প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত কবিতা "জোট-ঘোঁট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
        (তিন কুরি দশ মানে সেভেন্টি মানে বাংলা মদ)
                             ঘোড়ার ডিম


            হরিবোলের কারখানাতে-কাকতারুয়ার বাসা-
                   ভ্রান্তিবিলাস স্বপ্ন বিলায়-হাজার
                           গোছা গোছা।


         রঙ্গভিলায় ধুরবাজারী-লম্বা গোঁফে লাগায় তেল্-
                  টেন্ডার আর কাজের খোজে-লম্বা
                          চলে কড়ির খেল।


          বস্তির লোক দিনমানেতে-জাগায় মনে বিপ্র আশা-
                  সাঁজের বেলা ঢুলঢুলানি-তিন কুরি দশ-
                            রয় যে খাশা।


              গরীব মানুষ উড়ায় ফানুস-স্বপ্ন গিলে খায়-
                 তিন কুরি দশ-মন ভুলাতে-দলে
                             দলে যায়।


              মানছি না মানবো না নেশার বেজায় দম-
                  ইনক্লাব আর মাতরমে-আকাশ
                            ছোয়া গান।


           কারখানার ওই মালিক গুলি-দেদার বিলায় রস-
                  তিন কুরি দশ-যোগান অধেল-দুই
                              মিনিটেই বশ।


              শহর নগর শহরতলী-জোরাতালির ছল খলেতে-
                   আসছে দিন মন মানেতে-মন কি বাত-
                                 মগ্ন থাকে।


              কারখানাতে মেশিন জটিল-অনেক কেরামতি-
                     সে খেল দেখে দৌড়ে পালায়-
                              দুরে ভানুমতি।


                অনেক প্যাচ অনেক গিঠ-নিত্য প্রতিদিন-
                     হাজার রকম কসরতে তে-বানায়
                               ঘোড়ার ডিম।


প্রিয়কবি সোমেন রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফিরে ফিরে যাওয়া" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস ১৬


                      পাট ঝাড়ে মুক্তো খোজ


পাট ঝাড়ে মুক্তো খোজ করেছিলেম একদিন-
কোকিল তুলেছিল কুঁহু কুঁহু রব।
মেদিনীর কোনায় কোনায়
বসন্তের হয়েছিল আগমন-
ময়ুর আনন্দে মেলে দিয়েছিল পেখম।
তারপর একদিন এল বর্ষার বারিধারা-
তুমুল সে আলোরণ-
নদী নালা খাল বিল-
টইটুম্বুর ভরে উঠলো জলে।
সে পাট গেল পচে-
বিদ্ঘুট গন্ধে ভরে গেল চারদিক।
নাহ! পাটঝারে মুক্তো খোজে-
কদাচ কদাচ নাহে!


প্রিয়কবি শরীফ আহমাদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অনাবৃষ্টি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                               সমর্পণ


            রিক্ত প্রানেতে শূন্য মনেতে-আকাশ উদাস চাহি-
                  মর্মবীণার সেই কিনারায়-মন রোদনের
                             সুরটি শুনি।


           স্বপ্ন দেশের সাত মহলায়-মন হারিয়ে উড়তে ভুলি-
                 স্বপ্নগুলি ঝন ঝন ঝন-ভাংলো সে রব
                            আওয়াজ তুলি।


      দিক বিদিকে ঘোর অমা তে-ছাইলো আকাশ মিলতে ডানা-
                অমানীশার সেই কালোতে-স্বপ্ন মহল
                             দেখতে মানা।


                ডুকরে উঠি পরান মতি-কান্না বুকে ধরি-
                   জীবন তমস ভাবনা গতি-ভব সাগরে
                              উছল তরী।


        প্রাণ দরিয়ায় আলোক দিশা-গাইতে প্রভু তোমার গান-
                 জীবন মিছে ভাবনা সবি-তোমায় সঁপে
                              দিলাম প্রাণ।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "তত্ব কথা-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে গতকাল কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                  আগুন


           ভাত জোটেনা তত্বকথা-মুখে আগুন লাগুক তোর-
                রাত কাঁটেনা পেটের জ্বালায়-হেলায় দেখায়
                              ঊষার ভোর।


         তোর ঊষার ওই লাল লালিমা-অনেক ঝড়া রক্ত মোদের-
                   আয় দেখে যা লাইনে আমার-জ্বলছে
                           আগুন প্রতিশোধের।


               অনাহারে দিন প্রতিদিন-হচ্ছে বলি ক্লিষ্ট প্রাণ-
                      তত্বকথা আগুন ঝড়ায়-রক্তে
                                যে দেয় শক্ত
                                  ছোবল।


                তত্বকথা চুলায় যাক-পারিস যদি দুমুঠ আন-
                      সেই কষা লাথ মারবো সজোর-
                               তত্বকথায় ভরলে
                                      কান।


প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তবুও এ খেলা চলে নিরন্তর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                  ঋণ


           হায়রে আকাশ এত ঋণ জমা মাটি করিতে পরিশোধ-
                       কভু নাহি কভু নাহি-বেড়ে চলে
                               উত্তরোত্তর।


        তোর ওই গর্জন-বিজুলী চমকে-না দিলে যতেকো যন্ত্রণা-
                 মেখ কি মতি-ঝড়তো ধরায়-সাগর
                             মতি বন্দনায়।


               হরিত ক্ষেত্র-জল বিনা কি-ধরতে জীবন প্রাণ-
                      করতে ধরা বন্দণাতে-ধরতে
                              শ্রাবণ গান।


              তুই কি আকাশ-ঋন জমাতে-মুখ ফিরাবি মোরে-
                    তোর ওই দয়ায়-তোর ওই রাগে-
                             বৃষ্টি ভূমের
                                ডোরে।


প্রিয়কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশইয়ের আজ প্রকাশিত "অজয়ের খেয়াঘাটে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অজয় নদী


অজয় নদী কুলুকুলু ধীরে ধীরে বয়ে যায়
বধুরা কলসি কাঁখে জল ভরে নিয়ে যায়।
দুই ধারে বালু তার বালুকার রাশী-
ছোট ছোট ছেলেমেয়ে করে ছোটাছুটি।


মাছ ধরে কালু মিয়া ছিপ ফেলে বসে রয়
পোলাপান ছোট ছোট-মাছ ধরে কিনারায়।
সার দিয়ে গরুগুলি নদীবুক পার হয়-
বাছুরটা বড় ছোট-পার হরে ভয় পায়।


ঠেলাঠেলি হুটোপুটি-গরু যার পিছে ধায়
আকাশের সূর্যটা ধীরে ধীরে নেমে যায়।
আধা আধা নিবু নিবু আলোকেতে মাঠ ভরে
কালু মিয়া ছিপ তুলে-ধীরে ধীরে ঘরে চলে।


ধীরে ধীরে শুনসান-অজয়ের নদী পার
ঘন কালো আসে নেমে-আকাশেতে তারা হয়।
ছোট ছোট কুপিগুলি ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে
পূবদিকে আকাশেতে ধীরে ধীরে চাঁদ ওঠে।


প্রিয়কবি মণি জুয়েল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তোমায় দেখতে দেখতে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                         নেইকো মানা


                হারিয়ে যেতে নেইকো মানা
                       মন আকাশের
                         হৃদয় নীলে-


                 জ্যোছনা যেথা সাগর মিলে-
                        নীল সুদূরে
                          চক্রবালে।


প্রিয়কবি ফারহাত আহমেদ এর এক্ষুনি প্রকাশিত "সাধারণ গল্প" কবিতায় এক মিনিট আগে হুরমুর করে লেখা কবিতা।


একটা বয়স
প্রেমের দিশা-
বাবার পকেট
কোমর কষা।
একটা বয়স
রঙ্গীন ভাষা-
সখীর ঢং এ
অনেক ঘষা-
গভীর রাতে
গল্প খাসা-
প্রেম দরিয়ায়
ভাসা ভাসা।
একটা বয়স
খাবার ধোঁকা-
ভালবাসার
ছল এর দেখা-
পোস্ত আলু
কুমরা ভাজা।
একটা বয়স
দাদার পিছে-
দাদার আঙ্গুন
অনেক চুষে।
সাতকাহন ওই
সাক্ষী রয়-
চাকরি বয়স
পেড়িয়ে যায়।
একটা বয়স
আঙ্গুল চোষার
দুঃখে নয়ন
অনেক ভাসার।
একটা বয়স
তুফান তোলে
যখন জীবন
রসাতলে-
চায়ের দোকান
তুফান তোলে
একটা বয়স-
যায় যে চলে।
একটা বয়স
চোক্ষে আঁধার
জীবন যেন
লাগে ধাঁধার।
একটা বয়স
মদের ঠেকে
শ্মশান ঘাটে
তাকিয়ে থেকে।


প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমিতো উত্তর চাইনি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
                  (বানান বিকৃতি ইচ্ছাকৃত)


                              খাঁটি


           কয় কি রে-অমন যাচনা-দুঃখে পরান
                       যায় রে ফাঁটি-
             অ রে মুনির মা-তুই অই ভালো-
                      তোর অই দাঁত
                           কপাটি-


         সকাল সাঁজে জদিও ধরিস-নানান রকম বাইনা-
                 তাওতো ভালো-নাই জে আমার-
                        ওদের মতো
                            কান্না।


            মুনির মা রে-অদের কথায়-হৃদয় আমার-
                হটাৎ গেল খুইলা-তুই না রইলে
                   রাতত বেলা-ঘুম জে জাব
                            চইলা।


              কাল তোরে কইলাম–জা তুই দুরে-
                      লিখুম তোরে চিঠি-
                   আজ বুঝিনু-অইটা ভুল-
                        হেইটা হইলো
                             খাঁটি।