প্রিয়কবি ড শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "মানবতার ভাইরাস" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সোনালী রদ্দুর
পর্ব এক
এমন করুণ নাহি চাহি একটু ভাল চাই-
ভিক্ষা কেন করবো বল-হাত পা
দিল ভাই।
কর্ম আমার জীবন সাথী-বুকে অনেক বল-
সাত সত্যি আছেন তিনি-
ধর্ম জাতাকল।
গড়বো মোরে এমন করে-কর্ম পথের দিশা-
দুহাত পায়ে জরিয়ে কাজ-কর্ম
আমার নেশা।
আনব ধন কর্মফলে-জীবন ধারন তরে-
বারতি কিছু হয় যদি বা-দেবো
দুখীর ঘরে।
স্বপ্ন আমার সত্য সাধন-অল্পেতে রই খুশী-
তাইতো জীবন সুখের আমার-রই
যে হাসিখুশী।
পর্ব দুই
ধনী যারা মাতেই যদি-খেলেই দিল ক্রুর-
ব্যথায় যদি দিলই গরল-
হৃদয় ভঙ্গুর।
প্রাণ যদি ডুবলো কালোয়-প্রতারনায় ছলে-
মানবো না কি-অমন সহজ-দেখিয়ে
দেবো বলে।
ধন দিয়ে মান যায়না কেনা-সোনালী রদ্দুর-
বুকের মাঝে সে বল রয়-মারবো
প্রাণ সে ধূর।
মানবতার ডাক দিয়ে সেই-গড়বো সোনার দল-
হীনমনতার সে প্রদেশে-ছুটিয়ে
দেব কল-
কলের আগুন পুড়বে সে ধূর-মানবতার ক্রোধে-
সামনে থেকে করবো লড়াই-আপন
আপন বোধে।
এই ধরাতে সুখের ভূবন-গড়তে আমার প্রাণ-
চাইলে ভূমি অকপটে-করবো
সে প্রাণ
দান।
প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আধুনিকায়ন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আহ্বাণ
নগরের পথে পথে শত গরীবের ঢল-
ফুটপাতে ফুটপাতে-জীবনো
গরল।
একধারে বয়ে চলে-বিলাসীর শত সুখ-
আরপারে দুষনেতে শত প্রাণ
ধরে দুখ।
উঁচু উঁচু বাড়িঘর-আকাশকে ছুতে চায়-
রাজপথে শত প্রাণ-বিকচিত
শতধায়-
শ্রাবণের বারিধারা থৈ থৈ বন্যা-
আকাশকে ছুঁয়ে দেয়-পথবাসি
কান্না।
নগরের সুখীপ্রাণ-শত কোটি জঞ্জাল-
পথধারে স্পুপিকৃত-বাতাসেতে
কটুঘ্রাণ।
তারি সনে কুরানীরা-ঘাটাঘাটি করে চলে-
বিকিকিনী হবে যা তা-বস্তাতে
কাঁধে তোলে।
নগরেতে প্রবাহিত সুখ সারি বন্যা-
একধারে রাশী রাশী-আরপারে
কান্না।
নগরটা বিভাজিত-বিভাজিকা প্রণালীতে-
সুখীপ্রাণ আহ্বাণ-কিছু সুখ
পথে দিতে।
প্রিয়কবি সোমালীনিরঝরা (মৃণালিনী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "যদি সত্য জানত্ত চাও" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বাঁধন
এ অনন্ত চাওয়ার দেশে-হারিয়ে গেলাম মন-
এমন বাঁধন বাঁধলে কঁষে-ফেলতে
নারি দম।
এমন ভালো বাসলে আমায়-দমটি গেল টুটি-
এদিক সেদিক একটুও কি-দেবে
নাকো ছুটি।
দৃষ্টি টাকেও কেড়ে নিলে-দেখতে লাগে ভাল-
পদ্ম শালুক গোলাপ বকুল-মনটি
ওদের কালো।
শহর গ্রামে কোনোখানেই-একটুও নাই ফাঁক-
ভয়েই আমি থরহরি-ওরে বাবা-
কেমন হাঁকডাক।
আকাশ বাতাস বৃষ্টি বাদল-কিছুই তো নেই বাকি-
যেই কোনাতে যাই না কেন-
তোমার ডাকাডাকি।
নদী সাগর মিলিয়ে দিয়ে-বাঁধলে আমায় ধরে-
এমন ভালোবাসায় সখী-দম
যাচ্ছে মরে।
একটুখানি আমায় করো-আলগা বাঁধন দাও রে সখী-
পদ্ম শালুক গোলাপ বকুল-খানিক
ওদের দেখি।
প্রিয়কবি রুবেল চন্দ্র দাস মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "খেলা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস ১৭
না বাবা না
না না বাবা! আর কোনোদিনও জানতে চাইবো না-
তুমি কেমন আছো।
তুমি যা শোনালে তাতে তো পাহাড় গলে গেল-
আকাশ বাতাস রুদ্ধ হল
বিহঙ্গকূল ভুলে গেছে
সে গীতি
আর আমার হৃদযন্ত্রের ধুকপুক ধ্বনী
এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যেন
নিজ কানে সে ধ্বনী
অনুরণিত হচ্ছে।
বালাই সাট! আর কোনোদিন আবার!
না! না! এই তো দেখতে পাচ্ছি
তুমি বেশ ভালই
আছো-
স্বামী নেই মানে কোনও ঝগড়া ঝাটি
মান অভিমান নেই-ঘর নেই তো
তদ্বির করবার
জ্বালা নেই-
না আছে মোহ না আছে আশা-বা!
বেশ ভালই তো আছো-
কেনো খামকা জিঙ্গাসা করতে যাব-
তুমি কেমন
আছো।
বেশ তো আছ তুমি-ওই তুলসিতলা-
সেই বারান্দা-
সব সময় প্রকৃতির সাথে কথা বলা-
কি দিন কি রাত-শুধুই
অভিসম্পাত-
আর আছে অঢেল সময়
তার জন্যে।
বেশ আছো তুমি। না! আর কোনো দিনই
জানতে চাইবো কেন?
তুমি কেমন আছো।
চলি তাহলে।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এ যুগের বীর (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কানাই
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস ১৮
কইলো কিরে কানাই-আবার ধরেছে সাঁনাই-
পাইছস কি শুনতে?
ওরে পিছন ছাড়ানোর কোনও বুদ্ধি
করন লাগবো।
আমরা হইলাম ন্যাতা-রাজনীতি করি-
গরীবের কানাই-
কানাহুলা ওই লোকগুলান রে কই পদ্মলোচণ-
হেইটা কি ওই
জানে?
বছরে একবার তো জাইরে বাবা-
মুড়ি গুড় চিরা-এইগুলান লইয়া
জাই না।
হেইটা কি জানে?
মুর্খের দল! বাঁধটা বানাইতে কি কেলেঙ্কারী হইলো-
হেইটা জাইনা তোগো
হইবোটা কি?
ওইদিন ওই মাইয়াটার বাড়িত জাই নাই-
ওই জে গণধর্ষণ হইলো। কত খিস্তি
খামার কইরলাম
শয়তানগুলিকে।
হেইটা কি জানে?
আরে বাবা! মন্ত্রির পোলা কম বয়সে
একটা জদি ভুল কইরা ফেলে-
তাই বইলে অকে সাঁজা
দিতে হইবো।
ওইগুলান হেলায় মানুষের জাতই না।
কইতে দে। হেলায় কুত্তা ভুকবই-
আর আমরা হইলাম হাতি-
গায়ে না মাইখলেই
হইলো।