মুক্ত মনের লেখা


কবি বুঝি হতেই হলো


সত্যি সত্যি কি তবে কবি হয়ে গেলাম-
নইলে কেনো এমন সব বিদঘুটে সুর ভাবনা পেলাম।
গাছের দিখে চেয়ে রই-ভাবি ওরা দেখতে পায়-
হাওয়ায় নাকি নিজেরাই-অমন করে পাতা নাড়ায়।
কাঁকটা বসে একা একা-তখন থেকে ভাবছে কি?
অসুখ নাকি একটু আরাম-ভাবগম্ভীর মনোপাখী।
টুপ টুপ টুপ জল পড়ে-ভাবি ঘরটা কাঁদছে নাকি-
ঘরের ভেতর ঝগড়া তুমুল-তাই কাঁদে কি ঘর সাথী।
নাকি পাগল হচ্ছি আমি-বুলবুলি তুই বল দেখি-
ভাবনাগুলি এমন ক্যানো-তুইও এমন ভাবিস নাকি।
গাছ নড়ে বাতাস দেয়-নাকি-বাতাস নাড়ায় গাছগুলি-
এমন সব ভাবনা আজব-ভাল-লাগেনা বুলবুলি।
রাস্তাপানে কাজ তোর ওই-আমি এসব ভাবতে থাকি-
কলা গাছটা নড়ে চড়ে-কাছে আমায় ডাকছে কি?
সূর্যিমামা জ্বলেন ক্যানো-আমার মা তো জ্বলে না-
মা এর ভাই মামা কেন-এমন ভীষন গনগনা।
আকাশটা কোথায় শেষ-বুলবুলি তুই জানিস নাকি-
ধর্ম কেনো উগ্র এতো-মানবতা দিতেই ফাঁকি।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়-ঊলুখাগরা মরে ক্যান-
কানের কাছে যুদ্ধজাহাজ মিসাইলের ভ্যানভ্যান।
একটা যদি উড়ে আসে-রাজার মাথায় পরবে কি?
হাজার লাখ জন জনতা-শ এ শ এ মরতে দেখি।
তিন তলার ছাদের ওপর-অমন করে নড়ছে ক্যানো-
যেমন করে গাছটা নড়ে-ভাবি করে নৃত্য যেনো।
পাখিগুলির কিচির মিচির-শব্দ শুধুই নাকি বুলি-
যেমন করে বউগুলান ওই-করে যেমন ক্যাচক্যচানি।
ওদের বোধ হয় বিনা স্কুলেই-ওদের মা শিখিয়ে দেয়-
ক্যামন করে ভিন্ন সুরে-বিবিধ কথা কইতে হয়।
ভাবি আমি সুস্থ নাকি-পাগল আবার হলাম নাতো!
আজকে কেনো খাতা কলম-বাতি পাখা যায়নি তো!
ভাবছি এসব ভাবনা মনে-কলাওবালা হাঁক দিলো-
সবাই আমায় কলা দেখায়-খেয়েই নি কয়টা ভালো।
১০ টাকায় ছয়টা কলা-বেশ লম্বা দিয়ে দিলো-
সস্তা এতো দেশটা কি!সবাই আমার মতোই পাগল হলো।
থাক ভাবনা একটা ছুলি-সবজি কলা সবুজ ভরা-
দুই একটা খেয়েই নি-তার পরেতে লেখবো ছড়া।
কারেন্ট আজ অটোমেটিক-মাঝে মাঝে যাচ্ছে চলে-
খানিক বাদে আসছে আবার-হাঁফ ছাড়ছি জয় মা বলে।
না বুলবুল ঠিক লাগেনা-মতি আমার পাগলাপনা-
ভাবছি কবি হতেই আজ-আসরটাতে আর যাবো না।
ভাবনা ভালো ভাবছি আমি-শীসটি তুই বাজিয়ে দিলি-
ব্যঙ্গো করিস-পারবো না-তাই কি বলিস বুলবুলি।
হয়তো তাই যাচ্ছেতাই-কবি বুঝি হতেই হলো-
পারবো না পারছি না-ভাবনাগুলি এলোমেলো।