আগামীকাল থেকে "দুইটি কলি" বলে লেখা প্রকাশিত হবে সেখানে মাত্র দুটি করে কবিতা থাকবে।


প্রিয় কবি Laxman Bhandari (Type difficulty)মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিবরেষু কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি


আনন্দাশ্রু আজ বহিছে ভুবন-
স্বপ্ন করিতে পূরণ-
আজি ১০০ তম উত্তরে উত্তরে
করিতে নিবেদন।
তোমাদের স্নেহাশীষ-বুকে বড় বল পাই-
ধন্য হৃদয় তোমা সবাকার-
কবিতার গীত তাই।
ঈশ্বর দিলেন মোদের-সুখ দুখ কথাকলি-
মোরা সবে মিলে ঝুলে-
কবিতায় কথা বলি।
কাল হতে দুটি কলি-কবিতার আঙ্গিনায়-
ধরা পাবে প্রজাপতি-
কথা সুর কামনায়।
আনন্দাশ্রু আজ বহিছে ভুবন-
স্বপ্ন করিতে পূরণ-
আজি ১০০ তম উত্তরে উত্তরে
করিতে নিবেদন।
তোমাদের স্নেহাশীষ-বুকে বড় বল পাই-
ধন্য হৃদয় তোমা সবাকার-
কবিতার গীত তাই।


প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "তুমি এলে তাই" কবিতার উত্তরে সেদিন কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তুমি এলে তাই


তুমি এলে তাই বাশবাগানের মাথার ওপর-
বসলো রং এর হাট-
তুমি এলে তাই দমকা এল-মলয়ো বাতাস।
গোলাপ তার খেললো কলি-সুবাস দিলো প্রাণ-
শিউলি ফুলের সুবাস ভরা-শ্বেতশুভ্র ঘ্রাণ।
আকাশ বাতাস উঠলো মেতে-রং ঝরা বন্যায়-
শ্রাবন গগন প্রাণ মাতলো-
আনন্দের ওই কান্নায়।
রিক্ত ধরা সিক্ত হলো-শীতল হলো প্রাণ-
বসন্তেরই ঢেউ খেলে যায়-আগমনী গান।
তুমি এলে তাই বাশবাগানের মাথার ওপর-
বসলো রং এর হাট-
তুমি এলে তাই দমকা এল-মলয়ো বাতাস।
তোমার পরশ ধন্য হলাম-অশ্রু জাগে নীড়ে-
ভালবাসার তরী সাগর-মিললো আকাশ নীলে।
সঙ্গমেতে তরঙ্গের ওই উছাল পাথাল রবে-
শান্ত হলো হৃদয় সাগর-শান্তি কলরবে।
জীবন আলোক মিললো দিশা-দুঃখী ভবের হাটে-
প্রাণ মিতালি জড়িয়ে তোমায়-
দিন যে আমার কাঁটে।
এমনি করেই পার হতে চাই-সাগর পারাবার-
দাও কথা দাও-প্রাণ মণি সই-
নেইকো হারাবার।


প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত গ্লানি কবিতার উত্তরে কবিতাটির প্রথম ভাগ লেখা-দ্বিতীয় ভাগ প্রিয় কবি এরশাদ আলী স্বপ্নবিলাসী মহাশয়ের বুদ্ধের বাণী নিস্ফলা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।
নো বেল


আজ ফাগুন-রক্তে রাঙ্গা-রোহিঙ্গা নিধন শোণিত লাল-
আজ ভাদরে কান্না ঝরে-
কণায় কণায় খুব্ধ ভাল।
আজ আগুনে হৃদয় পোড়ে-দানবতায় মাতলো প্রাণ-
মায়ানমারের চরম মারে-
মানবতা করলো হরণ।
অং বং এর ভং চং এ তে-ত্রস্ত ধরা শান্তি নাই
নোবেল ওই দানব হাতে-
কেড়ে নিতেই মনটি চাই।
নর পিচাশ সু চি তোর-সূচনাতেই আছে গলদ
মন যে চায় গালি দিতে-
হতচ্ছারা আস্ত বলদ।


সু চি মহামূর্খ শ্বাপদ জীবমাত্র-এর বেশি কিছু নয়।
নো বেল ফর হারসেল্ফ।
সি ডিজার্ব্স ফর দা হেল!
গো হেল সু চি-অং বং চং!


প্রিয়কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত অভিমান কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ষোল আনা


হায় রে হায়! সেদিন দেখি কান্ড বড় হইচই রব অনেক লোক-
পুলিশ কেন ফায়ার বিগ্রেড-এম্বুলেন্সের নীল আলোক!
কি হলো ভাই-কি হলো ভাই-খিক থিকে ভিড় এমন কেনো!
ঝুলছে কি ভাই ওপর থেকে-মনে হচ্ছে মানুষ যেন!
ইস্! জান এখনো যায়নি রে ঝুললো বোধহয় এক্ষুনি-
রশি কেঁটে ফায়ার বিগ্রেড-করছে ভীষণ টানাটানি।
দে তুলে দে এম্বুলেন্সে-দৌড়ে ভেগে হসপিটালে-
এই নিয়ে ভাই চার চার বার-ঝুললো নিতাই যাবার টানে।
ইচ্ছে হলেই তাই কি যাওয়া-হরি বোলের হাট নাকি-
ঝগড়া ঝাটি-মুখ ঝাপাটি-প্রাণ পাখিটি দিতেই ফাঁকি।
বলতো বেচু মরলো না ক্যান-ফাঁস তো ভালোই দিয়েছিল-
আরে দাদা টেবিলখানি উল্টে গেলেও-পা টা নাগাল পেয়েছিল।
হরিচাচা দেখতে পেয়ে ফায়ার বিগ্রেড ফোন করেন-
বুদ্ধি করে ফোন করে এম্বুলেন্সটাও ডেকে আনেন।
মরতে গিয়ে এমন ব্যাপার-হয়েই যদি গেল কবি-
লাজ লজ্জা যাবে কোথায়-টিটকারিতে ডাকাডাকি।
তাই বলি কি-সহ্য করে কানগুলিতে কাব্য ধরো-
এই কানেতে ঢুকিয়ে নিয়ে ওই কানেতে বের করো।
নিচের দিকে হৃদয় থাকে-ওই দিকেতে কক্ষনো না-
বুদ্ধি ভাল দিলাম তোমার-এবার পুষাও আমার ষোল আনা।


প্রিয় কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত আসছে দিন যাচ্ছে দিন কবিতার উত্তরে সেদিন কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চিরন্তন


এ ভালবাসা হোক চিরন্তন-
বসন্ত দোল খেলে যাক সারাটা বছর ধরে-
কোকিলের কঁহুতান আর
আকাশে ভেসে চলা পুঞ্জ পুঞ্জ সাদা মেঘের রাশির সঙ্গে
মিলে যাক হৃদয় বীণার সুর।
আকাশ বাতাসে অনুরণিত হোক সে রাগিনী-
কাননে খেলে যাক
হাজার হাজার হাস্নেহানা পারিজাত কমল-
সে ঘ্রাণে বৃষ্টিস্নাত হোক সমগ্র বসুন্ধরা-
পত্রে পুস্পে দিকে দিকে শোভিত
আনন্দিত হোক সমগ্র মেদিনী-
সমস্ত প্রাণে জেগে উঠুক ভালবাসা প্রেম প্রীতি পরিনয়-
প্রাণবন্ত পৃথিবী হয়ে উঠুক স্বর্গভূম-
এসো আজ হাতে হাত রেখে-
গাহি ভালোবাসার সঙ্গীত।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত নাহি ত্রাণ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভং চং


কওনের কিছু নাই কত্তা।
লিখা লিখা হদ্দ হইলাম-
কেহ শোনে নাই।
অং বং চং এর দেশে ভং চং এর-
খান্তি কামাই নাই।
মা দূর্গা আইলে এইবার
ওই দ্যাশে পাঠায় দিব-
ত্রশূলের খোঁচা দিয়া
ভং চং গুলার পাণ নিব।


উত্তরে উত্তরে ৯৮ তে অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দিন গুজরান


দুইটি কলি থাকবে কবি-ব্যথা কোনো রবে না
উত্তরেতে ভাসিয়ে দেবো-
সুখ দুঃখের বন্যা।
সব কিছুরই শেষ আছে-শ্রষ্টা দিলেন গড়ে
আটকে গিয়ে উত্তরেতে-
রইব কেন পরে।
যুগের দাবি মানতে দোষ-সময় ভীষণ কম
নাই দোষ নাই-নাই দোষ নাই-
দুইটি কলি রইবে সচল।
তবুও যেন মন মানে না-দুচোখ কেন ধারা=
রুদ্ধ কেন কন্ঠ হলো-
অন্ধ নয়ন তারা।
উত্তরেতে ছিলেম মেতে-দিন গুজরান কাব্য মাঝে-
রামধেনু রং আকাশ প্রদীপ-
ধরা দিত কাব্য সাঁজে।
আজ আকাশ রুদ্ধ বাতাস-নিকষ কালো আঁধার যেন
দত্যি দানা দিচ্ছে হানা-
এমন দুখের বাতাস কেন............।