(আজ জলপাইগুড়িতে আমার ক্লোজ বন্ধু ডিস্ট্রিক্ট অফিসার মিস্টার সত্যকাম গুরুং , খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ বোর্ড, মহাশয়ের রিটারমেন্ট ফেয়ারওয়েল পার্টি ছিল সেখানকার নামী রাজদীপ হোটেলে। ইনভাইটি ছিলাম সেখানে। দুপুর দুই টায় দার্জিলিং ডি ও সাহেবের অনেক অনুরোধেও তার গাড়িতে যাই নাই সেখানে, যাব না বলেই ঠিক করেছিলাম কিছু ইগোর কারণে। মনটা ভালো ছিল না কারণ যার রিটারমেন্ট পার্টি, তিনি আমার খুবই কাছের লোক। হটাৎ আনমনে একটা কবিতা লিখে ফেলি আর ঠিক করি সেখানে গিয়ে এটা পাঠ করতে হবে আমায়। দুপুর তিন টার ট্রেন ধরে ঠিক চার টায় সেখানে পৌঁছে যাই। দার্জিলিং ডি ও সাহেবের প্রস্তাবে কবিতাটি প্রথমে বাংলাতে ও পরে তার ইংরেজি ট্রান্সলেশন করে সবাইকে শুনাই। তারা নেপালি অত ভালো বাংলা বোঝে না তাই। খুবই প্রশংসিত হয় সে লেখা। পরে গুরুং বাবুর জামাই ও তার পরিবারের অনুরোধে লেখাটি আবার আমাকে পাঠ করতে হয় তার ইংরেজি ট্রান্সলেশন সহকারে। তার জামাই এর অনুরোধ যে লেখাটি আমার নিজের হাতের লেখায় লিখে স্বাক্ষর সহকারে বাঁধিয়ে দিতে হবে। এত সম্মান পাব ভাবতে পারিনি। লেখাটি নিজের হাতে লিখে ও কম্পিউটারে বাংলা ও ইংরেজিতে লিখে তিনটি লেখাই দিন দুয়েকের মধ্যে তাকে দেব বলে ঠিক করেছি।)


আজিকে শারদো প্রভাতে যামিনী বিচ্ছেদের ওই গীতি
দিন বয়ে যায় ঢলল বিকেল, তমস কালো
রাতি।
রবির কিরণ শেষের বেলায় অস্তরাগের মূর্ছনাতে
করুণ সে সুর হৃদয় দোলায়, মনটি হারায়
যন্ত্রণাতে।
প্রণাম জানাই বক্ষে ধরি ধন্য তুমি বীর সেনানী
ভুলতে নারী জনম জনম, অমর তোমার দিব্য
বাণী।
তোমার জ্ঞানে তোমার দানে জীবন আজি ধন্য মোর
নিঃস্ব আমি নই তো প্রাণে, করবো তোমায়
সমাদর।
বাপুর দানের চরকা তোমার; ঘুরলো চাকা অনর্বত
স্নেহেই তোমার গড়লো জীবন, দীন দুঃখী বেকার
শত।
বিদায় তোমার বিধায় কানুন অন্ত আজি কর্মস্থলে
ধন্য তুমি মহান হৃদয়, রইবে সবার
বক্ষস্থলে।
সেলাম তোমায় জানাই আজি মহৎ উদার মহাত্মার ই
বিজয় তোমার প্রার্থনাতেই, ঈশ্বরেতে দু হাত
জুড়ি।