জীবনে এই প্রথমবার কোনো কবি সাহিত্যিক সম্মেলনে গেলাম। ২য় বার্ষিক সম্মেলন ছিল "আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি সমিতির। স্থান "হোটেল হিল কুইন-শিবমন্দির। যদিও আমি এই সমিতির সদস্য নই তবুও এক কর্মকর্তা (শ্রীমতি বাবলি রায় নিবাস আলিপুরদুয়ার) তিনি আমার কবিতার ভীষণ অনুরক্ত হটাৎ ফোন করেন আজ সকাল ১১ টার দিকে এবং অনুরোধ করেন আমাকে সেখানে আসবার জন্যে। আমি কিছুটা অবাক হয়েই তাকে বলি-"কি করবো ওখানে গিয়ে"! তিনি বলেন কিছু কবিতা নিয়ে আসুন এখানে পাঠ করবেন তাছাড়া অন্য সবার সাথে আপনাকে পরিচয় করে দেব। সে অনুরোধ কি আর ফেলা যায়। দুটো কবিতা আসরে লিখে প্রস্তুত হই এবং দুপুর দুটো নাগাদ সেখানে পৌছে যাই। তখন ভোজন পর্ব  চলছিল। ব্যুফে সিস্টেমে ভাত ডাল মাছ দিয়ে খেয়ে নিলাম। সৌহাদ্য পরিচয় হলো বেশ কিছু বহিরাগত কবিদের সঙ্গে। মালদা বহরমপুর বিরভূম পাটনা ঝারখন্ড ইত্যাদি এলাকা থেকে এবং বাংলাদেশ থেকেও দু একজন এসেছিলেন। এরপর সুসজ্জিত কনফারেন্স হলে চললো দীর্ঘ আলোচনা বাংলা ভাষা ও কিভাবে প্রবাসী বাঙ্গালী রা বাংলা ভাষায় তাদের অবদান প্রচেষ্টা ইত্যাদি। তারপর চা চক্র। আলোচনায় এতটাই সময় ব্যায় হয়ে যায় যে আলোচনা ও তার পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে কবিতা পাঠের সময় খুব কম হয়ে পরে। সঞ্চালক মহাশয় তাই সব কবিকে বরং বার অনুরোধ করতে থাকে খুব ছোট ছোট কবিতা পাঠ করবার জন্যে যাতে সবাই সুজোগ পায়। আমি তখন হাতে মাউথস্পিকার নিয়েছি কবিতা পাঠ করবার উদ্দেশ্যে। সঞ্চালকের বার বার সে কথাতে উত্তেজিত হয়ে বেশ কয়েক জন কবি উঠে চলে যেতে উদ্যত হন চেয়ার ছেড়ে। কিছুটা বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন সঞ্চালক ও বেশ কয়েক জন বহিরাগত কবি। মন্তব্য এরকম হচ্ছিল "কবিকে কবিতা পাঠে সময় দেওয়া উচিৎ" "ডেকে এনে অপমান করছেন" ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় মাউথস্পিকার নিয়ে ডায়াসে দাড়িয়ে। উপভোগ করছিলাম খুব। একজন সঞ্চালক ঈশারা করেন আমাকে শুরু করতে। সংক্ষিপ্ত কথায় বললাম "আমি যে কবিতাগুলি এনেছিলাম তারমধ্যে এটাই সবচেয়ে ছোট তাই এটাই পাঠ করছি।" তাও সে হবে ১৬-১৮ লাইনের।" যাই হোক কবিতা পাঠ করা ধরতেই স্তব্ধ হয়ে যায় কল কাকুলি। নিঃস্তব্ধ পরিবেশে একটি বিদ্রোহী লেখা "আহ্বান" পাঠ করে অন্যদের জন্য ছেড়ে দি। কবিতা পাঠ অবধি ছিলাম । এরপর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব। আসরের টানে চলে ফিরে চলে এলাম বিদায়পর্ব শেষ করে। হোটেলের বাইরে তখন বিদ্রোহী কবিরা সংখ্যায় ৫-৬ জন। মালদা বহরমপুরের। ওনারা কবিতা পাঠ না করেই চলে যাচ্ছেন। বললাম খুব খারাপ লাগছে আপনারা কবিতা পাঠ না করেই চলে যাচ্ছেন। আর টুকটাক কিছু কথাবার্তা। তারপর গাড়ি ধরে চলে এলাম আমার জগতে। সাথে নিয়ে এলাম একটি স্মারক পত্রিকা "ফিরে দেখা"