"কাঁটার মুকুর")
(আসরের বরেণ্য কবি মাননীয় ফারহাত আহমেদ মহাশয়ের প্রতি নিবেদিত কবিতা, "কাঁটার মুকুর")


হৃদয় আমার বিঁধেই আছে কাঁটার মুকুর পরা
খালি চোখে দেখতে নারিস; ভ্যানিস
রয় তারা।
নাইরে দেখা শোন রে সখা হৃদয় কাঁদে বান
দিচ্ছে ছোবল রাত্রি দিনে, সত্যি রে
তুই শোন।
ভাবিস কী না আবোল তাবোল বকছি পাগল আমি
বুঝবি নারে শুকায় না ঘা; গরল
ধরা বাণী।
লুটছে আমায় নিত্য দিনে, রাত কী দিন শোন
বাঁচতে আমায় ছাড়বে না পিছ; কঠিন
তাদের পণ।
দুঃখ প্রাণে গালির বানে ভাসিয়ে দিতেই নারি
বাংলা ভাষায় শিখতে নারি, বয়স
আধেক পাড়ি।


(উপরিউক্ত কবিতাটির আমার করা ইংরেজি অনুবাদ)


“Thorn”


They fastened my heart with the thorn
Though it is not visible but
Randomly giving me
Pain
My heart weeps with the pain of the thorn
Each and every day and night
The sharp knife which they have
Thrown.
You may think mine that I am crazy or stupid
You can’t understand or imagine the wound
It will not be cure
Indeed.
They are looting me each and every moment
They don't leave me behind to give hard beating
Till I take the last breathe at the last
Moment.  
I find mine in the abyss of sadness
Being a Bengali I can't use filthy words to them
Half way of my life has gone
Yet I could not learn abusive
One.


“সেলাম”


(তার নাম বেবি দুই সন্তান আর স্বামী নিয়ে ঘর, তার দু বছর বড় দাদার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভাইফোঁটার দিনে অপারেশন হয়, বেবি নিজের একটি কিডনি দাদাকে দান করে দাদার জান বাঁচালো।) খবর সৌজন্যেঃ প্রিয় কবি লাক্ষ্ণন ভান্ডারি মহাশয়।


আঁখির দ্বারে সলিল ধারা নাহিক পারি রুধিবারে
এমন বোন জন্মে যেন, এই ধরার ঐ
দ্বারে দ্বারে।
কিডনি সে ধন কিমতি দানে ধন্য ধরাতল
ভালোবাসা প্রেম ভাবনায়; নিম্নগামী
যমের কল।
ভগনী সে তো দেবীর রূপ ওই; নাই উপমা তার
সেলাম তারে হৃদয় দোরে; করছি
বারে বার।


“আনমনে”


মনের মতি গতিক বোঝা, বুঝিতে বড়ই কষ্ট
কখনও বা সহজ সরল; কখন ও
নাহিকো স্পষ্ট।
ঝর ঝর ঝর ঝর্ণা ধারায় বহিতে উছল বেগে
স্নিগ্ধ সে পল উল্লাসেতে
আনন্দেতেই মেতে।
আঁখির ধারাতে বিজনে রোদনে; বিচ্ছেদের ওই গানে
ব্যথিত হৃদেতে তাজ সে গড়িতে; আনমনে
আনমনে।
আকাশ বিজুলি বজ্র করক; আশঙ্কার ওই শিখা
ঝন ঝন ঝন ভাঙে সে হৃদ; তমস
কালিতে দেখা।
অন্ধ জনাতে মাতম শোকেতে দুখের মহল গড়ে
বিজ্ঞ যে জন হেলায় তরীতে; ঝঞ্ঝায়
যায় বয়ে।


“গরল”


নিজের নিজে ভাবতে সবাই আজকে ধরা তলে
হিংসার বিষ বাষ্পে তারা বিদ্বেষ বীণ তোলে।
ধ্বংস সোপান তাদের সে তান বর্বরতার গানে
হুহুঙ্কার উড়তে আকাশ রক্ত লহুর পানে।
ব্যাকুল আজি চিত্ত মম আঁখির ধারা বয়
কুঠার সে ঘাত সইতে নারি
গরল কথা কয়।


“বলো হরি”


ইন্দু বাবু বাতিক তার ঐ দশ লাখের ঐ গাড়ি
কিনতে হবেই ক্ষ্যাম তো নাই গিড়বি রাখে বাড়ি।
সেই টাকাতে তপ্ত টাকে
ভাবলো সরা দুনিয়া টাকে,
বছর কয়েক যেতেই দেনায়; ডাকলো বলো হরি।


হরি কী আর রক্ষা করে মহাজনের দায়
ভীম সে ভারী আর কী বাড়ি; রক্ষা করা যায়,
সুদে আসল ডাবল দিল
কানটি তার মুলায় নিল,
গাড়ি ও গেল বাড়ি ও গেল, গরিব এখন হায়!


“ফানুস”


পাথর হৃদে সইতে পারি লক্ষ শত শোক
হোক না সে ধবল পাহাড়, যতই উঁচু
হোক।
দিব্য যোনি বাস যে আমার দুঃখ শোকে বাঁধা
সুখের সে পল ক্ষণিক সাধে, জীবন ভর ই
কাঁদা।
কাদায় জলে হতাস না হই তীর ভাঙা নীড় বই
বইতে হৃদে আকুল না হই, দুঃখ আমার
সই।
জীবন জানি দু পলের ঐ কী হবে শোক দুখে
বুঁজলে দিয়া রইতে যাবই, তার ঐ ঘরে
সুখে।