মানবিক মুখগুলি আসে পাশেই থাকে এমন উপলব্ধি আমি নিত্য দিনেই পাই আর উপলব্ধি করতে পারি যে, আমাদের এই সাধের ধরা এখনও মাববতা বোধ হারিয়ে ফেলে নি। শুধু যেটা দরকার সেটা নিংড়ে বের করে নিয়ে আসবার। বেশি না বকে সরাসরি আসল কথায় চলে যাই।


কামরুপ এক্সপ্রেস আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি (এন জে পি) ফিরছিলাম। প্রচন্ড ভিড়। যদিও আমি একটি বসবার সিট পেয়েছিলাম। সারে তিন ঘন্টার জার্নি। জেনারেল কম্পার্টমেন্ট। অনেক ক্ষণ থেকেই দেখছিলাম একজন ভদ্রমহিলা কোলের বাচ্চা সহ এদিক ওদিক সিট খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। শেষমেষ আমার সামনেই এসে পড়লেন। আমি বললাম বসবেন? আমার সিট টা তাকে ছেড়ে দি। থেকে থেকেই ভদ্রমহিলা বলছিলেন , আপনি বসবেন! আমি বলি , না আমার দাঁড়িয়েই ভালো লাগছে আর তাছাড়া এতক্ষণ তো বসেই ছিলাম আর তো এক ঘন্টা , আমার জায়গায় পৌছে যাব।


দাঁড়িয়ে ছিলাম। যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান থেকে প্রায় তিন চারটা পার্টিশন পরের খোপ থেকে একটি সিট খালি হলে সে খোপে বসা যাত্রীরা আমায় ডেকে উঠে আর আমাকে সে সিটে বসাবার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে। যদিও সে সিটে আমি বসি নাই কারণ তার আগেই সে সিটের পাশে থাকা একজন সেখানে হটাত বসে পরে আর আমি বলি, না , উনিই বসুক , আমার দাঁড়িয়ে যেতেই ভালো লাগছে।


আর এটা ভেবে এত ভালো লাগে যে আমি তো আর কোনও ভি আই পি নই যে, হটাত করে কয়েক জন আমাকে সিটে বসাবার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠবে! আসলে তারা বোধহয় আমার আচরণ টা এতক্ষণ নীরবেতে লক্ষ্য করছিল, তাই।


ভাবছিলাম মনে মনে , মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায় নাই ধরা।


এমন ছোট ছোট ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখবার জন্য আসরের প্রিয় কবি অরিন্দম ঘোষ মহাশয় আলোচনা বিভাগে যে আবেদন করেছেন তা মঞ্জুরির জন্য সাওয়াল করে গেলাম মাত্র।


তাহলে হয় তো বা আপনার লেখা বা ব্যবহার থেকে আমি বা আমরা
সবাই কিছু শিখতে পারবো আর এভাবেই আমরা সবাই
উদ্যোগ নিতে পারবো কিছু করবার।
সিঞ্চন করতে পারবো কমল কলির।
শত দলের দল দলেতে ঢেউ খেলে যাবে মানবতা।
স্বর্গ সমান হয়ে উঠবে
তাবৎ বিশ্ব।


বিনীত আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।