মুক্ত মনের লেখা
প্রধানমন্ত্রী (12)


পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করা হলো-নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টা আমাদের তাই
বিল বিনা বাধায় পাশ হবে।বিরোধীপক্ষের এম পি দের বলছি-
দেশের স্বার্থে রাজনীতি করুন ব্যাক্তিস্বার্থে নয়।
আপনারাও দেশের স্বার্থে গঠ্নমূলক কোনও পরিকল্পনা থাকলে তা
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নির্দ্ধিধায় পেশ করুন-
সমান মূল্য দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
আলোচনা সাপেক্ষে বিচার বিশ্লেষণ করে তা রূপায়িত করা হবে।
পেশ করা বিলের বিষয় হল-সরকারি চাকরির জন্যে
পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ সিস্টেম বাতিল।
পদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ
সিনিয়ারিটি অনুযায়ী যে কটি পদ খালি হবে-
ঠিক সে কয়জন শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতির নাম পাঠাবেন।
পাঠাবেন শুধু নয়-তাদের চাকরি নিশ্চিত।
এজন্য সেন্ট্রাল মনিটারিং সিস্টেম চালু হবে-
দেশের সমস্ত জেলার এম্পয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ ওফিসগুলি
কোর সিস্টেমে সংযোজিত হবে।
সেন্ট্রাল মনিটারিং সিস্টেমে ভারতবর্ষের সমস্ত শিক্ষিত বেকারের
সিনিয়ারিটি তালিকা নিমেষেই বের করা যাবে।
সংরক্ষিত ও প্রতিবন্ধী সিনিয়ারিটি তালিকাও সেখানে থাকবে।
সিনিয়ারিটি অনুযায়ী সেন্ট্রাল এম্পয়মেন্ট সিস্টেম আপনার মোবাইলে-
ই মেইল মারফত আপনার এপয়মেন্ট লেটার পোষ্টিং
ও অন্যান্য তথ্য পাঠিয়ে দেবে।
এ সমস্ত কাজই স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাইজড সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হবে।
পক্ষপাতিত্ব বা ভ্রষ্টাচারের চির সমাপ্তি।
মহিলাদের জন্য পঞ্চাশ শতাংস সংরক্ষিত হবে সরকারি চাকরি।
সরকার প্রদত্ত বায়োডিজেল প্রকল্প ও
প্রধানমন্ত্রী এম্পয়মেন্ট রোজগার যোজনাতে
লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার যেমন এম্পয়নমেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে নাম কাঁটাবেন-
আর যে সকল বেকার যুবক যুবতি সরকারি চাকরি পেতে ইচ্ছুক-
তারা যেন একজনও হতাসায় না ভোগে-দূর্নীতির শিকার না হয়।
ধীরে ধীরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে-
এদেশে বেকার সমস্যা বলে কিছু থাকবে না।
সহযোগিতা করুন ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ। জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।


প্রিয়কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত সরল ব্যবসা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সড়গড়


আর কি!তাহলে এবার কাব্যকথায় দেই দাড়ি! কি বলেন দাদা-
একটু না হয় জলঘোলা-অনেক মানুষ করবো হাঁদা।
ফোর হুইলার রাজবাড়িতে-গড়তে নকল গড়-
কেমন দাদা-বলেন কি! হবোই সড়গড়।
আহা! লম্বা লম্বা ভাষন বুলি-খান্তি কামাই আর দেবোনা-
হবোই নেতা-সেতা কেতা-কাব্য করুণ গাইবো না।
আরে দাদা-দলবল সব-সাঙ্গ পাঙ্গ অনেক রবে-
টু করলেই মারব বাড়ি-ভয়েই সব চুপ হবে।
আজকে দাদা নিলাম পণ-ঊলুধ্বনি শাখ বাজা রে-
কর্মকার করবে কাজ-যেমন বলি করনা বে।
হলেই নেতা-তোর কি আর-দুখ কি আর বলনা সই-
মন্দির যা মসজিদ যা-ঠাকুর দয়াল ধরতে বই।
আহা! ভাবলে মন-মনমাতানো লোকঠকানো দিনগুলি-
ব্যঙ্গ কেন করিস বে-সাধের পোষা বুলবুলি।