উত্তরে উত্তরে ৩৫০ তম আসরে অধিক ৪০০ কবিতা
প্রিয়কবি গনেশ চৌধুরী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত তোমার প্রেমে কবিতা উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্র্যয়াস ২৩
আকিঞ্চণ
মন ভরে গেল কবিতায়-
চকিত বিদ্যুৎ প্রবাহণে-
হটাৎ ক্ষুদার রাজ্যের প্রভঞ্জণ-
অনন্ত পিপাসায়-
ভিক্ষাপাত্র এগিয়ে দিতে চায় মন-
একটু শীতলতা! একটু শীতলতা!
শিরা ধমনী রক্তের কোনায় কোনায়-
আন্দোলনে আন্দোলনে-
সংঘটিত উত্তাপময় বাতাবরণ-
একটু শীতলতা! একটু শীতলতা!
গলন্ত লাভার ফুটন্ত স্রোত-
অবিরল বয়ে চলে বয়ে চলে-
মেদিনীর উত্তাপ বেড়েই বেড়েই চলে।
প্রস্ফুটিত হবে কি-
স্বর্গদ্বান পারিজাত কাননের-
একটি কলি।
মরুভূমির রুক্ষ ভুমিতে-
বৃষ্টি নামবে কি!
শীতল করিতে
দেহ মন!
প্রিয়কবি মোঃ শের ই আলম (সমকালের কবি)র আজ প্রকাশিত "মানুষের গল্প" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মতিভ্রম
পরমাণু যুদ্ধ হলে এই গল্প থাকবে কোথা!
ধ্বংস হবে মানবজাতি-
ক্ষুদিত মানবতা।
বিজয় কেতন হাসবে পিতা-প্রজাপতি ব্রম-
হাসবে দারুন অট্টহাসি-কেমন
মতিভ্রম!
সেই প্রভাতে সৃষ্টিকালে দেব মানব ও রাহু-
শুধায় পিতা প্রজাপতি-কর্ম
মোদের প্রভু?
উত্তরেতে প্রজাপতি বলেন শুধু "দ"-
অর্থ "দ" এর আপন আপন
যেমতো বুঝে
নাও।
দেব ধরিলো দয়া মোদের-মানব বলে দান-
রাহু কেতু বু্ঝেই নিলো-
করতে দমন।
সে গল্প ভুলছে মানুষ-দমন প্রীরন নীতি-
ভুললো মানুষ কর্ম তার-দান
ধরা সম্পৃতি।
গনগনে তাই আকাশ বাতাস-যুদ্ধ ধরে বোল-
এখন শুধু অপেক্ষাতে-ধ্বংস
হরিবোল।
বল হরিবোল হরিবোল।
প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এ সময় ক্ষণস্থায়ী " কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মর্মর
কতবার কতবার যে হয়েছে পতন-পুনঃ পত্তন-
হিসেব নেইকো তার-
অসীম ক্ষমতা দিয়েছে বিধাতা
সহিবার।
সে ধনে ধনী মোরা-ব্যথার সাগর নইকো ভারি-
শতেকো যাচনা ঘূর্ণী তুফান-জীবনো
সহিতে পারি।
কুঞ্জবিতানে মর্মর ধ্বনি-কুপিতো করাল গ্রাস-
আকাশ প্রানেরো খাদেরো কিনারে-
ছাইতে অবষাদ।
গুঞ্জনহীন কুপিতো ধরা-কূজন বিহীন প্রাণ-
ধরিতে নারি আশার বারি-
মর্মবীণার তান।
মেখ কেটে যায়-বাদল বরষ-চকিতো শিহরণ-
পূব আকাশে আশার রবি-গাহিতে
জীবন গান।
সুনীল আকাশ পুস্প মেলে-হাজার শত দলে-
জুই চামেলী চম্পাকলি-প্রাণ সে
আকাশ নীলে।
কতবার কতবার যে হয়েছে পতন-পুনঃ পত্তন-
হিসেব নেইকো তার-
অসীম ক্ষমতা দিয়েছে বিধাতা-
সে প্রাণ সহিবার।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চিকিৎসক (ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অপারেশন
আসলে কি জানেন ঈশ্ব্রর সদাই দয়াময়-সকলের প্রার্থনা শোনেন তিনি-আশাতিত ফল দ্যান কিন্তু অসুবিধা একটাই। আর সেটি হলো বিলম্ব। আর বিলম্বের কারন হলো-
হাজার যোজন আলোকবর্ষ দুর সে এক গ্রহ-
সেই গ্রহতে ধরা প্রভু
ঈশ্বর বিগ্রোহ।
আলোক সে পথ অতিক্রমে হাজার বছর পার-
আলোক সনে যায় যে সেথা
প্রর্থণা অপার-
আমার তোমার দাবীগুলি যখন সেথা যায়-
আমি তুমি সেই সময়ে-
ভৌত বিচার।
তাই বলি কি-কান্নাকাটি লাভটি কোনো নেই-
অপারেশন ধরতে হবে তুমি
আমাকেই।
মন্দমতি দুষ্ট খল-শ্রেনী বিভেদ ফল-
এক শ্রেনীতে রক্ত চোষে-
করতে দুর্বল।
এক শ্রেনীতে অট্টালিকা-পাহাড় গড়ে ধন-
আর এক শ্রেনী-হতোদ্দম হীমমনতা
জাগায় প্রাণ।
হিংসা দ্বেষ দূরীকৃত গড়তে হলে ধরা-
সমাজ শোধন ভীষন রকম
করতে হবে ত্বরা।
রাজনীতির ওই আঙ্গীনাতে-হিংসা দ্বেষের বীজ-
উঁচু নিচু ভেদ গড়তে
সদাই তদ্বির।
নিচুতলা আঁকরে ধরে-কুর্শী ধরে রয়-
স্লোগান বুলি আওয়াজ তুলে
কুম্ভীরাস্রু অনেক বয়।
এমন সমাজ ধরবে ক্যামন-মানবতার বুলি-
কবিতাতেই আপাতত চলুক
খেলাখেলি।
প্রিয়কবি ড শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "কিডনী চোর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কিডনি চুরি
উত্তরে উত্তরে ৩৫০ তম আসরে অধিক ৪০০
কিডনি চুরি মানবতার নির্লজ্য নিষ্ঠুর অধ্যায়-
ধনের আর বৃত্ত্য লোভে মানুষের মনে
মনুষ্যত্ব দয়া মায়া বলে
অবশিষ্ট আর কিছুই
নেই।
অব্যক্ত ক্রন্দন আকাশ বাতাস করে
আলোরন।
মানব ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক
এক অধ্যায়।
মহান পেশায় রত চিকিৎসকের দল দ্বারা
কিডনি চুরি হয় সংঘটিত।
তার সাথে যুক্ত থাকে
দালালচক্র।
দেশ ছেড়ে আর্ন্তজাতিক সীমানায় থাকে
এ চক্র বিস্তৃত।
অবাক পৃথীবি অবাক!
চিকিৎসক যাহাদিগকে আমরা সাধারন আম জনতা
প্রায় ভগবানের চোখে দেখি-
অঢেল সন্মান দিয়ে থাকি তারাই কিনা
এই জঘন্য চরম মানবতা হন্তার
কাজটি করে থাকেন।
এসব কুকর্ম ব্যাতিরেকেই যারা অঢেল পয়সার মালিক।
কি! কি সেই অভাব! যে অভাবের তারনায়
এইরকম একটি ন্যাক্কারজনক কাজে
তাহারা ব্রতি হন।
আছে কি জবাব কোনো!
হে সৃষ্টি হে বিধাতা-অনেক হলো-রুদ্ধ দুয়ার এবার খোলো-
কোন সে বিধান কোন অভিধান-
কেন দিলেন বলো।
সৃষ্টি তুমি দিলেন যোনি-দিলেন তুমি ভগবান-
রচিতে কেন-রচিলে কেনো-এমন
মানব শয়তান।
তোমার দুয়ারে ঠেকাই মাথা-জগৎ তুমি গুরু-
ভক্তি তোমার পদতলে-অভাব
আমার শুরু।
প্রাণ উপাদান করন কারক-স্রষ্টা তুমি বোধে-
সৃষ্টিকালে এমন নিধান-সৃজিলে
কোন বোধে।
জবাব দেবে নাকি তুমি-পাষান কঠোর ভুমি-
দয়াল প্রভু নামটি তোমার-আকাশ
বাতাস শুনি।
প্রিয়কবি রায়হান অর্ক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দুঃখজনক" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শিক্ষা
মার জুতা মার মন্ত্রীর গাল-চামরা টেনে খোল রে-
খোল করতাল শিঙ্গা বাজাই-
চাবুক হাতে তোল রে।
শালা পরের ধনে পোদ্দারি মারে-
জুতায় ফাটাই
গাল-
পায়ের তলে দলন দিয়ে
বাজাই করতাল-
নামটি আমার কর্মকার শুনে রাখ আজ-
ধরতে সময় একটু দাড়া-
ধরবো রুদ্র
সাঁজ।
প্রিয়কবি মোঃ আনোয়ার সাদাত পাটোয়ারী(মঞ্জুবাক কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত হিসু করে দেই (নারী ও শিশু নির্যাতনকারী পশুদের উদ্দেশ্যে) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখ কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্র্যয়াস ২৪
হিসেব
শালা! শয়তানের বাচ্চাগুলি-নরকের কীট-
ট্যাঙ্কির গু এর পোকা-শালা!শিশুহত্যা-
মর শালা শুয়ার গুলান।
জুতায় জুতায় শালা-চামড়া তুলবো তোদের-
আর ওই যে ভাইটা হিস্যু দিল-
সকাল দুপুর রাত্রি-
শালা শুয়ারের বাচ্চা-
যে কয়টা দিন মাত্র আর বাঁচবি-
ওইটাই হবে তোদের খাবার।
শালা! রক্ত গরম হয়ে গেল-
মদনা-এক কাপ চা লইয়া
আয় তো।
প্রিয়কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আবোল তাবোল ০২" এর উত্তরে কমেন্ট বক্স লেখা কবিতা।
দই দিয়ে খই ভাজা
দই দিয়ে খই ভাজা-বড়ো কাজ শক্ত-
ঘাষামাজা কেমনেতে কর
ভাই নিত্য।
আমি ভাবি ভাজবোই কলমটা হাতে নি-
দুচারটা টান প্যাচ-নেশা
তবু কাঁটেনি।
অলি গলি ছোট বড়-খানা আর খন্দ-
পাড় হতে গিয়ে পাই-পোড়া
পোড়া গন্ধ।
পাঁক বুঝি বেশী হলো-আঁচ বেশী ছিল ভাই-
কপালটা মন্দ-খই পুড়ে
হলো ছাই।
আকাশটা মেঘ ভরা-জোরে বায়ু চলছিল-
গাছগুলি এলোমেলো-জোরে
জোরে দুলছিল।
বৃষ্টির ছিটে নাই-ছাতা খোজে লালুভাই-
চোখে চোখ দেখে দেখে-
পুড়লো কড়াই।
খই দিয়ে দই ভাজা ক্যামনেতে শিখি ভাই-
জোরে জোরে এসে গেল-বৃষ্টির
ছিটা পাই।
লালুভাই ছাতাখানা এদিকেতে দাও দেখি-
কড়াইটা ভরে গেল-জল দিয়ে
মাখামাখি।
এই বেলা হলো নাকো খই দিয়ে দই ভাজা-
খই দিয়ে দই ভাজা-সেকাজটা
নয় সোজা।