জীবনমুখী লেখা, "শ্রদ্ধাঞ্জলি"


(লেখাটি আসরের শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি নাসিরুদ্দিন তরফদার মহাশয়ের প্রতি উৎসর্গীকৃত)


রে বুলবুল, কই রাখি রে! এক হাঁড়ি ওই ছানার বড়া
যেমন তেমন নয় রে বুল, বলছে রে জ্ঞান উপুত করা।
দু হাত জুড়ি ঈশ্বরেতে
তার ঐ ক্ষেতে আমি মেতে,
তোমরা সুহৃদ মান্য সুজন, হৃদয় গড়া সোনায় মোড়া।


"সর্ষেতে ধরা ভূত"


সর্ষেতে ভরা ভূত কারখানা কারনামা
পূবেতেই প্রভাতেই রবি মামা দেয়
হামা।
জাগতিক যাহা কিছু বল্টনে মিলাবট
দিকে দিকে তাকালেই পাঁচতারা খল
শঠ।
সীমাহীন শোষণেতে সবে করে বজ্জাতি
কেহ নাই সীমানাতে, মানবতা দিতে
বাতি।
বাতুলতা শিথিলতা সরকারি যন্ত্রেতে
কল আর কারখানা, শ্রমের ওই দাম
দিতে।
প্রাচুর্য্যে ভরা দেশ মাঠে ঘাটে সোনা ফলে
রাজনীতি কূটনীতি বি-সমতা জাল
বোনে।
ভাবি রাজা হব আমি মসনদ তুখলকি
সমতার চারা বুনে, সাথে দিব
তদারকি।


"খবর"


খবর! সে তো ইস্টিশনে, উড়াল দিছে পাখি
কেউ করেছে বশ তাহারে কিংবা তুক
তাক ই।
বন্ধু শোনো প্রহর গোনো তাবিজ কবচ লও
খিঁচুড়ি আর লাবড়া বানায় গড়িবেরে
দাও।
দান দখিনায় পুণ্যি হলেই ভবের হাটের রাজা
ফিরৎ দিবেই সে ধন তোমার বলবে বগল
বাজা।


"ও প্রিয়া"


ও  প্রিয়া, মুখরা তোমার; গোমরা কেনই হলো
কেনই তোমার রা নাই মুখ, নিরালাতেই
চলো।
ও প্রিয়া বলো। ও প্রিয়া বলো।
ও প্রিয়া, মুখরা তোমার; গোমরা কেনই হলো।


সাঁজের বেলায় বিকার হেলায় উদাস কেনই রও
ভ্রান্তি আমার, ব্যথার সে দুখ, কেনই প্রিয়া
দাও।


কুঞ্জ বিতান কাঁদছে করুণ, পুঞ্জে অলি নাই
মুসরে গেছে বকুল কলি, প্রেমের
যাতনাই।


আকাশ মামা মুখ ঢেকেছে জ্যোছনা হারায় তাজ
প্রকৃতিরই মধুর সে বোল, তার কপালেও
ভাজ।


লাজ কী প্রিয়া, মুখরা তোমার;গোমরা কেনই হলো
কেনই তোমার রা নাই মুখ, নিরালাতেই
চলো।
ও প্রিয়া বলো। ও প্রিয়া বলো।
ও প্রিয়া, মুখরা তোমার; গোমরা কেনই হলো।


"দিদির কথা"


শোন রে বুল দিদির কথা-দুঃখ কেন করিস মন
তোর তো আবার দুঃখ বড়, না পাইলেই মধুবন।
সিটি এখন কম বাজাবি
চোখ থাকতেও অন্ধ র'বি,
রবির কিরণ ঝরবে রে কই, সময় হলেই শন শন।