(গীতি কাব্য) “সাধু”


আহা! বেশ বেশ বেশ ভাই, বেশ বেশ বেশ
আহা! বেশ বেশ বেশ ভাই, বেশ বেশ বেশ।
তাহারি বাহারি আঁখিতে পরাণ, তাহাতেই
শুরু শেষ।
আহা! বেশ বেশ বেশ ভাই, বেশ বেশ বেশ।
জীবনো দোলাতে রয়েছে ঝোলাতে, তিক্ততারই স্মৃতি
ভ্রমর যেথায় কাঁদিছে সতত, দূরেতেই
প্রেম প্রীতি।
রথ সে জীবন, রঙ্গ তামাসা, দেখেছি কত না শত
দেখেছি শামুক খোলেতে লুকাতে, হারিয়েছে
প্রেম ব্রত।
ব্রতচারী তাই, গাহিতে পারি নি, তমস কালোয় ঘেরা
তাহাতে সঁপেছি পরাণ আজিকে, কালোয় ছুটেছে
ঘোড়া।
তাহারই ঢুলিতে তাহারই বুলিতে, পথে পথে কাঁদি আজ
কুম কুমে আজ নাহিকো সে প্রাণ, ধরেছি সাধুর
সাজ।
আহা! বেশ বেশ বেশ ভাই, বেশ বেশ বেশ।
তাহারি বাহারি আঁখিতে পরাণ, তাহাতেই
শুরু শেষ।
আহা! বেশ বেশ বেশ ভাই, বেশ বেশ বেশ।


“ডাক্তারি”


আক্তার আলির ডাক্তারিতেই
বেশ আছি দা ভাল,
আগে সব ই দেখতে পেতাম
এখন দেখি
কালো।
হুলো বিড়াল ডাকলে শুনি
বাঘ ডাকলো ঐ,
জ্যান্ত বোয়াল রান্না খেলে
ভাবি খেলাম
কই।
দিনে ঘুমাই রাত্রে জাগি
তার অসুধের গুণে,
দেখলে খাবার ভাত বা রুটি
ভয় ওই লাগে
প্রাণে।
হোঁতকা মোটা ছিলেম দাদা
এখন পাটের দড়ি,
দু পা তোমার দাও এগিয়ে
জড়িয়ে আমি
ধরি।
একটু দয়া একটু মায়া
হলই জুদি প্রাণে,
আলির অসুধ নাও ফিরিয়ে
হ্যাঁচকা মেরে
টেনে।


“রথ”


তোর মত পুত থাকতে ধরায়
শ্মশান হবে ঘর,
মুখ পোড়া যে, বানর রে তুই
পানিত ডুবে
মর।
তোর পালনে তোর লালনে
জীবন দিলাম বাজি,
বয়স কালে বায়স হলি
হাল ধরিতে না
জী!
অন্ধ কূপে পড়বি রে তুই
জ্বালবে না কেউ বাতি,
ভুত প্রেত ঐ সঙ্গ দেবে
তারাই হবে
সাথী।
তোর পুতে তে কইবে বাপু
তুই দেখালি পথ,
তোর ওই রাহে চলবো পথে
টানবো জীবন
রথ।


“গোলাপ”


তুমি আমার কৃষ্ণচূড়া লালির সমাহার
কুঞ্জ বনের সোহাগ মাখা মনের
মণিহার।
ভ্রমর যেমন পরাগ টানে গুন গুনিয়ে গায়
তীব্র নেশায় ফুলের মধু তার ওই
বাগিচায়।
তেমনি যেনো ফুলটি তুমি ভ্রমর আমার মন
সাত জনমেই চায় যে তোমায়, তুমিই
পরম ধন।
অমর প্রেমের গাথায় জীবন ধন্য তবেই ধরা
গোলাপ বাগের গোলাপ তুমি স্নিগ্ধ
মনোহরা।


“ব্যাপার”


স্বপ্ন দেখে সেদিন খুড়ো বেজার জোরে হাক মারে
পাড়ার লোকে দৌড়ে সে দিন, সবাই এলো তার ঐ দ্বারে।
ব্যাপার কী ভাই
বুঝছে না তাই,
স্বপ্নে খুড়ো দেখতে ছিল, কামড়ে দিল ছুঁচোয় তারে।