“ঊষার ভোর”


বসন্ত বিহারে আজিকে প্রহারে হানিতেছে কণা রাজি
মৃত্যুর দেশে দানবের বেশে করুণা ও ক্ষমা ত্যাজি।
রুধিত দুয়ারে নাহিকো বিহারে মরিবারে চায় কেবা
দিকে দিকে হায় গরলো নিনাদে ভয়াল
করোনা থাবা।
বসুধা আজিকে তমায় ছায়িত স্পন্দন নাহি গতি
উদার নাহিকো আকাশ বাতাস মূর্ছিত প্রায় ক্ষিতি।
অস্ত্রের রব নিনাদ আজিকো শস্ত্রের নাহিক বোল
দিকে দিকে আজি কুপিত করাল কান্নার
ধরা রোল।
লুটিতেছে হায় জীবন বিধায় নিকাশেতে শত শত
হাহাকার রবে লুটিত ধরণী ব্যথিত প্রাণেতে অশনিত।
দেশ হতে দেশ গাঁও হতে গাঁও উদ্যত ফণা তার ই
জীবন যেথায় পরাভূত প্রায় শঙ্কায়
প্রাণ ভরি।
বিরূপ বিধাতা তাই বসুমাতা গণিছে প্রলয় ক্ষণ
খাদের ই কিনারে দাঁড়ায়ে আজিকে সমুদায় জনগন।
ওহে প্রাণোনাথ শুনো গো আজিকে খুলো হে তোমারি দোর
এসো গো ত্বরায় আজিকে ধরায়, আনিতে
ঊষার ভোর।


“ভরসা থাকুক”
(সমস্ত গ্লানি ভুলে তার প্রতি ভরসা রেখে পবিত্র মনে তার প্রতিই সমর্পণ করুন নিজেকে, বিশ্বাস রাখুন তিনিই ত্রাণ করিবেন এ চরম বিপদ হতে)


ভরষা থাকুক বিশ্ব পিতায় দূর্দিনের এই দিনে
হৃদয় দিয়ে মহিমা তার ঐ; আজ তারা নিক চিনে।
ভরষা থাকুক মানবতায়; জাত বেজাতের বুলি
ধর্ম নয় সত্য মানুষ, এই স্লোগানেই  
ভুলি।


ভরসা থাকুক দ্বীন দয়ালে যার দ্বারে আজ সবে
সত্য তিনি তাহার দয়ায় শান্তি সবাই পাবে।
ভরসা থাকুক জন জনেতে হিংসাতে নাই প্রান
অমল হৃদয় সুবাস ছড়ায়;  গাইতে তার
ঐ গান।


ভরসা থাকুক সত্য সৎ এ স্নিগ্ধতার ওই বায়
ভালোবাসা প্রেম মোহনায় বইতে দরিয়ায়।
ভরসা থাকুক প্রশান্তির ওই স্নিগ্ধ তপোবন
মন মৃগয়া দ্বারকাতেই হৃদয়
সমাপন।