আড্ডায় লেখা
প্রধানমন্ত্রী (9)
প্রধানমন্ত্রী তো তাই দিনটা অনেক অনেক ব্যস্ততায় কাটলো-
তাও চেষ্টার কম রাখি নাই কবিতা পাঠ করবার-
সে যাই হোক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যদিও
পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের হাতে এখন নেই-
কিন্তু বুকে বল কম আছে কি?
সীমান্ত সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিন।
সরকারি আদেশের প্রতীক্ষায় নয়-পরিস্থিতি অনুযায়ী
যে কোনো অপারেশান তাদের অধিকার।
অহিংসার বাণী বুকে তাই প্রথম আঘাত কখোনোই নয়-
আঘাত পেলে খোঁচা খাওয়া বাঘ কতটা হিংস্র হতে পারে-
হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিতে বলুন।
বুঝিয়ে দিতে বলুন ভারতবর্ষ অহিংসার দেশ-দুর্বল নয়।
অনুপ্রবেশ এদেশে অনেক বড়ো সমস্যা।
আধার কার্ড প্রক্রিয়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করুন।
দেশের নাগরিক গনকে বলুন পরিচয়পত্র
সাথে রাখতে হবে সর্বসময়-নিয়মিত চেকিং চলবে।
এদেশে বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া-ভোটের কার্ড
আর দেওয়া যাবে না।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলছি-সহযোগিতা করুন ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।


প্রিয়কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের মহাকাল কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জয় মা কালীকা


আদি অন্তহীন মহাকাল-এ রহস্য উৎঘাটন-
অনুভবে হয় বিঙ্গানে নয়-
শত সহস্র অযুতো নিযুতো কোটি কোটি নীহারিকা-
গননা করবার চেষ্টাই বৃথা।
ঘন কালো আদ্যাশক্তি মহামায়া মহাকাশ-
শক্তির অফুরন্ত ভান্ডার-কালো ঋণাত্মক শক্তি-
বিক্রিয়াকরনে ধনাত্মক শক্তিরূপে জেগে ওঠে
প্রচন্ড প্রবল বিস্ফোরণে-
সে অকল্পনীয় অপরিসীম আদি শক্তি
জেগে ওঠে নীহারিকা নীহারিকা-সুপারনোভায়।
আলোকগঙ্গা কুন্ডলিত ধূম্রজটা মহাকালিকা-
আদ্যাশক্তি মহামায়া-প্রাণে প্রাণে তার স্ফুরণ-
জয় মা কালীকা-দীনজনে দেহো দয়া।
জয় জয় মা।


প্রিয়কবি কাজী নাসিম আহমেদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা মনে মনে-কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জলকেলি


মনের কোনো বাঁধন নেই-না আছে ঠিকানা-
যেথা যেতে চাও তুমি কভু না বলিবে না।
যদি চাঁদে যেতে চাও-ডানা মেলে উড়ে চলো-
ঝলমলে ঝলমলে স্নিগ্ধতা ভরা আলো।
যদি যাও আগ্রা-শ্রুভ্রতা ধরা পাবে-
ভালোবাসা দিয়ে গড়া মহলটা দেখে নেবে।
প্রেম দিয়ে গড়া তাজ-মহলের দীপ্তি-
শ্রুভ্রতা রাশি রাশি-মন পরিতৃপ্তি।
আগে যদি আরো চলো-সাগরের দেশে যাই-
তরঙ্গো লহরেতে-দুখ ব্যথা ভুলে যাই।
ওই দ্যাখো আসে ঢেউ-পুঞ্জিত লহরেতে-
সৈকতে ভেঙ্গে পরে-প্রতিঘাতে শত মেতে।
চলো যাই ডুব দেই-নোনা জল গায়ে মাখি-
মন ভুলি জলকেলি-আনন্দে মাতামাতি।
আর দুরে যাব নাকো-পেট করে চুই চুই-
বেলা চার হতে চলে-তাই করি খাই খাই।
খেয়ে নেয়ে চলো যাব লন্ডন প্যারিসেতে-
আরব্য রজনীতে আকাশটা ধরে নিতে।


প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডল মহাশয়ার আজ প্রকাশিত বিরহ যাতনা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রদ্দুর


এত বিরহ কিসের। জীবন আলো আঁধারিতে গড়া-
কখনো তপ্ত কখনো সুমধুর।
নাহি দুখ নাহি দুখ দুরে যায় যবে রদ্দুর।
অনেক যাচনা সয়েছি জীবনে-
অনেক বেদনার গান-
অনেক বয়েছি হৃদয় ক্ষরানো-তপ্ত অনল।
নাহি ভেঙ্গে পরি কভু-নাহিকো গ্লানিত ক্লান্তি-
জীবন বয়েছি হাল ছাড়ি নাই-হাল ছাড়ি নাই-
দেই নাই ক্ষান্তি।
জীবনো বোধের মূল্য পেয়েছি-হাসি কান্না বয়ে বয়ে-
লক্ষ যাচনা নিমেষে ভুলেছি-
কোমল হৃদয়ে সয়ে সয়ে।
তাইতো হৃদয় পূর্ণ হলো-দিকে দিকে দেখি আলো-
নাই গ্লানি নাই-নাই গ্লানি নাই
দুরে দুরে যায় কালো।
জীবন আলো আঁধারিতে গড়া-
কখনো তপ্ত কখনো সুমধুর।
নাহি দুখ নাহি দুখ দুরে যায় যবে রদ্দুর।


প্রিয়কবি আতাম miya(টাইপজনিত অসুবিধা) র  উত্তরে উত্তরে ৮২ তম তাহার মন্তব্যের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(এই কবিতাটি লেখা টাইপ এবং পোষ্ট করতে সময় লেগেছে ৩ মিনিট)
করুনা মাগিনু প্রভু


কণায় কণায় দুঃখ লেখা তপ্ত বালুকারাশি-
দহন জ্বালা শোকাতুর মন-
মরীচিকা পিছে ছুটি।


প্রেম সে ছলনা গহীনো আঁধারো-
রাত ঠকঠক শীত-
কি দোষে দোষী কহনা প্রভু-
দিলেন তপ্ত সঙ্গীত।


এ প্রাণ সহেনা যাচনা-বিভেদ বিভিদতা গান-
এ প্রাণ সহেনা-সহেনা যাচনা-
যাচনা মরীচিকা সম প্রাণ।

অঙ্গাণ এ প্রাণে বহিতে ভুবনে-
করুনা মাগিনু প্রভু-দেহো দীনোজনে দয়া-
ঈশ্বর প্রতিভূ।


প্রিয়কবি ড প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত দেবদাস বিলাপ কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।


ও মালতি


মন যে আমার উড়ো উড়ো-জড়িয়ে আমায় ধরো না-
ও মালতি তোমার দেশে
বন্দী আমায় করো না।


এক সাগর ওই প্রেমের ধারা-হৃদয় আমার উপচে পরে-
ও মালতি দাও না প্রেম
জড়িয়ে ধরো আদর করে।


এক আকাশের লক্ষ তারা-ঝিকিমিকি জ্বলছে যে প্রাণ-
ও মালতি কবে তুমি-করবে
আমায় মাল্যদান।


কপোত সুখের ঝর্ণাধারায় ও মালতি জাপটে ধরো-
ও মালতি তোমার প্রেমের সুধাবারি-
হৃদয় আমার শান্ত করো।