আঁচলটানা ঘোঁমটা ঢাকা
আজও কারেন্ট গাঁছ কাটার জন্য ১০ টা থেকে বন্ধ ছিলো-তাই একটু বুলবুলির সাথে খেলা করা।


আজকে আবার খাতা কলম-আজও কারেন্ট থাকবে না-
বুলবুলি তুই ধরনা বুলি-চলনা সময় কাটাই না।
মনটা আমার ক্যামন ক্যামন-বলতে গেলে লজ্জা লাগে-
বয়স তো আর কম হলোনা-তাও কেনো যে দৌড়ে ভাগে।
হেতায় হোথায় এদিক সেদিক-সবজিওয়ালা ভ্যান এলো-
দুইটা লেবু নিলাম কিনে-লবন জল লাগবে ভালো।
মানকচু আর পটল নিলাম-আলু আর কাঁকরোল-
খাবার পাতে আজকে এসব-তুলবে দারুন শোরগোল-
চেম্বারের উল্টাপানে-ড্রিমল্যান্ড ইংলিস স্কুল-
বাহিরপানে এক দঙ্গল-দ্যাখনা চেয়ে বুলবুল।
আর কি মন ভালো লাগে-তুইতো শিস বন্দ দিলি-
ওইদিনেতে লোডশেডিংএ ক্যমন তুই ভিরমি খেলি।
আমার তো আর কাজ নাই-ভাবছি যাব ক্যাফেতে-
১৫ টাকা ঘন্টাপ্রতি-ফাঁকা হবে ট্যাকেতে।
ট্যাকট্যকানি টাকার ধ্বনি শুনতে গেলে অনেক কথা-
এসব যদি ভাবিই তবে-আসরটা কি পাবো দ্যাখা।
তুই বুলবুল বলনা ভাই-দিবই নাকি আজকে দারি-
সেমিকোলন হাইফেনেতে-ফুলস্টপ দেবোই আঁড়ি।
না বুলবুল তাইকি হয়-একটু হেথায় থাকিই না-
গল্পগুলি শব্দবুলি-্তুই কি আর শুনবি না।
একটু পরে স্কুলটা ছুটি-শূন্য হবে জায়গা খানি
কান তুলতুল সুর বুলবুল-বউগুলার ওই ক্যাচক্যাচানি।
তখন না হয় একটু দুরে-বাইক হাঁকিয়ে ক্যাফেতে-
তুই বুলবুল থাকনা হেথায়-রাস্তাপানে তাকাতে।
একটা মশা লম্বা ক্যামন-দ্যাখ বুলবুল ডেঙ্গি নাকি-
কাঁমরে দিলে ডেঙ্গি হলে-জীবনটাকে দিতেই ফাঁকি।
ভাবছি মার মারতে হবে-চটাস চটাস দুই বাড়ি-
স্কুলটা কি ছুটি দিলো-লম্বা লম্বা ভ্যানের সারি।
ঝরছে ঘাম ঘ টা ক্যামন -লিখতে গিয়ে খটকা লাগে-
ভুলছি কি অক্ষরটা-ভাবতে গেলে লজ্জা লাগে।
বর্ণমালা কিনবো নাকি-রে বুলবুল খোঁজ কর।
বুড়া ধেঁড়ের স্কুলটা কোথায়-ভীষন রকম দরকার।
আ আ ক খ শিখতে হবে-এ বি সি ডি ভুলি নাই-
বাংলাদেশে অ আ ক খ র এখন বিশেষ চল নাই।
লেবুটাকে দিলাম গুলান-রস তো বিশেষ পরলো না-
ন্যান দাদা ন্যান-চা টা ন্যান-হট চেম্বার জানিস না।
পাঁচটা টাকা ব্যাজার মুখে-দিলাম এখন চা খাবো-
হট চেম্বার তাও তো বাবা-পাঁচটা টাকার উশুল দেবো।
কি হলো তোর আবার ক্যানো-শিস দিলি তুই বুলবুল-
ঘোঁমটা টানা আঁচল ঢাকা-তাই কি করিস চুলবুল।
আরে বাবা ডাবল ডাবল-ঘর থেকে ফের চা এলো-
হায় রে কপাল-কি যে হয়-পাঁচটা টাকা বেকার গেলো।
এই গরমে চা এর তুফান-পেয়ালাটা অনেক বড়-
করতে কাবু তাই কি চা-ভয়েই হলাম জড়সড়।
পাঁচ টাকা তো উশুল হলো-এখন বড় পেয়ালা-
ঘরেরটা লাল কেন রে-দুধ দ্যায় নি গোয়ালা।
থাক পেয়ালা আর খাবোনা-ক্যাফের দিকে দৌড় দি-
আসরটাকে ধরতে হবে-বুলবুল তুই বলিস কি!
দুই ঘন্টা ৩০ টাকা-জলজ্যান্ত জলে গেলো-
চেম্বারেতে ফিরে এলাম-স্কুল থেকে মেয়ে এলো।
আজও বাবা লিখলে নাকি-পড়ে একটু শোনাও না-
পড়ছিলাম কবিতাটি-হাসির দেশে নেইকো মানা।
তাই বলে কি খুটখুটানি-স্বভাবখানি ভালো না-
পেয়ালা খানি উল্টে দিলো-চা দিয়ে ওই চাঁটায় গা।
খানিক চা পরলো গিয়ে-কি বোর্ডের ডানদিকেতে-
কান্না পায় ইচ্ছে করে দারুন করে ধমক দিতে।
হবেই কি আর ধমক দিয়ে-যা হওয়া তা হয়েই গেলো-
চলতে এসব দুম করে ভাই-একটু আগেই কারেন্ট এলো।
কি বোর্ডটা ঝেড়েঝুড়ে-দূর্গা বলে বোটাম টিপি-
কি জানি বে বুলবুল-চলবে নাকি দেবেই ফাঁকি।
কপাল ভালো চালু হলো-এম এস ওয়ার্ড এখন খুলি-
এ কুইক ব্রাউন ফক্স জাম্প ওভার দা লেজী ডগ-
কি বোর্ডে লিখতে চলি।
ভালোই ত বে হয়নি কিছুই-আবার শিস বাজাস কেনো-
আজকে কি ভাই দেশটা বুঝি-ঢেকে ঢুকে ভালো হলো।
গরম গরম দেখলে তো বে-ঘাপটি মেরে দারুন দেখিস-
আঁচলটানা ঘোঁমটা ঢাকা-সুর তুলে ওই ব্যঙ্গে মাতিস।


কি বোর্ডটা শেষমেশ খারাপই হয়ে গেলো। নতুন এনেছি