প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত চির শান্তির আশ্বাস কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। বিষ মাগি
আমি দুহাত ফেলেছি ধরায়-কলুষো সে বিষ মাগি-
আমি হৃদয় পেতেছি ত্বরায়-লহর
তুলিতে আজি।
কলঙ্ক মাগিনু আমি-দেহমনে লিপ্ত-
লিপিতে শোনিতে শানিত লেপিতে
আঘাত হানিতে গুপ্ত।
বিষে বিষে বিষে বিষে-বিষাক্ত হবে মন-
অশ্রু মুছিছে কলঙ্ক মায়ের-
ধরিতে শানিত কৃপাণ।
আমি দুহাত ফেলেছি ধরার-কলঙ্ক দেহো মোরে দান-
সে দানে রক্ত রচিবো ভূবনে-
শানিত কৃপাণে নিপাতো আঘাতে-নির্মূল
করিতে শয়তান।
রিক্ত আমি নিঃস্ব নহি-ধরিতে বুকে বল-
কৃপাণ হাতে দ'লম মলন-যুঝিতে
লহু শয়তান।
মাগো আমায় বিষ ঢেলে দাও-কলঙ্কিত ব্যথা-
দুহাত আমি ফেলছি মাহি-দিচ্ছি
দুহাত কথা।
গরল বুকে তুলিতে সে ঝড়-জ্বালিতে দাবানল-
মা বোনেরা গরল সে বিষ-
আমায় করো দান।
প্রিয়কবি দীপ্তি রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত আর ভাললাগে না কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আর ভালো লাগেনা
আর ভালো লাগেনা আর ভালো লাগেনা-
উছলিত তরঙ্গো গতি ধায় বন্যায়-
ছুটে উড়ে দুরন্ত প্রেম বায়ু
ঝঞ্ঝায়-
উড়ে উড়ে ছুটে ছুটে সখী তোহে রসনাতো-
ছলে বলে কৌশলে-দুখ দিলি
শত কত-
আর ভালো লাগেনা আর ভালো
লাগেনাতো।
তব বাণি হৃদি মম-দিবারাতি বুনি জ্বাল-
তোহে পূজা মম সখী-
অঞ্জলি অঞ্চল।
নাহি প্রাণ বিন তোহে-নাহিকো ধরা-
সখী তোহে প্রাণ দিনু-
কেন নাহি দয়া।
রাধা তুহি প্রাণ মম-যুগান্ত আরাধনা-
নাহি মতি কেন তব-
শতেকো যাচনা-
আর ভালো লাগেনা আর
ভালো লাগেনা।
প্রিয়কবি সুদীপ তন্তুবায় (নীল) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা আজও সেলুকিড কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মরিচিকা
ঘূণ ধরা সে লাবন্য চাকচিক্যে জুরি নাই-
যেন জ্যোছনার প্রশান্তির রুপালি বর্ণচ্ছটা।
আহা! মন মদিরায় কালবৈশাখীর তুমুল আলোরন
পাড় সৈকতে অবিরত আছরে পরে ঢেউ।
অশান্ত ঘূর্নীর দুরন্ত পাঁক বেণী কুন্ডলি
ঘন সমীরনে-উরন্ত মরু বালিকা রাশি-
তৃষ্ণার্ত পথিক এক সাহারা মরুভূমি চারনায়
লালায়িত ছুটে চলে পথ-
সে লাবন্য মরিচিকা ধরিবার বাসনায়-
হে পথিক-সে তো ঘূণ বায়ু বই
আর কিছুই নয়।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত শান্তিতে ব্যাঘাত কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ধুমকেতু
হটাৎ হটাৎ আগমন যার তারে কয় ধুমকেতু-
বুঝিলি কানাই ধুম কইরা আইসা-
কেতু যেমনি চন্দ্র রে খাইয়া লয়-
অমনি আমাগো জীবনডারে
ছাড়খার কইরা দেয়।
ভাইল আছিলো আমাগো মদনা-
মায়ে বাপে ছ্যালায়
হেলার পো বিহা কইরবার সখ
জেন উথলাইয়া পড়িলো
পরিনাটা হইলো কি?
ধুমকেতুর মতন আইয়া বধুরানী
কি নাচন কোঁদনটাই না
কইরবার ধরইল্যো।
পরিনামটা হইলো কি?
বধুয়া তো গেল ফাঁসিতে লটকাইয়া
অহনে বাপ মা ছ্যায়াল হেলার পো
গুষ্টিশুদ্ধা জেলের ঘানি টান অহন।
তাই কই কানাই বিহাটা দেইয়া শুইন্যা করিস।
অহনে চল মদনার পো রে দুইটা
ভালো খাবর দিয়া আসি।
প্রিয়কবি শরীফ আহমেদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত রুগ্ন সময় কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভ্যারাইটিস
অরে বাবা এ জে রোগের কারখানা রে মদনা।
খালি রোগ আর রোগ। কেহই রোগমুক্ত নয়-
সত্য কয় রে মদনা।
এই জেমুন ধর আমার হইলো গিয়া গিটে গিটে বাত-
তোর হইলো গা কপালের অই টিউমার-
টিঙ্কুর মার আমাষার ধাত-
সাড়েই না আর অর বাবার হইলো গা-
আরে অই জে ভিরমি খাইলে জুতা শুখান লাগে-
মৃগী ব্যারাম।
ভূপেন স্যার এর হাট্রের ব্যামো-অলকবাবুর কিডনি ফেল-
তর মায়ের অই শ্বাসের টান-
টান উঠলে দ্যাহায় খেল।
বাচ্চা বুড়া কেই নাই বাদ-নিদেন পক্ষে বাত-
হাত শিরশির পা শিরশির-
সবাই কুপোকাত।
তর মামার অই ঘারের ব্যথা-
রোগটা স্পন্ডেলাইটিস-
এই রকমই নানার রোগ-
নানান ভ্যারাইটিস।