প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", দশম খন্ড
(দশম খন্ডটি পাঠ করবার আবেদন রইল)


জাগলে সে মন আমার ঘরে বিছায় আঁচল পেতো
লাবণ্যের ওই রূপের শিখায় খুশির বানে মেতো।
বিভায় তোমার জোনাক বাতি জ্বালবে আমার ঘর
উজল প্রভায় ফিরবে সকল যা কিছু মোর হৃত।


সেদিন সুবাস সুঘ্রাণ বায়ে উঠবে সাগর মোতি
ঐশী প্রেমের নদ সে বাহার তোমার আমার প্রীতি।
হর্ষ গানে মাতবে ধরা-বৃক্ষ লতা তরু
গাইবে সকল বল্গা বিহীন অমর প্রেমের গীতি।


বইবে নদী অঝোর ঝরা গাইবে পাখি সুরে
সুখের নদে ভাসবে সে গাঙ; দুঃখ বিষাদ দূরে।
সপ্ত সুরের রাগ রাগিনী গাইবে সুখের গান
মোহন সে সুখ সম্ভোগের ওই; অনল যাবে পুড়ে।


সেদিন রবে প্রেমের ভবে দিব্য প্রেমের নদ
ফুটবে কলি হাজার শতেক-ঝিল সে কোকনদ।
লিখবে কবি অমর প্রেমের লক্ষ হাজার গাথা
মরুর সে ভূম শুষ্ক শ্যামল ভরবে জলে হ্রদ।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", প্রথম খন্ড


বৃষ্টিস্নাত সৌর কিরণ; মালায় তাহার সাতটি রঙ
মেঘের দেশে পেলাম তোমায় তোমার ঝিলেই সন্তরণ।
ভাব সাগরে ঝরলো মোতি; দেখছি তোমায় অপলক
স্নিগ্ধ তোমার রূপের পূজন, প্রাসাদ প্রেমের গড়বো পণ।


হারিয়ে গেছে মন যে আমার; জলদ তার ঐ বারির বানে
ফল্গু সে তার ধারায় তাহার, আসবে কী আজ আমার প্রাণে!
সাধবো তোমায় বল্গা বিহীন-পাল তোলা ঐ প্রেমের তরী
বাঁধবো তোমায় ভালোবাসায়- তোমার সে দেশ আগমনে।


কেশ কপালী ও রুপালী, ভাঙলো গিরি তোমার খাতে
বইতে তোমার স্রোতের ধারায় আজ হতে রোজ দিনে রাতে।
সুধার সে তল সাধবো জীবন; তরঙ্গেতে মনটি মাতি
বাদল সে আজ ঢাকবে সূরজ-তোমার আমার মুলাকাতে।


অম্ল মধুর সুরটি তোমার বাঁধতে আমার হৃদয় দ্বীপ
করলে না হয় জীবন হরণ, করলে আমায় অন্তরীপ।
সাধন ভজন পূজন আমার; রইবো সে তল জীবন ভর
প্রহর কাল যুগ যুগেতে-ভাসবো না সই বিপ্রতীপ।......(চলবে)


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ-দ্বিতীয় পর্ব"


বইছে বাতাস তীব্র আজি; হৃদয় সে তার নীলাকাশে
বাইছে লহু তির তির তির, তন মন-প্রাণ তোমার আশে।
সুপ্ত লহু ফুটছে সে তল; বিস্ফোটের ঐ প্রাক সে পল
আজ ধরণী উতল আজি সুঘ্রাণ তোমার সু সেই বাসে।


ব্যাপ্ত আজি তোমার ছায়া কেশরাজি ঐ গগন তল
দীপ্তি তার ওই জ্বালছে ফাগুন পশম তার ঐ কুসুম দল।
ফাগুনের ওই লাল আগুনে সাজিয়ে সে দ্বীপ প্রেমের ডালি
ডাকছি সখী আয় না ত্বরা-নাই রে স্খলন নাইকো খল।


রূপ সুধা তার বিভায় যে আজ, আজ ধরণী উতল তল
হৃদ সাগরে উঠলো তুফান ফুটলো কলি প্রেমের দল।
হারিয়ে গেছে মন যে আমার পশম তার ঐ অন্তরালে
ভাব সাগরে আজ যে বাহার প্রেম ধারা তার বানের ঢল।


রূপের রানী তোমায় চিনি আজ হতে ঐ যুগের পর
বাঁধন তোমার আমার দ্বারে সাধতে পরাণ গড়তে ঘর।
অদ্য বেভুল ভ্রান্তি বিলাস; দূর সে অতি, কী অভিলাষ!
বাঁধ ভাঙা ওই আকুল সাগর; রইছো দূরে আমার দ্বার।......(চলবে)


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", তৃতীয় খন্ড


বাসবো তোমায় অনেক ভালো; রাখবো তোমায় সুখে
হর এক কদম সইতে তোমায়-হাস্য বদন মুখে।
ভ্রান্ত পথে শ্রান্ত দিনে, চাই যে প্রিয়া তোমায় পাশে
কপোত সুখে রইবো মোরা-আলিঙ্গনে সুখে দুখে।


প্রাপ্তি কিবা অপ্রাপ্তির ঐ; সুখ আর দুখ, দহন জ্বালা
হর্ষ সনে প্রীতির গানে, ভাসবো দুজন বইবো ভেলা।
কান্না হাসির দোদুল দোলে দুলবো দুজন কূজন রবে
দিন গুজরান যেমন মতি; করবো না সই অবহেলা।


খুনসুটি খুব লাগবো পিছে; রাগ হলে সই ধরবো চেপে
সোহাগ দিয়ে বুক ভরাবো, হটাৎ যদি যাও গো ক্ষেপে।
মিস্টি চুমায় ভরিয়ে দিতেই দু গাল তোমার টোল খেলা
জলদ বারি ঘিরবে তোমায়, আসবে বাদল দারুন ঝেপে।


নাই বা হলো মহল উঁচু; প্রেমের প্রাসাদ রইতে সই
দুঃখ গ্লানি রইবে নাকো বান সে নদে হারিয়ে খেই।
স্বপ্ন অনেক বুকের মাঝে আয় না সখী এই বেলা
হৃদ সাগরে মুক্তো মানিক, তা দিয়ে গড় গড়বোই.........(চলবে)


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", চতুর্থ পর্ব


সে গাঙ তুমি ভাসবে নায়ে আমার বুকে ভর করে
বাঁধবো তোমায় দু-হাত আমার-বন্ধনেতে বদ্ধ করে।
ঢেউ খেলানো বক্ষ যুগল, হারিয়ে সে তার গহীন তল
মন যে হবে বাঁধন ছাড়া, সম্ভোগেতে প্রাণটি ভরে।


চঞ্চু তোমার জীবন আমার চাউনি আমার প্রাণ
গ্রীবায় তোমার পীযূষ তাহার, গাইবো তোমার গান।
প্রেমের সুবাস বইবে সে গাঁয় ঘ্রাণ সে অমলিন
ভুলতে কী আর জীবন ভাতি-তোমার অবদান।


কাজল তোমার নয়ন তারা আকাশ সে হয় লীন
সাগর তোমার হৃদ সে মোতি; অমোঘ অমলিন।
চাইতে হারা গাইতে হারা পাগল আমার মন
তোমার আশে দিন সে ঢলে বাজতে প্রেমের বীণ।


মন মদিরায় স্তব্ধ সে গাঁয় জোনাক জ্বালে বাতি
তুমি আমার পরম সে ধন; আমি তোমার পতি।
মোল কী সে তার, মূল্য কী বা! প্রাণের অভিলাষ
স্পর্ধা সে নয়; সত্য ইহাই-ও মোর প্রাণের সাথী।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", পঞ্চম খন্ড


দহনেতে মন আজিকে পরম- ঝঞ্ঝায় হৃদ মাতে
মৌন কেন গো প্রেয়সী হে মোর, শিথিলতা গিরিখাতে!
ঘূর্ণিত ঘাড় কেশের বাহার; লুক্কায়িত আঁখিদল
কোন সে কুহেলী ও মোর সহেলী; হেন মতি ছলনাতে?


গোকুল আমার সাধন ভজন, পূজন কূজন সব ওই তুমি
হৃদ সে দুয়ার ভরাট আমার সেই সাগরে তুমিই রানী।
স্তব্ধ সে গাঁয় খর সে বাতাস-বইছে মরুৎ কান্না ভেজা
বাজছে করুণ রাগ সে ব্যথার; তপ্ত হৃদে প্রহর গুনি।


উষ্ণ আজি নয়ন কমল, নাই কো ধারা; পানির স্রোত
ব্যথায় ধরা আঁখির তারা; জড়িয়ে তোমায় ওতোপ্রোত।
মুদলো কলি নষ্ট সে নীড়-নাই কো সুবাস সুঘ্রাণ তার
অস্তরাগের সুর সে করুণ; ভরলো সে হৃদ বাঁধলো জোট।


প্রকারে বিকারে, আজিকে প্রহারে এলে সে কাঁটার সাজে
দীর্ণ আজিকে, হৃদ সে দুয়ার; ব্যথারই সে-সুর বাজে।
শূন্যতা গ্রাসে গ্রাসিত মেদিনী, নীরবে কাঁদিছে কাল
বিদায় সজনী স্বরূপে সুঘ্রাণে-ভালো থেকো মহী রাজে।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটির প্রতিটি স্তবক রুবাই ছন্দে লেখা।


প্রেমের কবিতা,"সন্তরণ", বিশেষ খন্ড (ষষ্ট খন্ড)


আজিকে গগনে বরিষণে ঘন-অঝোরেতে বারি ঝরে
তোমারি বিহনে স্বয়নে স্বপনে স্মৃতি সবে ভিড় করে।
আজিকে নয়নে নয়নে তাপিত; আঁধারে বাহিত কাল
আশাহত প্রাণ বিলাপ ও প্রলাপে- গুমরে গুমরে মরে।


তুমি নাই তাই, আশা নাই, ভালোবাসা নাই প্রাণে
তুমি নাই তাই, হুতাশনে বহে কাল; নিদ্রা ও জাগরণে।
তুমি নাই তাই, গরলে বাহিত; ফল্গু সে সুখ হরা
বসুধা আজিকে দলিত মলিন; স্থিরতা নাহিকো প্রাণে।


তুমি ছিলে মোর যুগের সারথী, কালে কালে ছিলে সাথী
সুখ আর দুখ প্রলয় ও তুফানে; ছিলে তুমি সমব্যথী।
স্মরিতে তাহারি মাধুরী বিতানে-ফোটে নাই আজ কলি
মিলে নাই সুর সুরেতে মিলায়ে-গাহিতে দিবস রাতি।


তোমারি বিহনে-বিরহী লগনে; বন্দনা তব গাহি
অকূলো পাথারে ভাসায়ে পরাণ; পথিক আমি এ রাহী।
নিশা যবে ছায় দিগন্তে হায়, আঁধারের আলাপন
পারাবার এ আঁধার; দিতে হবে পার, হতোদ্যম সখী নহি।
লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটির প্রতিটি স্তবক রুবাই ছন্দে লেখা।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটির প্রতিটি স্তবক রুবাই ছন্দে লেখা।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", সপ্তম খন্ড


হারিয়ে তোমায় হৃদয় আমার তপ্ত সীসের বাণ
বিঁধছে বুকে অনেক দুখে খাদের কানায় প্রাণ।
চাই যে তোমায়, তোমার দেশে সুখের গাঙেই রও
তোমায় যে তাও ভুলতে নারি-মন করে আনচান।


কোকিল তোমার কণ্ঠ আমার- বিড়ম্বনার কাল
তোমার আকাশ হৃদয় আমার; আজ-ও ব্যথায় লাল।
আকাশ পরী সইতে নারি, এক সাগরের দুখ
স্মরণ তোমার আসলো না যুগ; যুগান্তের ওই পল।


প্রেমের সাগর ডুব দিয়ে ঐ-যুগ হতে যুগ পার
স্তব্ধ বাতাস কাঁদছে আকাশ; ভিন্ন এ যুগ দ্বার।
যুগল দেহে অনেক স্নেহে প্রেম সে তপোবন
কলির এ কাল হানলো আঘাত-প্রেম হলো ছারখার।


বাসবো ভালো রাখবো ধরে হৃদয় আমার ধন
প্রশান্তির ওই শীতল ছায়ে-তোমার উপাসন।
রইলে দূরে গাইবো সুরে-তোমার আমার প্রেম
বইবে বাতাস আমার গৃহে- তোমার আমার ঘ্রাণ।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", "অষ্টম খন্ড"


স্তব্ধ সে গাঁয় জোনাক বাতি জ্বলছে নাকো আজ
রুদ্ধ দুয়ার কান্না ভেজা ব্যর্থ প্রেমের রাজ।
বাজছে সানাই করুণ অতি বিষাদ ঝরে সুর
সুরমা আঁখির রইলে দূরে; প্রেমের মমতাজ।


লক্ষ্য আজি নাই কো কিছু ব্যর্থ মনোরথ
আঁধার ঘন নিশীথ রাতি; আমার হারিয়ে গেছে পথ
আঁখির পাতে জ্যোৎস্না হাঁকে তোমার প্রতিচ্ছবি
ছুটছি পথে একলা আমি, ছুটছে প্রেমের রথ।


বিষাদ বিধুর কুটির ছায়ে পুড়ছে আকাশ নভে
পুড়ছে বাতাস হতাশ আজি তোমার অনুভবে।
অনল তার ওই হলকা সে তার; ধূম্র তার ঐ জট
'কাল', সে আজি কাঁদছে এ গাঁয়, কাঁদছে নীরব রবে।


ও পাষাণী একটুখানি পথ সে তোমার থামো
পল সে খানিক স্থবির সে গাঁয় দৃষ্টি দিও তমো।
নাই বা দিলে জ্যোৎস্না বারি নাই বা দিলে প্রেম
মহল তোমার আকাশ হতে পল সে খানিক নামো।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।


প্রেমের লেখা,"সন্তরণ", নবম খন্ড
(নবম খন্ডটি পাঠ করবার আবেদন রইল)


দিব্য প্রেমের ঝলক ওগো বইছে সে নদ হেথা
তোমার আমার যুগ কালের ওই; প্রেমের কতকথা।
কালের ভাজে বাজছে রবে তোমার আমার প্রেম
বিস্মৃতির ওই অতল তলে; আজ সে প্রেমের গাথা।


কী করে রব জাগাই সে মন তার সে মানিক আমি
কও না ও কাল, কলঙ্কের ওই সেই সে কলঙ্কিনী।
যুগ কালে রব রাধাই সে যে, তার সে কানাই হই
মধুর সে সুর আজ কেনো দূর ; কেনই অন্তর্যামী?


সৃষ্টি কেনই সৃজন জাহান? ব্যথাই শুধু দিলে
যুগ কালের ওই পুষ্প সে আজ, কেনই কেড়ে নিলে?
পাষাণ সে আজ ধরলে সে সাজ; কলির কালে আজি
দুঃখ ব্যথার পাহাড় চড়াই; আজকে এ কাল দিলে?


কাল কী অমোঘ নাই কী সীমা বঞ্চনার ঐ পল!
বইছে ধরায় বইবে ধরায়; সুশীল কী তার পণ?
আজ যা মোহ কাল সে অমিল, কাল সে তার ঐ গতি?
তার সে বিধায় আঁধার হে মোর; প্রেমের সন্তরণ।


লেখাটির বিশেষত্ব : লেখাটি যতদূর চলবে রুবাই স্তবকেই চলবে।