“সাপ টে”


ঘুমের ঘোরে চলতে থাকেন; বেল তলাতে খুঁড়ো
শুনেই চোখ কপাল আমার, ঘামছি দড়ো দড়ো।
সেদিন সেথায় চার টি শেয়াল
খাচ্ছিল ছাল তুলে বোয়াল,
মেয়ে টাকে ফেলেই ভয়ে, বলছে কেটে পরো।


ভাগলো তারা উঠলো বেটি খুঁড়োয় ধরে জাপটে
কান্না চোখে বলল দাদু, তুমি ই আমার বাপ টে,
জুটলো লোকে হল্লা বোলে
দাদুর সবাই ছাল টা তোলে,
বলে বুড়ো লাজ কী মাথায়, এই বয়সেও সাপ টে!


যাচ্চলে!


“বন্ধ”


ভোলানাথ সিদ্ধি, গাঁজা খেয়ে বুঁদ হলে
পার্বতী টুক করে ঝুলে পরে তার গলে,
কাম কাজ সাঙ্গ
নেশা তার ভঙ্গ,
আধুনিক যুগ ভায়া, পুরানা কী আর চলে।


শিব তার সন্দ পার্বতী মন্দ
কেন যেন পান তিনি পরকীয়া গন্ধ,
খানা পিনা ছেড়ে তাই
কিল ঘুষি দেয় ভাই,
আজ হতে জায়া তার, ঘোরাফেরা বন্ধ।


তাই তিনি আর তো নারেই, মারতে অসুর ভবেই
দান দখিনায় আর পাবো না, চিল্লালেও রবে'ই।
মা যে এখন দুঃখে নিজেই
নাই তো বাপু রণের সাজেই,
এখন তোমার আর আমারে, ধরতে হবে বৈঠেই।.


“বিগ ব্যাং”


তা ধিন না তা তা, তাতা, তাঁতির ঘরে ব্যাঙ
চার ঠ্যাঙেরই ব্যাদি তে'তেই কাঁপলো উঠে ঠ্যাঙ!
ও নুলি তুই কোথায় গেলি
আসর বাসর হেথায় ফেলি,
করবি কী তুই ভাবছি বসে! হলেই বিগ ব্যাং।


“খেলারাম”  


মাল খেয়ে টাল খেলারাম;  চলতেছিল পথটি ধরে
আগায় যতই দু চার পা, পরেই সে তো ড্রেনের পারে।
রাগ কী ভায়,  ক্যান হবে না
দিনে সে রোড সোজাই কী না!
রাত হলে ড্রেন মাঝ রোডেতে, খেলা রামে বুঝতে নারে।


“পিছু”


ঢাকার রাজের গল্প শুনে উঠলো যে মন তাধিন নেচে
ভাবছি এবার গ্রামের বাড়ি-দর হাঁকিয়ে দিবই বেচে।
গন্ড গাঁয়ে নাই যে কিছুই
তাও ছাড়ে না কেন পিছুই,
তার ঐ হরিৎ শস্য শ্যামল, স্বর্গ যে দেয় রচে।


“কান্তা পিশি”


কান্তা পিশির খুন্তি নড়া-পিস্তা পেষা কড়াইতে
দিলেন কেনো এমন ধারা-তেল তেলানীর সুখ পেতে।
তাল তলাতে বেজাত ভূত
নাঁচছে তাদের তাধিন পুত,
জ্যান্ত ইলিশ সর্যে ভাপায়, বসেই গেলেন ঝোল সে মেতে!


হাঃ হাঃ কান্তা পিশিতে মজেছে খুঁড়ো। হাঃ হাঃ।