“তাদের হতিই খাও”


মূত্র ধরি রফিক কানাই; হাঁটতে চলি গাঁয়
হাঁক ডাকেতে কইতে লাগি; তাকায় ডাইন
বায়;
সবুর মিয়া গ্রামের দিয়া আগল লাগায় পথে
ধমকে কহেন, দুই হাতা ভাই; দে না আমার
হাতে।
অমান্যি কি তাহার কতা! মূতেয় ভরি হাতা
ঢালেই সে ঢাল বর্ম সমান; তাহার সে কর
পাতা।
সুরুত করি মূত্র সে কর; তার সে মুখে ঢালে
গর্ব চোখে মুখে তার ঐ; গিমিক চালে
বোলে।
চাউড় খবর চললো ঢাকা মূতের গেলো থলি
খাইলো সে মূত ছাওয়াল বুড়া পাড়ার অলি
গলি।
যেমন তেমন মূত নয় গো গোরুর ধরা চোনা
করতে কসর মারতে অসুর; করোনার ঐ
কণা।
রুধতে সে রোগ চাও গো জুদি, রসিদপুরে জাও
রফিক কানাই সেই গাঁয়েতেই, তাদের হাতিই
খাও।


“মতিহারীর দেশে”
(মহামারী রোগ করোনা আটকাতে সারাদেশে ২১ দিন লক ডাউনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার অথচ কিছু সংখ্যক লোক কে হাত জুড়ে অনুনয় বিনয় করলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না তাদের মেলামেশা , বিনা কাজে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, একসাথে জড়ো হচ্ছেন , তাস খেলেছন, বাইক বা গাড়ি নিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ কে এদের সামলাতে লাঠি চার্জ ও করতে হচ্ছে অনেক জায়গাতেই। অনেক জায়গাতে পুলিশ এলেই খালি আবার পুলিশ চলে গেলে যে কি সেই। শুধু আমার দেশেই নয় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও একই চিত্র। আমাদের দেশ এবং বাংলাদেশ উভয় দেশই অনেক ঘন বসতিপূর্ণ। এ দুই দেশে এমন চলতে থাকলে মহামারী কেউ আটকাতে পারবে না। ভারত ইতিমধ্যেই করোনা স্টেজ ৩ এ পৌছে গেছে মানে জল এখন বাঁধের উপর দিয়ে বইছে। সেই সব গন্ড মূর্খ যারা লক ডাইন ভাঙছেন তাদের উদ্দেশ্য লেখা নিম্ন লিখিত কবিতাটি)


রসাতলে যাবেই এ দেশ
মূর্খ দিয়ে গড়া;
নিয়ম নীতির বালাই সেথা
শূন্য ভাঁড়ের সড়া।


শুধুই ফাঁকা বুলির রব
দিন রাত্তির চলে;
এমটি ভেসেল সাউন্ডস মাচ
তেমন কথা বলে।


দিন পনেরো ধৈর্য ধরো
মতিহারীর দেশে;
দশ দিশাতে করোনাতে
বলছি যাবে ফেঁসে।


সেদিন বাপ বলতে কানাই
সবার সেরা হবে;
গর্ব ধরেই কইতে পারি
সসাগরা কবে।


“গড়াগড়ি”


টোকলায় গোয়ালেতে
গরু ডাকে হাম্মা;
সেই ডাকে ভয় পান
লাঠি হাতে
ঠাম্মা।


হাঁপানির টান ওঠে
গরুর ঐ হাঁকে তেই;
জেঠু তার জাপানির
ঠক ঠক কাঁপা
তেই।


জেঠু বলে রেগে মেগে
গরু বেচে দিয়ে আয়;
সেই কথা শুনে কাকা
ফেটে পরে হাসি-
টায়।


গরু লয়ে টানাটানি
বোন আর ভায়েতেই;
জানাজানি হলো বাত
আশেপাশে গাঁয়ে-
তেই।


মোরলের সর্দারে
বলে দড়ি গরু আন;
তাই দিদা ফুট করে
টেনে দেয় তার
কান।


গরু লয়ে গড়াগড়ি
সবটাই রটনা;
সহজেতে গুজবেতে
বলি ভাই মেতো
না।


"পরিশেষে"


(বি।দ্র; এইমাত্র জানতে পারলাম যে আমাদের শহরে একজন ৪৫ বয়স্থা মহিলা করোনা আক্রান্ত এবং তাকে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে, মানে এখানেও দিন কয়েকের মধ্যেই শুরু হবে মৃত্যু মিছিল)


শিলিগুড়ি শহরেতে এসে গেছে করোনা
হাত ধুয়ে বসে থাকো; পাবে নাকো
করুণা।