আড্ডায় লেখা
প্রধানমন্ত্রী (৬)


যুব কল্যান উন্নয়ন দপ্তর মন্ত্রী-এতদিন কি করেছেন
ভারতবর্ষের শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্যে-
আগামী এক মাসের মধ্যে সবিস্তারে
সরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তার খতিয়ান দিন
আর ভূমি দপ্তরকে সাথে নিয়ে
দেশের যে লক্ষ কোটি হেক্টর সরকারি জমি পতিত পরে রয়েছে
তা চিহ্নিত করুন।
দালালরা এসব জমি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
২০ জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক দের টিম তৈরি করুন।
২০ একর জমি ২০ জন প্রতি বিনা পয়সায়
৯৯ বছরের লিজে দিয়ে দিন তাদের নামে।
বায়ো ডিজেল তরু চাষ ও তৈরিতে প্রশিক্ষিত করুন তাদের।
প্রশিক্ষন শিবির হবে শুল্কবিহীন।
খাবারের ব্যাবস্থাও হতে হবে সরকারি।
৫০% সরকারি অনুদান ও ৫০% ব্যাঙ্ক লোনে গড়ে তুলুন
হাজার হাজার বায়োডিজেল প্রকল্প।
ব্যাঙ্ক লোনের গ্যারান্টার হবে সরকার সরাষ্ট্র দপ্তর।
উৎপাদিত বায়োডিজেল ন্যায্য মূল্যে সরকার কিনে নেবে।
আগামী একমাসের মধ্য প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করুন-
বিঞ্জপ্তি দিন-যে সকল শিক্ষিত বেকার যুবক
এ প্রকল্প গ্রহনে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে
আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত করুন।
প্রতিটি রাষ্টায়ত্ব ব্যঙ্কগুলিতে নির্দেশিকা জারি করুন-
আবেদন করবার পনেরো দিনের মধ্যে
ঋণদান সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায়
কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ধন্যবাদ জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।


মুক্ত মনের লেখা
শীষ আর কেউ বাঁজায় না
(আজ ১০ টা থেকে কারেন্ট ছিলো না। বেলা সোয়া তিনটায় খাতা পেন নিয়ে চেম্বারের উল্টাপাশ ছায়া জায়গায় বসে যাই । কারেন্ট আসা অবধি লিখে লিখে সময় কাটাই। আর কি।)


আজ লোডশেডিং ১০ টা থেকে লাইট নাই-
এই গরমে কাঁঠাল পাকা-ড্যাবড্যাবানি শরীর তাই।
পাড়ার সবাই হাঁসফাঁস-বলে কেমন জ্বালাতন-
ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্ট ভীষন রকম শয়তান।
পূজার আগে গাছ ছাঁটতে-তার ছোঁয়া সব ডালগুলি-
সকাল থেকে ঘেমে নেয়ে-ভীষন গরম মাথার খুলি-
বুলবুলিটা দিচ্ছে শীষ-আরে কেনো ব্যঙ্গো বুলি-
রাস্তাপারে চেয়ার পেতে-খাতা কলম আঁকছি তুলি।
এই গরমে চেম্বারেতে-আমার তো আর গতি নাই-
খোলামেলা একটু হাওয়া-পরান খুলে খাচ্ছি তাই।
উত্তরেতে লিখতে হবে-কাব্যগাঁথা অনেকগুলি-
নিত্য নতুন বলতে হবে-প্রধানমন্ত্রী সুর তুলি।
তাও ব্যঙ্গো করলি যদি-আজ নিয়েছি খাতা কলম-
খোলা হাওয়ায় মনটি মেতে-কাগজ কলম দিচ্ছি দলন।
আজ আঙ্গুলের ছুটি রে ভাই-কি বোর্ডটাও শান্ত তাই-
হটাৎ হাওয়া বন্ধ হলো-কি যে বলি যাচ্ছেতাই।
রাস্তা অনেক গাড়িঘোড়া-পিন পিনানি আওয়াজ বড়-
কানপট্টি ঝালাপালা-শব্দ দূষণ বড়োসড়ো।
কুকুরগুলি হ্যা হ্যা করে-লম্বা জিব ঝুল ঝুল ঝুল-
তাও ব্যঙ্গো করলি যদি-বলছি তো বে বুলবুল।
এক দঙ্গল হটাৎ কাক-ধরলো ডাক কাঁ কাঁ-
তারের ওপর সারি বসে-আন্দোলনের রূপরেখা।
তাও কি আওয়াজ গেলো কানে-কারেন্ট দাদা অফিসার-
কাঁ কাঁ রবে আওয়াজ তোলে-কাকগুলি ওই সার সার।
এখন হাওয়া বেশ বইছে-লবন দিয়ে খাচ্ছি জল-
সাঁজ পাঁচটায় আসবে লাইট-খুড়তে পাখা অনর্গল।
হটাৎ শাঁক উঠলো বেঁজে-ভুমিকম্প শুরুই না কি!
ঢং ঢং ঢং হচ্ছে পূজা-খেয়ে গেলাম ভীষন ফাঁকি।
একটা মেয়ে ছাতা মাথায়-হালকা চালে যাচ্ছে চলে-
পিঠে বাঁধা বই এর ব্যাগ-ধীরগতি ভাই গরম বলে।
নাই কাজ তাই আঁকছি ছবি-অনেক লোক দেখছে আমায়-
রাস্তাধারে চেয়ার পেতে-খাতা কলম-কি যে বানায়!
সাঁই সাঁই সাঁই একটা বুলেট-গতি যেন আকাশ ছোঁয়া-
গল গল গল-গল গল গল-একগাঁদা ওই ছাড়লো ধোঁয়া।
আরে বাবা উব্ধে যাবার-এমন কেনো তাড়া ভাই-
সময় হলে এমনি যাবি-আত্মারাম শরীরটাই।
তাও ব্যঙ্গো করলি আবার-তোর কি আর কাজ নাই-
বলছি নারে ভীষন গরম-লিখছি যেমন যাচ্ছেতাই।
স্কুল বাস আসলো মেয়ের-তার মানে ওই সারে তিন-
পদ্য শুনে হাসলো অনেক-মনটি নাচে ধিন ধিন।
কাঁকগুলি সব হার মেনেছে-এদিক ওদিক ছিঁটিয়ে গেলো-
তাও তো বাবা কানবাবাজির-একটুখানি আরাম হলো।
হটাৎ ওপর তাকিয়ে দেখি-বাদল মেঘের আনাগোনা-
ঝম ঝমিয়ে আয় না বাদল-গরমখানি একটু কমা।
এখন জোরে বইছে বাতাস-লিখতে অনেক লাগছে ভালো-
ধীরে ধীরে আকাশ খানি-হচ্ছে যেন ঘন কালো।
তাও ব্যঙ্গো বুলবুলিটা-তাও বাজালি শীষটি তুই-
সৃষ্টিছাড়া বাঁধনছাড়া হতচ্ছাড়া-বলছি তুই।
দুটো চিল দেখতে পেলাম-ডানা মেলে আসলো হেথায়-
এক চক্কর দেখতে পেলাম-হারিয়ে গেলো যেনো কোথায়।
ঘন্টা কাশর হচ্ছে পূজা-ভক্তি বুঝি একটু বেশি-
এই গরমে ড্যাবড্যাবানি-বাজায় কি কেউ ঘন্টা কাশী।
ঊলুঊলু উঠলো রব-ওদের বোধ হয় ইনভার্টার-
নইলে এমন এই গরমে-পূজায় কি কেউ সময় কাঁটায়!
চিলগুলি সব আবার এলো-এখন অনেক আকাশ উঁচু-
করেন কি?হটাৎ শুনি-বললো আমায় পাড়ার বেঁচু।
আরে বাবা বেঁচতে নারে-বাঁচতে হেথায় চেয়ার পাতি-
জানিস না তুই আজকে হেথায়-দশটা থেকে নেইকো বাতি।
ওই আসছে সোনামুনি-বলবে দাদা লিখলে কি?
শোনাও আমায় পদ্য শুনে-মনটি খুলে হাসতে থাকি।
তাও বাজালি-ল্জ্জা কি নাই-পথের ধারে এমনি বসি-
বড্ড গরম বুঝবি কি রে-মনটি খুলে লিখতে থাকি।
ঝমক ঝমক ওই যে গেলো-পরান দিলো জল রে-
দেখছি যা লিখছি বসে-দে না তুই শীষ দে।
বয়েই গেলো বাঙ্গো তোর ওই-দেখনা পেলাম পূজার প্রসাদ-
হতভাগা হতচ্ছাড়া-এখন কেনো অমন তাকাস।
তুই ছোঁচা ভাই-হারহাভাতে-খাচ্ছি আমি দেখবি না-
ভাবলি কি রে দেবো তোকে-শীষ বাজাতে নেইকো মানা।
চারটা বোধহয় বেজেই গেলো-একটি ঘন্টা আর-
ঝড়ঝড়িয়ে আঙ্গুলগুলি-কি বোর্ডটা তোলপাড়।
অনেক মজা লাগছেরে ভাই-দেখছি অনেক হাল ফ্যাশন-
ছোট বড় আঙ্গুল খানিক-আধুনতার অনেক নিশান।
ফ্যাল ফ্যালিয়ে দেখবি না রে-এখন কেন বাজাস না-
দেখলি ভালো তাই বুঝি তোর-স্বরটি আর বেড়োয় না।
জব্দ তুই অনেক হবি-দুর রাস্তায় দেখছি বে-
হবিই জবাই-এই পানেতেই সবগুলি ভাই-আসছে রে!
একটু দম এখন দেবো-বুদ্ধিগোড়ে ধোঁয়া ভাই-
লিখতে বসে রাস্তাধারে-এই কাজটাই ভুলে যাই।
অ ম'লো নেতিয়ে কেন পড়লি রে বে-
সহ্য বুঝি আর  হলো না-হাল ফ্যাশনের যুগ রে সোনা-
এই যুগেতে সবাই দেখে-শীষ আর কেউ বাঁজায় না।