
সেই লেখাতে ধানের শীসে –
দারুণ গল্পগাঁথা-
হারিয়ে গেলাম সেই ভুবনে-টাপুর টুপুর রব-
দিচ্ছে জো লো বাতাস যেন-
করছে কলরব।
সেই ধ্বনীতে বৃক্ষরাজে-সবুজ পাতার বোল-
খুললো নয়ন বজ্রপাতে-
সেই হাওয়াতে দোল-
দোলদুলানি বৃক্ষরানী-সবুজ প্রাণ অঙ্কুর-
প্রাণ যে ছিল দাবদাহে-
দুর্বীশহ বন্ধুর।
সেই গগনে বাদল মেঘে-খুশির আলোকর্চ্ছটা-
প্রশান্তিতে মনটি মাতে-
বৃষ্টি কতকথা।
কবিতা সম্ভাবনা কবিতা কবি মণি জুয়েল এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শরনাং গচ্ছামি
অশান্ত ধরা-দিকে দিকে বারুদেতে ভরা প্রাণ-
ব্রমাস্ত্রে ঘোরাফেরা-
মানবতা অঙ্গাণ।
বিলুপ্তির কিনারেতে-মহাপ্রলয় অপেক্ষা-
দিকে দিকে কেঁদে ফেরে-
বিষসম বারতা।
তীক্ষ্ণ সে রব ওঠে-শত লহু প্রাণ মাতে-
যুদ্ধের দামামাতে-
এদেশেতে ওদেশেতে-
ধ্বংসের বাণী।
বুদ্ধ সে একদাতে-শান্তিরো বাণী সাথে-
গেয়েছিল কোন প্রাতে-
শরনাং গচ্ছামি-
পরিহাস সেই বাণী-দিকে দিকে দিকে শুনি-
তাই প্রলয়ের ক্ষণ গুনি-
এইক্ষনে হেদো কবি-বসে শুয়ে-
এই আমি।